সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে একজন নিহত হওয়ার পর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার হাতিয়া গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র, গুলিসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে নিহত রাজমিস্ত্রি আবু সাঈদের (৩১) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সিলেটে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি ও একজনের লাশ পাওয়ার পর রাতভর যৌথবাহিনী দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালায়। অভিযানে চারজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁদের বসতঘর থেকে একটি বন্দুক, চারটি পাইপগান, সাতটি রামদা, নয়টি বল্লম, ছয়টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, এক রাউন্ড তাজা বুলেট ও এক রাউন্ড ফায়ারকৃত ব্ল্যাংক কার্টিজ জব্দ করা হয়।

যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ব্যক্তিরা হলেন হাতিয়া গ্রামের তাজ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, ইরন মিয়া ও জমির মিয়া। সেনাবাহিনী জানায়, আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, আবু সাঈদ অজ্ঞাত কোনো সন্ত্রাসীর গুলিতে মারা গেছেন। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ সকাল নয়টায় অভিযান শেষ হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগের নেতা একরার হোসেন ও একই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরে দুই দিন ধরে গ্রামে উত্তেজনা চলছিল। উভয় পক্ষের মধ্যে গত শুক্রবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন ও গুলির ঘটনা ঘটে। এর আগেও দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্র প্রদর্শন হয়েছে প্রকাশ্যে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, রোববার বিকেলে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে ওই গ্রামে গেলে একরার পক্ষের লোকজন হাতিয়া থেকে নৌকায় করে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের গাদালিয়া গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে ওই গ্রামে ঘেরাও দিলে সেখানে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় সেনাবাহিনীও গুলি করে। পরে সেখান থেকে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে সেখানে আবু সাঈদের লাশ পাওয়া যায়। আবু সাঈদ দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি।

আরও পড়ুনসুনামগঞ্জে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি, পাওয়া গেল রাজমিস্ত্রির লাশ৮ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

আমার নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তিশা

সময়মতো কর পরিশোধ না করায় দেশের বেশ কয়েকজন তারকার ব্যাংক হিসাব জব্দ (ফ্রিজ) করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই তালিকায় থাকা ‘নুসরাত ইয়াসমিন তিশা’ নামের একজনকে ঘিরে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। অনেকে সেই নামকেই ধরে নেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। এবার বিষয়টি খোলাসা করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।

রোববার রাতে ফেসবুকে একটি পোস্টে তিশা লিখেছেন, ‘আমি নুসরাত ইমরোজ তিশা। সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যম ভিন্ন একজনের আয়কর সংক্রান্ত তথ্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি একেবারেই মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি নুসরাত ইমরোজ তিশা, সবসময় নিয়ম মেনে কর দিয়ে এসেছি এবং একজন পেশাদার শিল্পী হিসেবে সততার সঙ্গে কাজ করি।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি আশা করি সাংবাদিক বন্ধুরা ভবিষ্যতে তথ্য যাচাই করে আরও দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশ করবেন।’

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১২ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে কয়েকজন তারকা রয়েছেন তারা হলেন মৌসুমী, রেজাউল করিম (বাপ্পারাজ), নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূর, নুসরাত ইয়াসমিন তিশা, শবনম পারভীন ও আহমেদ শরীফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফুটবল খেলে গোসলে নামে পাঁচ বন্ধু, এক ঘণ্টা পর একজনের মরদেহ উদ্ধার
  • কেন বাড়ে কোলেস্টেরল, নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী করবেন
  • করোনায় আরো ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ১৯
  • শাকিব খানকে নিয়ে বাঁধনের পোস্ট
  • মোসাদের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ইরানে আরও একজনের ফাঁসি 
  • ব্যাংক হিসাব জব্দের সংবাদে নাম বিভ্রাট, বিশেষ বার্তা দিলেন তিশা
  • সোহানকে না রাখার যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক
  • আমার নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তিশা
  • আমার নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তিশা