ইনফান্তিনো-ট্রাম্প ‘ব্রোমান্স’–এর ভেতরে কী আছে
Published: 23rd, June 2025 GMT
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিশ্বকাপ আয়োজন করছেন। ক্লাব বিশ্বকাপ এখন চলছে এবং ২০২৬ সালে সেখানে আয়োজিত হবে বিশ্বকাপ ফুটবল। উয়েফার সঙ্গে ফিফার চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বেশ কাছের মিত্রও বানিয়ে ফেলেছেন ইনফান্তিনো। দুজনের এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ।’
প্রায় সাত বছর আগের কথা। ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। জিয়ান্নি ইনফান্তিনো হোয়াইট হাউসে তাঁর ওভাল অফিসে গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে ফুটবলের লাল ও হলুদ কার্ডের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ছিল তাঁর উদ্দেশ্য।
ইনফান্তিনো তত দিনে ফিফা সভাপতি হলেও বৈশ্বিকভাবে তেমন পরিচিতি পাননি। কয়েক সপ্তাহ আগে ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজন শেষ করেছেন। ২০১৫ সালে ফিফায় সংকটের পরের বছর ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির দায়িত্ব পান।
২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার পেছনে ইনফান্তিনোর প্রচেষ্টার জন্য তখন এই সুইস-ইতালিয়ানের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে এই বলে অনুযোগও করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ যখন আয়োজিত হবে, তখন তিনি প্রেসিডেন্ট অফিসে থাকবেন না। আর না থাকলে তাঁর ভাষায়, ‘সংবাদমাধ্যম হবে খুব বিরক্তিকর।’ তিনি না থাকলে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজনের লগ্নে হোয়াইট হাউসকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম কেমন হবে, তা নিয়ে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘খুব বিরক্তিকর হবে। ওদের হয়তো কোনো কাজই থাকবে না।’
ট্রাম্পের হাতে লাল কার্ড.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র প ইনফ ন ত ন ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
এ বছরই কি আসছে ভাঁজযোগ্য আইফোন, চূড়ান্ত প্রস্তুতি কত দূর
অ্যাপলের বহুল প্রতীক্ষিত ভাঁজযোগ্য বা ফোল্ডেবল আইফোন বাজারে আসতে আর বেশি দেরি নেই। যন্ত্রটির ডিসপ্লে–সংক্রান্ত চূড়ান্ত স্পেসিফিকেশন এরই মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০২৫ সালের শেষভাগেই শুরু হতে পারে এর উৎপাদন।
অ্যাপলবিষয়ক বিশ্লেষক মিন চি কুও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় জানিয়েছেন, অ্যাপলের দীর্ঘদিনের উৎপাদন সহযোগী ফক্সকন ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের শেষ দিকে বা চতুর্থ প্রান্তিকের শুরুতে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করতে পারে। সময় হিসেবে তা আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যবর্তী। এর আগে চলতি বছরের মার্চে কুও প্রথম জানান, ফোল্ডেবল আইফোনের বাজারে আসার সম্ভাব্য সময় ২০২৬ সাল। তখন তিনি বলেন, যন্ত্রটি আইফোন ১৮ সিরিজের সঙ্গেই উন্মোচিত হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদেও তিনি পূর্বাভাসটি দিয়েছেন। তবে এটিও স্পষ্ট করেছেন, এখনো সব পরিকল্পনা পরিবর্তনশীল। ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে এ পর্যায়ে যে অগ্রগতি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তা হলো, এর ডিসপ্লের স্পেসিফিকেশন চূড়ান্ত করা হয়েছে। কুওর তথ্য অনুযায়ী, এই ডিসপ্লে তৈরি করবে স্যামসাং ডিসপ্লে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৬ সালের জন্য বছরে ৭০ থেকে ৮০ লাখ ইউনিট ফোল্ডেবল প্যানেল উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কেবল ডিসপ্লেই নয়, ফোল্ডেবল আইফোনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের অনেক কিছুই এখনো নির্ধারিত হয়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত উপাদান হচ্ছে হিঞ্জ, যা ফোনটিকে ভাঁজ করার মূল প্রযুক্তিগত অংশ। প্রযুক্তিবাজারে এই যন্ত্রাংশ নিয়ে আগ্রহ অনেকদিন ধরেই রয়েছে। ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে গুঞ্জন নতুন নয়। এক দশকের বেশি সময় ধরে অ্যাপলের এমন একটি যন্ত্র তৈরির খবর প্রযুক্তি মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান এবার সত্যিই হতে চলেছে।
মার্চ মাসে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ম্যাশেবলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও ফোল্ডেবল আইফোনের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন ও নকশা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কুওর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপল ইতিমধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ থেকে ২ কোটি ইউনিট ফোল্ডেবল আইফোনের প্রাথমিক অর্ডার দিয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ২০২৭ ও ২০২৮ সালে অ্যাপল প্রতিবছর কয়েক মিলিয়ন ইউনিট করে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে দাম যে সাশ্রয়ী হবে না, সেটাও আগেভাগেই জানিয়েছেন তিনি। ফোল্ডেবল আইফোনের সম্ভাব্য মূল্য নিয়ে কুও বলেন, এটি হবে ‘টাওয়ারিং’ বা অত্যধিক উচ্চমূল্যের একটি পণ্য।
সূত্র: ম্যাশেবল