অনেকেই একটি কাজ শুরু করার আগেই দুশ্চিন্তায় ভুগতে শুরু করেন। এতে শারীরিক নানা অস্বস্তিকর উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। মনোবিদরা বলছেন, ‘‘হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো রোগ না থাকার পরেও শুধুমাত্র দুশ্চিন্তা, নেতিবাচক চিন্তা যদি মানসিক অস্বস্তির কারণ হয় তাহলে তাকে অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার বলে।’’ 

যারা এই রোগে ভুগছেন তাদের ঘুমের সমস্যা হয়ে থাকে। বা ঘুম আসতে দেরি হয়ে যায়। 

ডা.

মো. জোবায়ের মিয়া, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার মানসিক অস্বস্তির কারণে হয়ে থাকে। এই রোগে ভোগা মানুষ দুশ্চিন্তার জন্য শারীরিক কিছু উপসর্গে ভোগেন। অনেকে এই সমস্যা নিয়ে আসেন যে, আমার বার বার বাথরুম পাই, ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। সকালবেলায় কোনো কাজে বের হওয়ার আগেই পেট ব্যথা করে বা ব্যথা হয়। স্নায়ুবিক কারণে শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়। বুক ধড়ফড় করে। অনেকে বলেন যে, আমার মনে হয় আমার গলায় কিছু একটা রয়ে গেছে। আমি ঢোক গিলতে পারি না। এই ধরণের সিমটোমগুলোই অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারের সিমটোম।’’ 

আরো পড়ুন:

জয়েন্টের ব্যথা হতে পারে কঠিন রোগের লক্ষণ

ডেঙ্গুর অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই, প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

উদ্বেগজনিত রোগের চিকিৎসা
স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে সাহায্য করতে-কাউন্সেলিং, সাইকো থেরাপি, ওষুধ সেবণ করা যেতে পারে। উদ্বেগজনিত রোগের চিকিৎসা বা ওষুধের বিষয়ে জানতে মনোবিদের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কিট শেষ, খুমেক হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা বন্ধ

র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট সংকটের কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে কিট শেষ হয়ে গেলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে সকালে পরীক্ষায় মো. হারুন নামের একজনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে গত ৪ দিনে খুলনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪ জনে। এর মধ্যে ৩ জনের বাড়ি খুলনা নগরীর বয়রা এলাকায়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকালপারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে মো. হারুন নামের এক রোগীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিবেন। হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সুমাইয়া আক্তার সুস্থ হওয়ায় তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে করুনা বেগম নামের একজন ভর্তি আছেন।

তিনি আরও জানান, করোনা পরীক্ষার কিট শেষ হয়ে যাওয়ায় দুপুর ১টার পর থেকে করোনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব বিকল থাকায় সেখানে পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। জরুরিভাবে কিট চেয়ে কয়েক দফা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিট পাওয়া মাত্র পুনরায় পরীক্ষা শুরু হবে। আপাতত উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিট শেষ, খুমেক হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা বন্ধ