মুদি দোকানে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল সাড়ে ১৩ লাখ টাকা!
Published: 23rd, June 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মো. আব্দুল হাকিম নামে এক মুদি দোকানির এক মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। গতকাল রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় থাকা তাড়াশ জোনাল অফিস থেকে পাঠানো বিলের কাগজ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভুক্তভোগী মুদি দোকানি আব্দুল হামিদ উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামের মো.
আব্দুল হাকিম জানান, রোববার দুপুরে তাড়াশ জোনাল অফিস থেকে মে মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেওয়া হয়। বিল হাতে পেয়ে দেখতে পান, তার নামে মুদি দোকানের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। অথচ এত দিনে মাসে ৩০০-৩৫০ টাকার বেশি বিল কখনও আসেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ছোট দোকানে এত বড় অংকের বিদ্যুৎ বিল দেখে প্রথমে আমি বিস্মিত হই। পাশাপাশি ভয়ও পাই। পরে আমি তাড়াশ জোনাল অফিসে ফোন করি এবং অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে জানতে চাই। এ সময় তাড়াশ জোনাল অফিসে লোকজন আমাকে অফিসে যেতে বলেন।’
এ দিকে বিদ্যুৎ বিলের কপিটি দোকানি হামিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেন, যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়। নেটিজনরা নানা মন্তব্য করতে থাকেন। যা তাড়াশ জোনাল অফিসের নজরে আসে। পরে সন্ধ্যায় জোনাল অফিস থেকে বিলের কপি সংশোধন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মো. শামসুজ্জামান বলেন, মুদি দোকানি আব্দুল হাকিমকে দেওয়া বিলের কপিটিতে ‘প্রিন্ট মিসটেক’ হয়েছে। আমরা জানার পরপরই বিলটি সংশোধন করে দিয়েছি।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ ত ড় শ জ ন ল অফ স
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান ইস্যুতে এখনও কূটনীতিতে আগ্রহী ট্রাম্প: হোয়াইট হাউস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কূটনৈতিক সমাধানে এখনও আগ্রহী বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে ইরান সরকার যদি আলোচনায় না আসে, তাহলে দেশটির জনগণের উচিত হবে এই ‘সহিংস শাসনব্যবস্থা’কে উৎখাত করা—এমন মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট।
সোমবার হোয়াইট হাউস এ তথ্য জানিয়েছে বলে এএফপি, আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভি বলেন, “ইরানি শাসকগোষ্ঠী যদি শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক সমাধানে না আসে, তাহলে ইরানি জনগণের উচিত হবে এই সহিংস সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া, যারা দশকের পর দশক ধরে তাদের দমন করে আসছে। এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও আগ্রহী এবং সম্পৃক্ত।”
তবে হোয়াইট হাউসের এ বক্তব্যের একদিন আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ইরানে সাম্প্রতিক মার্কিন হামলা ‘শাসন পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে নয়’।
এর কিছুক্ষণ পরেই ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, ‘যদি বর্তমান ইরানি সরকার ইরানকে আবার মহান করতে না পারে, তাহলে শাসন পরিবর্তন কেন হবে না???’
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই কূটনীতি এবং কঠোর অবস্থান—দুই দিকেই খোলা রাখার ইঙ্গিত মিলছে।