প্রথম আলো :

এমন একটি চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে কি বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল?

সৈয়দ এজাজ আহমেদ : শারীরিক ও মানসিক দুভাবেই প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। আসিফ চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করেছি। শুটিংয়ে যখন থাকতাম, চরিত্রের মধ্যে থাকতাম, কস্টিউমে থাকতাম। আমার নিজেরও কাজের একটা পদ্ধতি থাকে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে অনেক ইম্প্রোভাইজ করি। নিজের মতো করে ভাবনা জুড়ে দিই। সানি ভাই আমাকে পুরো স্বাধীনতা দিয়েছেন।

প্রথম আলো:

দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পেয়েছেন?

সৈয়দ এজাজ আহমেদ : অসাধারণ। আমরা তো হলে হলে যাই। শো শেষে বাঁধন আপুসহ যখন দর্শকের কাছে যাই, অনেকে আমার কাছে আসতেও ভয় পাচ্ছিল। অনেকের অস্বস্তি ছিল। চরিত্রটা তো অনেক বেশি নেগেটিভ। ওই জায়গায় আমাকে দর্শক ব্যক্তিগতভাবে মেনে নিতেই পারেনি। কথা বলার পর সেই ধারণা ভাঙে।

সৈয়দ এজাজ আহমেদ। অভিনেতার ফেসবুক থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলের পরিবারের সাক্ষাৎ

বন্দুকধারীর হামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

স্থানীয় সময় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দিদারুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা।

আরো পড়ুন:

নিউইয়র্কে আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপ

কুমিল্লায় চার মাজারে হামলা, ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৯টায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। 

সেখানে বলা হয়, দিদারুল ইসলামের প্রতি সম্মাননা স্বরূপ পরিবারের সদস্যদের হাতে একটি ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দিদারুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ আবদুর রব, মা মিনারা বেগম, দুই ছেলে আয়হান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, ভাই কামরুল হাসান, ভাইয়ের ছেলে আদিয়ান হাসান, বোন নাদিমা বেগম ও চাচা আহমেদ জামাল উদ্দিন। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পত্রিকায় ঘটনাটি পড়েছি। পড়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে হলো। টিভিতে দেখেছি নিউইয়র্কে তাঁর শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। বহু মানুষের শোক-শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। নিউইয়র্কে আসার পরিকল্পনার মধ্যেই আমাদের মনে হয়েছে অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।”

পরিবারের সদস্যরা জানান, দিদারুল ইসলাম নিউইয়র্ক পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ও প্রশংসিত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। ব্রঙ্কসের ৪৭ নম্বর প্রিসিঙ্কটে তিনি কর্মরত ছিলেন। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে। 

গত ২৮ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন দিদারুল ইসলাম। বন্দুকধারী এক তরুণ সেদিন বহুতল করপোরেট ভবনের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান এবং পরে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করেন। সেসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে গুলিতে দিদারুল নিহত হন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ