চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি দরকার সচেতনতা। তিনি বলেন, ‘করোনা চিকিৎসায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের নানা নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হলে চলবে না। আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে আগের মতো এবারও সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’
ডা.
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোও প্রস্তুত করা হচ্ছে। যেখানে যে সংকট আছে তা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার মধ্যে কোনটিতে সংক্রমণের হার বেশি, কেন আক্রান্ত হচ্ছে– সেসব বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। শুরুতে কিছুটা সংকট থাকলে বর্তমানে তা অনেকটা কেটে গেছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক পেতে আমি সার্বক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ রাখছি।’ সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বেশকিছু বেসরকারি হাসপাতালেও করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডা. জাহাঙ্গীর আলম।
ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর নতুন ধরন ছড়াচ্ছে। ভারতের এনবি ১.৮.১ নামের নতুন ধরনটিও ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত ২৩ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এনবি ১.৮.১ ধরনটির সংক্রমণের হার তুলনামূলক বেশি এবং এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে। নতুন এই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সামান্য অবহেলা বড় মাশুল দিতে হতে পারে। তাই মাস্ক পড়া ও সচেতনতা বাড়ার বিকল্প নেই।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ হ ঙ গ র আলম স ক রমণ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঢামেকে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ভাঙচুর, আটক ৩
জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত সাফওয়ান (৪) নামে এক শিশুকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ শিশুটি চিকিৎসকদের অবহেলায় মারা গেছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে শিশুকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশুটিকে ২১০ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন। পরে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন দেওেয়ার কিছুক্ষণ পরেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে শিশু স্বজনরা ডাক্তারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। সেসময় জুয়েল নামে এক ট্রলি ম্যানকে রোগীর স্বজনরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওই শিশুর লাশ জোর করে নিয়ে যেতে চাইলে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা স্বজনদের বাধা দিলে তারা দরজা-জানালার কাচ ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় আনসার সদস্যরা তিন যুবককে আটক করে ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। আটককৃতরা হলেন- সামির (৩০), সোয়েব (২১) ও রেজাউল (২৫)। তারা সবাই রাজধানীর পুরান ঢাকার আগামসিলেনের বাসীন্দা।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “পুরান ঢাকা বংশালের আগামসি লেন থেকে কিডনি জনিত সমস্যা নিয়ে এক শিশুকে ভর্তির কিছুক্ষণ পরে শিশুটি মারা যায়। এ নিয়ে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে। তারা ঢাকা মেডিকেলের এক ট্রলি ম্যানকে পিটিয়ে আহত করে। তাকে জরুরি বিভাগের ওসেকে ভর্তি রাখা হয়েছে। এছাড়া দরজা-জানালা ভাঙচুর করে তারা। এ ঘটনায় তিন জকে গ্রেপ্তার করে শাহাবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।”
ঢাকা/বুলবুল/এস