রাজধানীতে বিস্ফোরক, দেশীয় অস্ত্রসহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার কর্মীকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মিরপুর-২ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পাশে ডিসি রোড থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো.

শুক্কর (১৯), মো. জিহাদ (১৯), রাহিম (১৯) ও সুমন (১৮)। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। পলাতক বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুটি তাজা ককটেল, একটি লোহার চাপাতি, দুটি চাকু, একটি দা, একটি স্টিলের পাইপ, মোটরসাইকেলের একটি চেইন এবং একটি চেইন স্প্রোকেট বা চেইন হুইল উদ্ধার করা হয়েছে।

মিরপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একটি মিছিলে নাশকতা ও দাঙ্গা সৃষ্টি করতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী টাকার বিনিময়ে বস্তি এলাকা থেকে লোকজন নিয়ে আসেন। তাঁরা মিরপুর-২ নম্বর এলাকার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আশপাশের এলাকায় জড়ো হয়েছেন, এমন তথ্য পেয়ে মিরপুর মডেল থানার একটি টিম সেখানে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও শুক্কর, জিহাদ, রাহিম ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তাঁরা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের দাবিতে আয়োজিত মিছিলে নাশকতার উদ্দেশ্যে পাল্টা মিছিল করার পরিকল্পনা করছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আপাতত ভারত থেকে পণ্য কিনছে না অ্যামাজন-ওয়ালমার্টের মতো খুচরা বিক্রেতারা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর ভারত থেকে পণ্য নেওয়া স্থগিত করেছে ওয়ালমার্ট, অ্যামাজন, টার্গেট, গ্যাপসহ বড় মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা। শুক্রবার এনডিটিভি প্রফিট এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারতীয় রপ্তানিকারকরা মার্কিন ক্রেতাদের কাছ থেকে চিঠি ও ইমেইল পেয়েছেন। এতে বলা হয়েছে- পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্য পাঠানো আপাতত বন্ধ রাখতে চান ক্রেতারা। বাড়তি শুল্কের বোঝা বহন করতে চান না তারা। এই ব্যয় রপ্তানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দিতে চান তারা।

এনডিটিভি জানিয়েছে, উচ্চ শুল্কের কারণে খরচ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রগামী কার্যাদেশ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এর ফলে ভারতের ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারে।

ওয়েলস্পান লিভিং, গোকালদাস এক্সপোর্টস, ইন্ডো কাউন্ট, ট্রাইডেন্টের মত বড় ভারতীয় রপ্তানিকারকরা তাদের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ পণ্য বিক্রি করে কেবল যুক্তরাষ্ট্রে।

ভারতের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পের রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৫ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে এই খাতে মোট ৩৬ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির মধ্যে ২৮ শতাংশই গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বে ষষ্ঠ বৃহত্তম টেক্সটাইল ও পোশাক রপ্তানিকারক দেশ ভারতের এখন আশঙ্কা, তারা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের কাছে কার্যাদেশ হারাতে পারে। এ দুটি দেশ ভারতের চেয়ে কম- অর্থাৎ ২০ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়ছে।

ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে এবং বাকি ২৫ শতাংশ ২৮ অগাস্ট থেকে কার্যকর হবে। রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ