ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাত খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, “এর ফল হতে পারে ভয়াবহ মানবিক ও বৈশ্বিক সংকট।”

রবিবার (২২ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

ইইউ চায় আলোচনা, ‘আগ্রাসন’ বন্ধের শর্ত ইরানের

তেহরানের ‘জেন জি’: আমার ঘরই আমার কবর হোক, তবু উদ্বাস্তু হয়ে বাঁচব না

জাতিসংঘ মহাসচিব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে যে বলপ্রয়োগ করেছে, তাতে আমি গভীরভাবে শঙ্কিত। এটি এমন একটি অঞ্চলে বিপজ্জনক মাত্রায় উত্তেজনা বাড়িয়েছে, যা আগেই অস্থির অবস্থায় রয়েছে—এবং এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি সরাসরি হুমকি।”

তিনি আরো বলেন, “এই সংঘাত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে—যার পরিণতি হতে পারে সাধারণ নাগরিকদের জন্য, পুরো অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য ভয়াবহ। আমি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন উত্তেজনা কমায় এবং জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিধান অনুসরণে নিজেদের দায়বদ্ধতা পালন করে।”

“এই বিপজ্জনক সময়ে বিশৃঙ্খলার চক্র এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরি। এই সংকটের কোনো সামরিক সমাধান নেই। একমাত্র পথ কূটনীতি। একমাত্র আশার নাম শান্তি” বলেন তিনি। 

হামলার পর ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে—খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।’

তিনি আরো লেখেন, “এটি (ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও পুরো বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।”

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

তীব্র অপুষ্টিতে ১২ হাজার শিশু

ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্যসংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাবার না পেয়ে শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, গাজায় এখন পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। আর চলতি বছরের শুরু থেকে অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ ফিলিস্তিনির। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জনই শিশু।

শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচের ২ লাখ ৯০ হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৭০০ শিশুকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ডব্লিউএইচওর সদর দপ্তরে মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, জুলাই মাসে গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, এটিই এক মাসে সর্বোচ্চসংখ্যক শিশুর অনাহারে থাকার ঘটনা।

তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস

সম্পর্কিত নিবন্ধ