টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা
Published: 21st, June 2025 GMT
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় ভ্রমণকালে পর্যটকদের আবশ্যক পালনীয় নির্দেশনা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২১ জুন) সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে ১৩টি করণীয় ও বর্জনীয় নির্দেশনা সংবলিত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়।
পর্যটকদের বর্জনীয় নির্দেশনাগুলো হলো- উচ্চ শব্দে গান-বাজনা করা/শোনা যাবে না, হাওরের পানিতে অজৈব বা প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য/বর্জ্য ফেলা যাবে না, মাছ ধরা, শিকার বা পাখির ডিম সংগ্রহ করা যাবে না, পাখিদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনো ধরণের বিঘ্ন ঘটানো যাবে না, ডিটারজেন্ট/শ্যাম্পু বা রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না, গাছ কাটা/ডাল ভাঙা বা বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যাবে না, কোর জোন বা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না, মনুষ্য সৃষ্ট জৈব বর্জ্য হাওরে ফেলা যাবে না।
আরো পড়ুন:
প্রকৃতির আলোয় সিলেটের ‘বনলতা’
ঈদের তৃতীয় দিন কুয়াকাটা পর্যটকে মুখর
পর্যটকদের আবশ্যক পালনীয় নির্দেশনাগুলো হলো- জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নৌপথ ব্যবহার করতে হবে, লাইফ জ্যাকেট পরিধান করতে হবে, প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার হতে বিরত থাকতে হবে, দূর থেকে পাখি ও প্রাণী পর্যবেক্ষণ করতে হবে—ফ্ল্যাশ ছাড়া ছবি তুলতে হবে, স্থানীয় গাইড ও পরিষেবা গ্রহণ এবং ক্যাম্প ফায়ার বা আগুন জ্বালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসক ড.
ঢাকা/মনোয়ার/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজার ছুটিতে বিশেষ ট্রেন ‘টুরিস্ট স্পেশাল’ চলবে ঢাকা–কক্সবাজার রুটে
শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় টানা ছুটি থাকছে এবার। দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা চার দিন বন্ধ থাকবে অফিস–আদালত। লম্বা এই ছুটিতে যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ঢাকা–কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম–ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন চালু করছে রেলওয়ে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত এসব ট্রেন চলবে। এর মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম থেকে ‘ঢাকা স্পেশাল’ চলবে। চট্টগ্রাম থেকে বেলা পৌনে ৩টায় এই ট্রেন ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৮টায়। ৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম স্পেশাল ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়।
এ ছাড়া ট্যুরিস্ট স্পেশাল চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর। বিশেষ এই ট্রেন ৩০ সেপ্টেস্বর ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে। কক্সবাজার থেকে এই ট্রেন ছাড়বে বেলা সাড়ে ১১টায়। ৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন এই ট্রেন চলাচল করবে।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি বিশেষ ট্রেনে ১৮টি বগি থাকবে। দিনে আসন থাকবে ৮৩৪টি এবং রাতের বেলায় ৭৮৯টি। ভাড়া নিয়মিত ট্রেনের মতো।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্ম সফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি থাকবে। লম্বা ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে পর্যটকদের চাপ বেড়ে যায়। কক্সবাজারে যাওয়ার ক্ষেত্রে পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ট্রেন। তাই যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়েছে। এসব ট্রেনে নিয়মিত আন্তনগর ট্রেনের মতো সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা থাকবে। যাত্রীরা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন।