যে ধরণের প্রেমকে ‘পাপি- লাভ’ বলা হয়
Published: 22nd, June 2025 GMT
পাপি লাভ শব্দটি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে হলিউড সিনেমার ‘পাপি-লাভ’এর প্রভাবে। এই শব্দ দুইটি দিয়ে এমন প্রেমকে বোঝানো হয়, যে প্রেম সারাক্ষণ মনোযোগ আশা করে।
এই প্রেমের পরিণতি কি হবে তা নিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার কোনো ভাবনা থাকে না। মনোবিদরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত প্রেম হলো ‘পাপি লাভ’।
শুধুমাত্র কৈশোরে নয়, তারুণ্যেও হতে পারে এমন প্রেম। মনোবিদরা বলেন, ‘‘পাপি-লাভ-এর মেয়াদ খুব বেশি দিন থাকে না। অল্প দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।’’ এই প্রেম আবেগে মোড়ানো থাকে। কল্পনায় দুইজন মানুষ সারাক্ষণ বিচরণ করতে থাকেন। যখন আবেগ কেটে যায় তখন প্রেমেও থাকে না।
আরো পড়ুন:
বর্ষায় পায়ের যত্নে এই নিয়মগুলো মানতে পারেন
যুদ্ধের ভিডিও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, করণীয় কী?
পাপি-লাভে জড়িত থাকা দুইজন মানুষ সারাক্ষণ কাছাকাছি-পাশাপাশি থাকতে চায়। সেটা হতে পারে ফোনে কথা বলা, ক্ষণে-ক্ষণে মেসেজ আদানপ্রদান। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও কলে কথা বলা-ইত্যাদি। ঝড়ের বেগে যেমন প্রেম আসে, তেমনই থেমেও যায়।
‘পাপি-লাভ’কে বলা হয় ‘চাইল্ড ইনফ্যাচুয়েশন’। দুই চোখ জুড়ে তখন অবাস্তব কল্পনা। সেই অবাস্তব কল্পনাকে সত্যি করতে গিয়ে নানা সমস্যাও হতে পারে।
প্রেমের সম্পর্কে থাকতে হয় মানসিক যোগাযোগ, পারষ্পারিক বোঝাপড়া, দায়িত্ববোধ, দায়বোধ কিন্তু পাপি লাভ-এ থাকে শুধুই আবেগ।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি কূপ খননে পেট্রোবাংলার সঙ্গে চীনের কোম্পানির চুক্তি
গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি কূপ খননে চীনের একটি কোম্পানির সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।
চুক্তি অনুসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও কুমিল্লার বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে এ দুটি কূপ খনন করবে চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কোম্পানির (সিএনপিসি) সহযোগী কোম্পানি সিএনপিসি চুয়াংইং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিসিডিসি)।
পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ চুক্তির কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, দেশের বিরাজমান জ্বালানিঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ভূগর্ভস্থ গভীরতম স্তর থেকে গ্যাস অনুসন্ধানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) দুটি গ্যাসক্ষেত্রে কূপ দুটি খনন করছে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত সিসিডিসি ৫৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকায় কূপ দুটি খনন করবে।
পেট্রোবাংলা বলছে, সফলভাবে খনন সম্পন্ন হলে দেশের গ্যাস খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং বর্তমানের চেয়ে গ্যাসের মজুত বৃদ্ধি পাবে। কূপ খনন শেষে তিতাস-৩১ কূপ থেকে দিনে প্রায় দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস এবং বাখরাবাদ-১১ কূপ থেকে দিনে প্রায় ১ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিতাস-৩১ কূপে ৫ হাজার ৬০০ মিটার এবং বাখরাবাদ-১১ কূপে ৪ হাজার ৩০০ মিটার খনন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কূপ খনন, ভূমি অধিগ্রহণ ও গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় হবে ৭৯৮ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। গভীর কূপ দুটি খননের মাধ্যমে তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের ৩ হাজার ৭০০ মিটার থেকে ৫ হাজার ৬০০ মিটার ভূ-অভ্যন্তরে গ্যাসের উপস্থিতি, বিস্তৃতি ও গ্যাস মজুত নিশ্চিত হওয়া যাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান। বিজিএফসিএলের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন কোম্পানি সচিব মো. মোজাহার আলী এবং সিসিডিসির পক্ষে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লি জিয়াওমিং।