ইসরায়েলের ওপর সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান
Published: 22nd, June 2025 GMT
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলা চালানোর কয়েক ঘন্টা পর তেহরান ইসরায়েলের উপর হামলায় সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি খোররামশাহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের ফাইল ফুটেজ সম্প্রচার করে দাবি করেছে আজকের হামলায় এটি ব্যবহার করা হয়েছে।
ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, মার্কিন পদক্ষেপের পর ইরান কমপক্ষে ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে খোররামশাহর-৪ রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার এবং এতে এক হাজার ৫০০ কেজি ওজনের ওয়ারহেড রয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে ইরানের খোররামশাহর শহরের নামে। এই শহরে ১৯৮০-এর দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় তীব্র লড়াই হয়েছিল।
আরো পড়ুন:
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা হয়েছে: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
সর্বোচ্চ সতর্কতায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো
ইসরায়েলের উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, সকালে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। ইরানের হামলায় যেসব এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উত্তর তেল আবিবের একটি বেসামরিক এলাকাও রয়েছে। হামলার স্থানগুলোর মধ্যে একটি শপিং সেন্টার, একটি ব্যাংক এবং একটি সেলুন ছিল।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিশাল ব্ল্যাকহোলে বিস্ময়কর আলোকচ্ছটার খোঁজ
প্রায় ১০ লাখ কোটি সূর্যের আলোর সমান শক্তিশালী এক ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ার বা কৃষ্ণগহ্বর আলোকচ্ছটার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে, এটি সবচেয়ে বড় আলোকচ্ছটা। নতুন পর্যবেক্ষণ করা ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ারকে এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে বৃহৎ ও সবচেয়ে দূরবর্তী বলা হচ্ছে। এর অবস্থান পৃথিবী থেকে এক হাজার কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। আলোকচ্ছটার শক্তি প্রায় ১০ লাখ কোটি সূর্যের সমান।
একটি অতিভারী ব্ল্যাকহোল বৃহৎ কোনো নক্ষত্রকে গিলে ফেলছে বলে এই আলোকচ্ছটা তৈরি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ম্যাথিউ গ্রাহাম বলেন, ‘এই ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ারটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে দূরবর্তী। আমাদের সূর্যের ভরের চেয়ে কমপক্ষে ৩০ গুণ বেশি ভরের একটি বিশাল নক্ষত্র অতিভারী ব্ল্যাকহোলের খুব কাছাকাছি চলে আসছে বলে এমন ফ্লেয়ার তৈরি হয়েছে। ব্ল্যাকহোল নক্ষত্রকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে বলে বিশাল পরিমাণ শক্তি নির্গত হচ্ছে।’ বিজ্ঞানী গ্রাহামের মতে, সেখানে বিশাল বিস্ফোরণের তীব্রতা ও স্থায়িত্বের কারণে এত বিশাল ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ার তৈরি হয়েছে। ব্ল্যাকহোল নিয়মিতভাবে নিকটবর্তী পদার্থকে গ্রাস করে থাকলেও এমন বিশাল মাত্রার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এমন বিশাল ফ্লেয়ার আগে যা দেখা গেছে, তার তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। ফ্লেয়ারটি সর্বোচ্চ শিখরে থাকার সময় এখন পর্যন্ত দেখা যেকোনো ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ারের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি উজ্জ্বল। দুটি মহাজাগতিক বস্তুর বিশাল আকারের কারণে এমনটা হচ্ছে। সূর্য থেকে কমপক্ষে ৩০ গুণ বেশি ভরের নক্ষত্রকে অতিভারী ব্ল্যাকহোল গ্রাস করেছে। ব্ল্যাকহোলের ভর সূর্যের ভরের ৫০০ মিলিয়ন গুণ বেশি বলা যায়। সাত বছরের বেশি আগে শুরু হওয়া এই বিস্ফোরণ সম্ভবত এখনো চলমান।
প্রাথমিকভাবে ২০১৮ সালে তিনটি স্থলভিত্তিক টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জরিপের সময় ফ্লেয়ারের খোঁজ মেলে। তখন এটিকে ব্যতিক্রমী উজ্জ্বল বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০২৩ সালে হাওয়াইয়ের ডব্লিউ এম কেক অবজারভেটরি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। বিজ্ঞানী গ্রাহাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার ব্ল্যাকহোলের আচরণ সম্পর্কে নতুন তথ্য দিচ্ছে। প্রচলিত ধারণা অনুসারে মহাবিশ্বের বেশির ভাগ গ্যালাক্সির মাঝখানে একটি অতিভারী ব্ল্যাকহোল রয়েছে। এখন আমরা আরও গতিশীল পরিবেশ দেখছি। সুপারম্যাসিভ ধরনের ব্ল্যাকহোলকে অ্যাকটিভ গ্যালাকটিক নিউক্লিয়াস বলা হচ্ছে। এটিকে জে২২৪৫+৩৭৪৩ নামে নামকরণ করা হয়েছে।’
সূত্র: এনডিটিভি