ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতিদিন বাড়ছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস দুটিতে আক্রান্ত ৩৫৬ জন; মারা গেছেন তিনজন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫২ জন, যা চলতি বছর এক দিনে সর্বোচ্চ। এ সময় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে নতুন চারজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে; মারা গেছেন দু’জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, নতুন ৩৫২ জনসহ চলতি মাসের ২১ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী দাঁড়াল ৩ হাজার ৮৪ জনে; মারা গেছেন আটজন। এবার বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোয় ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি। আক্রান্ত নতুন ৩৫২ জনের মধ্যে ১৬৭ ব্যক্তিই বরিশাল বিভাগের। এ বিভাগে আবার রোগী বেশি বরগুনায়। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, নতুন করে ৬৩ জন বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালটির চিকিৎসাধীন রোগী দাঁড়াল ২২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া নারীর বয়স ২৫ বছর। তিনি কুমিল্লার ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাড়ি জেলার বরুড়ার নলুয়ায়। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৩১ জনের মৃত্যু হলো।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৮৮২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ২২৯; ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি ৬৫৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করছে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে মশাবাহিত রোগটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ভর্তি হন। সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় একই বছর।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুর প্রকৃত অবস্থা প্রতিফলিত হচ্ছে না। কারণ, আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেই হাসপাতালে যাচ্ছেন না। আবার মারা গেলেও, অনেক সময় সে তথ্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে পৌঁছাচ্ছে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। এ সময়ে চারজনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৯৭ জনের। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১১ জন। মৃতদের মধ্যে আটজন নারী ও তিনজন পুরুষ। পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায়। চারজন চট্টগ্রামে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মারা গেছেন দু’জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় ওই বছরের ১৮ মার্চ। এর পর থেকে গতকাল পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৩২ জনের; মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৬ জন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জন র ম ত য চ রজন

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় জাবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকদের তালিকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাতজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী স্থান পেয়েছেন।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) আমেরিকার বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির মেটা রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টারের (মেট্রিকস) গবেষক জন পি.এ. ইয়োনিডিস গবেষণা প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে এ তালিকা এলসিভিয়ার জার্নালে প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন:

হাবিপ্রবিতে ঘুষের অভিযোগে দুদকের অভিযান

‎ বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বেরোবির ৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

গবেষকদের প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন ও অন্যান্য সূচকগুলো বিশ্লেষণ করে তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়। ওই প্রতিবেদনটি বিজ্ঞানীদের ২২টি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র এবং ১৭৪টি উপ-ক্ষেত্রে শ্রেণিবদ্ধ করে এ তালিকায় দুটি ধাপে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়। এর একটি হল পুরো পেশাগত জীবনের ওপর, আরেকটি শুধু ১ বছরের গবেষণা কর্মের ওপর।

বার্ষিক গবেষণা মূল্যায়ন ক্যাটাগরিতে তালিকায় স্থান পাওয়া জাবির সাত শিক্ষক হলেন-পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, এসএম দিদার উল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এএ মামুন, ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজির অধ্যাপক এম শামীম কায়সার, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাঈদ আল-জামান, মো. নূরুল ইসলাম এবং রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. এনামুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন গবেষকের তালিকায় স্থান পাওয়া একমাত্র শিক্ষার্থী হলেন, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইমফরমেটিক্স বিভাগের মোহাম্মদ এ. মামুন।

এ অর্জন প্রসঙ্গে অধ্যাপক এম শামীম কায়সার বলেন, “আমি সত্যিই গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। এটি আমার টানা চতুর্থবারের স্বীকৃতি (২০২২, ২০২৩, ২০২৪ এবং ২০২৫)। এ অর্জন কেবল আমার একার প্রচেষ্টার ফল নয়, বরং আমার সহ-লেখক, শিক্ষার্থী এবং সহযোগীদের অমূল্য সমর্থনের প্রতিফলন।”

সহকারী অধ্যাপক মো. সাঈদ আল-জামান বলেন, “স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাষ্ট্র) এবং এলসেভিয়ার কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়ায় আমি আসলেই কৃতজ্ঞ। প্রতি বছর জাবি থেকে কয়েকজনের নাম থাকে। তবে এবার তালিকায় আটজনের নাম এসেছে, যা সত্যি গর্বের বিষয়।”

স্ট্যানফোর্ড–এলসেভিয়ার টপ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকা হলো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এক মানদণ্ড, যেখানে গবেষকদের অসাধারণ উদ্ধৃতি প্রভাব এবং দীর্ঘমেয়াদি একাডেমিক অবদানকে গুরুত্ব দিয়ে স্থান দেওয়া হয়। এলসেভিয়ার প্রতি বছর প্রায় ২ হাজারের বেশি জার্নাল প্রকাশ করে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি এবং এর আর্কাইভে ৭০ লাখের বেশি প্রকাশনা রয়েছে।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৭ বছর আগে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে খুনের মামলায় সব আসামি খালাস
  • বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় জাবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী