কোলেস্টেরল বা ক্ষতিকর চর্বি হৃদ্‌রোগের বড় ঝুঁকি তৈরি করে। এ বিষয়ে সচেতনতা ও সুশৃঙ্খল জীবনধারার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। উচ্চ কোলেস্টেরল ‘নীরব ঘাতক’ হিসেবে পরিচিত। এর ফলে সৃষ্ট হৃদ্‌রোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।

কোলেস্টেরল রক্তে উপস্থিত চর্বিজাতীয় পদার্থ। যদিও এটি কোষ তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ক্ষতিকর। উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলেও সাধারণত কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। কিন্তু এটি ধমনিতে নীরবে জমা হতে থাকে ও প্লাক তৈরি করে রক্তনালির পথগুলোকে সংকুচিত করে এবং রক্তপ্রবাহকে সীমাবদ্ধ করে। হার্টে রক্ত সরবরাহকারী করোনারি আর্টারিগুলোতে প্লাক জমে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে হৃদ্‌রোগ দেখা দেয়।

ধমনিতে প্লাক জমা হওয়ার কারণে হৃৎপিণ্ডে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ সীমিত হয়। এর ফলে বুকে ব্যথা (অ্যানজাইনা) হতে পারে এবং গুরুতর ক্ষেত্রে, যদি জমাট বাঁধা রক্তপ্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়, তবে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

আরও পড়ুনকোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ কি সারা জীবন খেতে হবে১৯ অক্টোবর ২০২২কেন বাড়ে কোলেস্টেরল, কী করবেন

বেশ কিছু কারণ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। যেমন জিনগত বা বংশগত কারণ, মন্দ খাদ্যাভ্যাস, কায়িক শ্রমহীন অলস জীবনযাপন, ধূমপান ও অতিরিক্ত ওজন।

তবে উচ্চ কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করা যায়। এর চিকিৎসা রয়েছে। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা—যেমন সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, তামাক এড়ানো ও স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারে। ভাজাপোড়া, ট্রান্সফ্যাট যুক্ত খাবার, অতিরিক্ত তেল-ঘি-মাখন এড়াতে হবে। খেতে হবে প্রচুর তাজা শাকসবজি।

আরও পড়ুনকোলেস্টেরল কমানোর কার্যকর ঘরোয়া উপায়১৯ মার্চ ২০১৭

নিয়মিত রক্তে লিপিড প্যানেল বা প্রোফাইল পরীক্ষা করা উচিত। একজন সুস্থ ব্যক্তি ও একজন ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির লিপিডের কাঙ্ক্ষিত মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। পরিবারে হৃদ্‌রোগের ইতিহাস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যানজাইনা বা পূর্বে ঘটা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ইতিহাস থাকলে লিপিডের কাঙ্ক্ষিত মাত্রা আরও কম হবে। তাই লিপিড প্রোফাইলের ফলাফল পর্যালোচনা এবং কার্যকরভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডা.

মুহাম্মাদ সিদ্দিক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র

আরও পড়ুনশরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে চাইলে খাবারে এই পাঁচ পরিবর্তন আনুন০২ ডিসেম্বর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব হ

এছাড়াও পড়ুন:

আমার নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তিশা

সময়মতো কর পরিশোধ না করায় দেশের বেশ কয়েকজন তারকার ব্যাংক হিসাব জব্দ (ফ্রিজ) করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই তালিকায় থাকা ‘নুসরাত ইয়াসমিন তিশা’ নামের একজনকে ঘিরে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। অনেকে সেই নামকেই ধরে নেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। এবার বিষয়টি খোলাসা করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।

রোববার রাতে ফেসবুকে একটি পোস্টে তিশা লিখেছেন, ‘আমি নুসরাত ইমরোজ তিশা। সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যম ভিন্ন একজনের আয়কর সংক্রান্ত তথ্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি একেবারেই মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি নুসরাত ইমরোজ তিশা, সবসময় নিয়ম মেনে কর দিয়ে এসেছি এবং একজন পেশাদার শিল্পী হিসেবে সততার সঙ্গে কাজ করি।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি আশা করি সাংবাদিক বন্ধুরা ভবিষ্যতে তথ্য যাচাই করে আরও দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশ করবেন।’

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১২ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে কয়েকজন তারকা রয়েছেন তারা হলেন মৌসুমী, রেজাউল করিম (বাপ্পারাজ), নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূর, নুসরাত ইয়াসমিন তিশা, শবনম পারভীন ও আহমেদ শরীফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু
  • ফুটবল খেলে গোসলে নামে পাঁচ বন্ধু, এক ঘণ্টা পর একজনের মরদেহ উদ্ধার
  • করোনায় আরো ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ১৯
  • সুনামগঞ্জের সেই গ্রামে অভিযানে বন্দুক, পাইপগান, গুলিসহ আটক ৪
  • শাকিব খানকে নিয়ে বাঁধনের পোস্ট
  • মোসাদের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ইরানে আরও একজনের ফাঁসি 
  • ব্যাংক হিসাব জব্দের সংবাদে নাম বিভ্রাট, বিশেষ বার্তা দিলেন তিশা
  • সোহানকে না রাখার যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক
  • আমার নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তিশা