ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘অভিনন্দন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের মারাত্মক ও ন্যায়সংগত শক্তি দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার আপনার সাহসী সিদ্ধান্ত, ইতিহাস বদলে দেবে।’ 

আজ রোববার ভোরে দেওয়া এক ভিডিও বিবৃতিতে এ কথা বলেন নেতানিয়াহু। ইরানের ফার্দো, নাতানজ ও ইসফাহানে শনিবার দিবাগত রাতে হামলা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসি, আল জাজিরা, সিএনএনের 

নেতানিয়াহু বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমি প্রায়শই বলি; শক্তির মাধ্যমে শান্তি। প্রথমে শক্তি অর্জন, এরপর শান্তি আসে। এবং আজ রাতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং যুক্তরাষ্ট্র অনেক শক্তি দিয়ে কাজ করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই পদক্ষেপ ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক শাসনব্যবস্থাকে সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্র থেকে বিরত রেখেছেন।’

ইসরায়েলি নাগরিকদের উদ্দেশে আলাদা এক ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো ধ্বংস হবে। আজ সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়েছে।’

এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ফোর্ডো পারমাণবিক কেন্দ্রে ছয়টি বাঙ্কার-বাস্টার বোমা এবং নাতানজ ও ইসফাহানে ৩০টি টমাহক মিসাইল ছোড়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই হামলা ছিল একটি বিস্ময়কর সামরিক সাফল্য। এখন ইরানকে এই যুদ্ধ শেষ করতে হবে।’

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি টিম হিসেবে কাজ করেছি; যা সম্ভবত এর আগে আর কোনো টিম এমনভাবে কাজ করেনি। আমরা ইসরায়েলের প্রতি এই ভয়ানক হুমকি দূর করতে অনেক দূর এগিয়েছি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

গহনার কারিগরকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

সাভারে গহনা তৈরির কারিগরকে গাছে ঝুলিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাতে ভাকুর্তা ইউনিয়নের কান্দি ভাকুর্তা এলাকার একটি পরিত্যক্ত স্থানে গাছে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে হত্যা মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই। 

নিহত আব্দুল মালেক সাভারের কান্দি ভাকুর্তা এলাকার জজ মিয়ার ছেলে। ভাকুর্তা ইউনিয়নের সোলাই মার্কেটের একটি গহনা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন তিনি। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, মালেককে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে।

পুলিশ জানায়, গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন আব্দুল মালেক। পরে রাত ৭টার দিকে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।

বাদী রমজান আলী বলেন, ‘আমার ভাইকে হত্যা করে তাঁর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কোনো শত্রু ছিল না। তবু কেন, কী কারণে আমার ভাই খুন হলো বুঝতে পারছি না।’ 

ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক বিলায়েত হোসেনের ভাষ্য, গাছের সঙ্গে ঝুলছিল লাশটি। তবে মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ