চার দিন ধরে টানা বৃষ্টি। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। জমে গেছে হাঁটু পানি। ভোগান্তিতে পড়েছেন দোকানি, হাটুরে ও পথচারী। এ চিত্র কালাইয়ের উদয়পুর ইউনিয়নের মোসলেমগঞ্জ হাটের।
এ অবস্থার জন্য অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ, অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় পুরো হাট চত্বর। 
প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার মোসলেমগঞ্জ হাটবার। বাজার বসে প্রতিদিন। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এ হাটে। এখান থেকে লোকজন মোসলেমগঞ্জ-কিচক ও মোসলেমগঞ্জ-রাজাবিরাট সড়ক হয়ে বিভিন্ন যানবাহনে বগুড়া ও গাইবান্ধায় চলাচল করেন। হাটের পশ্চিম পাশে রয়েছে মোসলেমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ভোকেশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কমপ্লেক্স। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে হাটের ভেতরের এই সড়ক দিয়ে। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে এ সড়কটিতে পানি জমে গেছে।
সরেজমিন হাট ঘুরে দেখা গেছে, যতটা সম্ভব পানি বাঁচিয়ে পণ্য সাজিয়ে বিক্রি করছেন দোকানিরা। বেশ কয়েকটি দোকানের সবজি তলিয়ে গেছে। এ অবস্থার জন্য হাট-সংলগ্ন রাস্তার দুই পাশে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা ভবনগুলোকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মোসলেমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘রোববার খুলেছে। শিক্ষার্থীদের এই পথেই চলাচল করতে হবে। বেহাল পথটির কারণে মাঝেমধ্যেই তাদের বই কাপড় ও জুতা ভিজে যায়। এই সমস্যা বহুদিনের। সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে অনেকবার বলেছি, কোনো লাভ হয়নি।’
হাটুরেরা বলেন, হাটের অলিগলি এমনকি– রাস্তায় পানি জমে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই আশপাশের এলাকার পানি এসে এই সড়ক ডুবে যায়। ময়লা আবর্জনা আর কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চললেও সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেই।
আরেক দোকানি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ২০ হাজার টাকার মালপত্র নিয়ে হাটে বসেছি। সব পানিতে ডুবে গেছে। মাত্র আড়াই হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। হাটের আশপাশে অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি তাঁর। 
হাট ইজারাদার মফিদুল ইসলাম বলেন, ‘সবেমাত্র হাট পেয়ে মাশুল আদায় করছি। হঠাৎ পানি তোড়ে সব ডুবে যাচ্ছে। শুক্রবার বৃষ্টির পানি জমে থাকায় হাটে বেচাকেনা হয়নি। তাই মাশুলও আদায় হয়নি। আজও একই অবস্থা। 
৫ জুলাইয়ের পর পলাতক উদয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও গত সপ্তাহে অব্যাহতি দিয়েছেন। পরিষদের সচিব বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে।  
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

উদয়পুরে বসবে বিজয়-রাশমিকার বিয়ের আসর?

ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটি রাশমিকা মান্দানা ও বিজয় দেবরকোন্ডা। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে গুঞ্জন উড়ছে, প্রেম করছেন এই যুগল। যদিও তা অস্বীকার করে আসছিলেন তারা। সবকিছু পেছনে ফেলে বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনই বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বলে দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের। যদিও এতদিন বিষয়টি নিয়ে টুঁ-শব্দ করেননি বিজয় কিংবা রাশমিকা।

কয়েক দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে বাগদান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মুচকি হেসে রাশমিকা বলেন, “ব্যাপারটি সবাই জানে।” এবার জানা গেল, বাগদানকে বিয়েতে রূপ দিতে যাচ্ছেন এই হবু দম্পতি।

আরো পড়ুন:

৯ দিনে রাশমিকার সিনেমার আয় কত?

ভূতের রাজ্যে রাশমিকা: বক্স অফিসে শুরুটা কেমন হলো?

দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি উদয়পুরের বিশাল একটি প্রাসাদে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন রাশমিকা-বিজয়। বিয়ের দিন-তারিখ নিয়ে ইন্টারনেটে ঝড় বইছে। এ নিয়ে রাশমিকা বা বিজয়—কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেননি আবার অস্বীকারও করেননি।

রাশমিকা-বিজয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্র এনডিটিভিকে জানান, গত ৩ অক্টোবর, বিজয়ের হায়দরাবাদের বাসভবনে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বাগদান অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধরা উপস্থিত ছিলেন।

রাশমিকা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পোষা কুকুর অরাকে নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে তার হাতে ঝলমলে হীরার আংটি দেখা যায়, যা অনেকেই বিজয়ের দেওয়া বাগদানের আংটি বলে মনে করেন। একই সময়ে বিজয়কেও অন্ধ্রপ্রদেশে শ্রী সত্য সাই বাবার মহাসমাধি দর্শনে পরিবারের সঙ্গে দেখা যায়, তার হাতেও একটি আংটি ছিল। মূলত, তারপরই এ জুটির বাগদানের গুঞ্জনের সূচনা।

২০১৭ সালে কন্নড় সিনেমার নির্মাতা-অভিনেতা রক্ষিত শেঠির সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছিলেন রাশমিকা মান্দানা। বাগদানের পরও ভেঙে যায় রাশমিকার এই বিয়ে। কিন্তু এই বিয়ে কেন ভেঙেছিল, তা নিয়ে নানা কথা রয়েছে। তবে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি—বিজয়ের কারণে ভেঙে গিয়েছিল রাশমিকার এই বিয়ে। 

দক্ষিণী সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় জুটি রাশমিকা মান্দানা ও বিজয় দেবরকোন্ডা। ‘গীতা গোবিন্দম’, ‘ডিয়ার কমরেড’ সিনেমায় তাদের রসায়ন দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। এ জুটির পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়ায়। ফলে এ দুজনের সম্পর্ক বহুল চর্চিত। বিজয় দেবরকোন্ডার সঙ্গে রাশমিকার প্রেম ও বিয়ের গুঞ্জন অনেকবার চাউর হয়েছে। দেশ-বিদেশে একসঙ্গে সময় কাটাতেও দেখা গেছে এ জুটিকে। 

মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন রাশমিকা মান্দানা। ২০১২ সালে ‘ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার ফ্রেস অব ইন্ডিয়া’ খেতাব জেতেন তিনি। ২০১৬ সালে কন্নড় ভাষার ‘কিরিক পার্টি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। অভিষেক এ চলচ্চিত্রের জন্য সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন এই অভিনেত্রী।  

এরপর ‘চালো’ সিনেমার মাধ্যমে তেলেগু সিনেমায় অভিষেক হয় রাশমিকার। অল্প সময়ের মধ্যে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। ‘গীতা গোবিন্দম’, ‘ডিয়ার কমরেড’, ‘সারিলেরু নীকেবারু’, ‘পুষ্পা’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। 

রাশমিকা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘থাম্মা’। আদিত্য সরপতদার পরিচালিত এই সিনেমায় রাশমিকার বিপরীতে অভিনয় করেছেন আয়ুষ্মান খুরানা। দীপাবলি উপলক্ষে ২১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উদয়পুরে বসবে বিজয়-রাশমিকার বিয়ের আসর?