বরিশালের হিজলা উপজেলায় কৃষি অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার টেকেরবাজার বাজারে এ  ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রাতেই হিজলা থানায় মামলা করেন। 

হামলার শিকার ফখরুল ইসলাম উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা। তার ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেন হিজলা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গিয়াস দেওয়ান (৫০) ও তার ছেলে হিজলা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জিসান। 

ফখরুল ইসলাম জানান, হিজলা উপজেলায় প্রণোদনায় নারিকেল চারা বিতরণ করা হয়। বিএনপি নেতা গিয়াস দেওয়ান একটি নামের তালিকা দেন এবং তালিকা অনুযায়ী চারা বিতরণ করতে বলেন। কিন্তু শ্রেণিবিন্যাসে তারা প্রণোদনার চারা পাওয়ার উপযুক্ত নন। এ কারণে তাদের চারা দেওয়া হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হন গিয়াস। 

তিনি আরও জানান, রোববার রাত ৯টার দিকে টেকেরবাজার থেকে অফিসের কাগজপত্র ফটোকপি করে ফিরছিলেন। এ সময় গিয়াস ও তার ছেলে জিসানসহ ৪-৫ জন আমার পথরোধ করেন। পরে একটি চায়ের দোকানে নিয়ে বাঁশ দিয়ে পিটানো হয়। তারা আমাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়। তার নির্দেশে রাতেই হিজলা থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। 

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে হিজলা থানার ওসি শেখ আমিনুল ইসলাম বলেন, ফখরুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

অভিযুক্ত গিয়াস দেওয়ান ও তার ছেলে জিসান আত্মগোপনে ও ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে গিয়াস আরেকটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নন। কে বা কারা কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলা করে তাদের ওপর দোষ চাপিয়েছে।’ 

হিজলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল গাফফার তালুকদার বলেন, গিয়াস দেওয়ান ও তার ছেলে কৃষি কর্মকর্তা ফখরুলের ওপর হামলা করেছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের জানানো হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল ব এনপ ছ ত রদল কর মকর ত ল ইসল ম ফখর ল ব এনপ র ওপর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়েই জ্যোতিদের বিশ্বকাপের মিশন

আইসিসি উইমেনস ওয়ানডে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার অংশ নিতে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়বে নিগার সুলতানার দল। আগামী ২ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মূল লড়াই।

বিশ্বকাপের মিশনে ভালো করতে মরিয়া বাংলাদেশ। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের পরিবর্তে বাংলাদেশ দলের সঙ্গী প্রস্তুতির ঘাটতি। কেননা পাঁচ মাস বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। কেবল নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতিতে কি আর বিশ্বকাপে ভালো করা সম্ভব? সেই প্রশ্নটা উঠতেই আশা দিয়ে বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন:

বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয়

বিশ্বকাপে রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ফের এক নম্বরে হিলি

বিসিবিতে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে কোচ সরোয়ার ইমরান ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি পাশাপাশি বসে প্রায় একই কথা বললেন।

সারোয়ার ইমরান বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি ম্যাচ ধরে খেলা ও ভালো খেলা। আমাদের দুটি ম্যাচে ভালো সুযোগ আছে, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এছাড়া অন্যান্য দলের সঙ্গেও আমরা... কাউকে বড় করে দেখছি না। শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।”

লম্বা সময় ধরে যে ক্যাম্প করেছেন জ্যোতিরা সেটিকেই ভরসা মানছেন অধিনায়ক, “অবশ্যই (বড় দলের সঙ্গে খেলতে পারলে ভালো হতো) ..আদর্শ প্রস্তুতি হয়তো হয়নি। তবে আমি মনে করি, বাংলাদেশে যত ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে, সবগুলো আমরা পেয়েছি। এখনো পর্যন্ত আমরা যতগুলো ক্যাম্প করেছি, সব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছি। চেষ্টা তো করা হয়েছে। তবে যেটা হয়নি, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না। যেভাবে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি, আমার মনে হয় ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।”

মূল মঞ্চে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কায় দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে৷ দুটি ম্যাচে ভালো কিছুর আশায় সরোয়ার ইমরান, “প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলব। তবু অস্ট্রেলিয়া বা আরো দু-একটা দলের যে স্ট্যান্ডার্ড, তাদেরকে আমরা নিজেদের চেয়ে অনেক ওপরে দেখব না। আমাদের মতো ভাবব এবং জেতার জন্যই খেলব প্রতিটি ম্যাচ। গত বিশ্বকাপে আমরা পাকিস্তানকে হারিয়েছি। এবার আরো কিছু ম্যাচ জেতার জন্য যাচ্ছি।”

আগামী ২ অক্টোবর বাংলাদেশের মিশন শুরু হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এরপর ভারত সফর করবে নারীরা। ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। খেলা হবে গৌহাটিতে। ১০ অক্টোবর একই মাঠে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউ জিল‌্যান্ড।

১৩ অক্টোবর বিশাখাপত্তনমে বাংলাদেশ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। একই মাঠে ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের খেলা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। রাউন্ড রবিন লিগের শেষ দুই ম‌্যাচ হবে মুম্বাইয়ে। ২০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা ও ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।

মূল প্রতিযোগিতায় মাঠে নামার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। একদিন পর বাংলাদেশ খেলবে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার (সহ অধিনায়ক), ফারজানা হক, রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক, শারমিন আক্তার সুপ্তা, সোবহানা মোস্তারি, রিতু মনি, স্বর্ণা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, রায়েয়া খান, মারুফা আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, সানজিদা আক্তার মেঘলা, নিশিতা আক্তার নিশি ও সুমাইয়া আক্তার।

ঢাকা/ইয়াসিন/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ