দ্রুত জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ ও আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসার দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন বরিশাল জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

আজ রোববার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পাঁচ দফা দাবি হলো আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ, জুলাই আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, গণহত্যায় জড়িতদের দৃশ্যমান বিচার, আওয়ামী লীগের দোসরদের আইনের আওতায় আনা এবং সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার। তাঁদের অভিযোগ জুলাই অভ্যুত্থানের পর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার কাঙ্ক্ষিত জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে পারেনি। এ ছাড়া অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা পুরোপুরি নিশ্চিত করা হয়নি।  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানের পর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি, অন্তর্বর্তী সরকার এখনো জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে আমরা আর কোনো টালবাহানা সহ্য করব না। অবশ্যই আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে। গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃশ্যমান কোনো বিচার ও আওয়ামী লীগের দোসরদের এখনো আইনের আওতায় আনা যায়নি। এটা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী।’

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী হাসিবুর রহমান ও মুখপাত্র সুমী হক। এ সময় তাঁরা আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্দোনেশিয়ায় মসজিদে বিস্ফোরণ, আহত ৫৪

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি স্কুলের মসজিদে বিস্ফোরণে ৫৪ জন আহত হয়েছে। জুমার নামাজ চলাকালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে জাকার্তা পোস্ট। 

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কেলাপা গাদিংয়ের নৌবাহিনীর একটি কম্পাউন্ডের মধ্যে অবস্থিত মসজিদের ভেতরে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে। ওই সময় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা শুক্রবারের নামাজে অংশ নিচ্ছিলেন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে ২০ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হলেও পরে পুলিশ নিশ্চিত করে যে আহতদের সংখ্যা ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে, তবে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

জাকার্তা পুলিশের প্রধান মহাপরিদর্শক আসেপ এদি সুহেরি জানান, আহতদের বেশিরভাগই ছাত্র এবং স্কুল কর্মী। তারা কাঁচের টুকরো এবং বিস্ফোরণের চাপে আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী দুটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি  জানান, বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্তকারীরা এখনো বিস্ফোরণের সাথে সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্রের প্রমাণ পাননি। 

ডিটাচমেন্ট ৮৮ এর মুখপাত্র মায়ন্দ্রা একা ওয়ারধানা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ইচ্ছাকৃতভাবে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য অভিজাত সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, “আমাদের দল কোনো সন্ত্রাসী উদ্দেশ্য বা নেটওয়ার্ক জড়িত কিনা তা মূল্যায়ন করছে।”

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইন্দোনেশিয়ায় মসজিদে বিস্ফোরণ, আহত ৫৪