ডেঙ্গু-করোনায় তিনজনের মৃত্যু আক্রান্ত ৩৫৬
Published: 21st, June 2025 GMT
ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতিদিন বাড়ছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস দুটিতে আক্রান্ত ৩৫৬ জন; মারা গেছেন তিনজন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫২ জন, যা চলতি বছর এক দিনে সর্বোচ্চ। এ সময় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে নতুন চারজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে; মারা গেছেন দু’জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, নতুন ৩৫২ জনসহ চলতি মাসের ২১ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী দাঁড়াল ৩ হাজার ৮৪ জনে; মারা গেছেন আটজন। এবার বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোয় ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি। আক্রান্ত নতুন ৩৫২ জনের মধ্যে ১৬৭ ব্যক্তিই বরিশাল বিভাগের। এ বিভাগে আবার রোগী বেশি বরগুনায়। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, নতুন করে ৬৩ জন বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালটির চিকিৎসাধীন রোগী দাঁড়াল ২২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া নারীর বয়স ২৫ বছর। তিনি কুমিল্লার ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাড়ি জেলার বরুড়ার নলুয়ায়। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৩১ জনের মৃত্যু হলো।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৮৮২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ২২৯; ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি ৬৫৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করছে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে মশাবাহিত রোগটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ভর্তি হন। সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় একই বছর।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুর প্রকৃত অবস্থা প্রতিফলিত হচ্ছে না। কারণ, আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেই হাসপাতালে যাচ্ছেন না। আবার মারা গেলেও, অনেক সময় সে তথ্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে পৌঁছাচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। এ সময়ে চারজনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৯৭ জনের। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১১ জন। মৃতদের মধ্যে আটজন নারী ও তিনজন পুরুষ। পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায়। চারজন চট্টগ্রামে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মারা গেছেন দু’জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় ওই বছরের ১৮ মার্চ। এর পর থেকে গতকাল পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৩২ জনের; মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৬ জন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জন র ম ত য চ রজন
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বাস ও মাহিন্দ্রা অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের ফুলপুর পৌরসভার কাজিয়াকান্দা ইন্দিরাপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাস্থলে পাঁচজন, ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা যান। এই আটজনের মধ্যে একজন নারী ও বাকিরা পুরুষ।
আরও পড়ুনময়মনসিংহে দুই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০১৩ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক উদ্দিন জানান, ফুলপুরে ওই সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বশেষ রাত সাড়ে ১১টার দিকে একজনের মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তিদের সবার পরিচয় শনাক্ত করেছে ফুলপুর থানার পুলিশ। তাঁরা হলেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার নিজগুড্ডিমারী গ্রামের কাজিম উদ্দিন (২৮), হালুয়াঘাট উপজেলার জয়রামকুড়া গ্রামের রুবেল (৩০), ফুলপুরের কাজিয়াকান্দা গ্রামের ফরিদ মিয়া (৩৮), নিগুয়াকান্দা গ্রামের জাহের আলী (৭০), বালিজুড়ি গ্রামের হাছিনা খাতুন (৫০), কয়ারহাটি গ্রামের শামসুদ্দিন (৬৫), কালিয়ানিকান্দি গ্রামের নয়ন মিয়া (৪০) এবং পূর্বধলা উপজেলার ইসবপুর গ্রামের লাল মিয়া (৩৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ সকালে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর হাদি বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনো তিনজন চিকিৎসাধীন। পরিবারগুলোর কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বরাতে জানা যায়, বিকল হয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে ওভারটেক করতে গিয়ে মাহিন্দ্রা ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে পাশের বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে মাহিন্দ্রাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হন। বাসটি হালুয়াঘাট থেকে রাজধানী ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। আর মাহিন্দ্রাটি ছিল ফুলপুর থেকে হালুয়াঘাটগামী। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাসটির চালক ও তাঁর সহকারী পলাতক আছেন।