বাগানে ঢুকতেই চোখে পড়ে সারি সারি আমগাছ। প্রতিটি ডালে ঝুলছে বাহারি আম। কোনোটি গাঢ় লাল, যেন পাকা কাশ্মীরি আপেল। কোনোটার ওপরে হালকা লাল, নিচে সবুজ। কোনোটি আবার ম্লান হলুদ, চোখে লাগার মতো মোলায়েম। আবার কোনোটি বেগুনি-সবুজে ছোপ ছোপ, মনে হয় যেন হাতে আঁকা।

আমগুলো শুধু রঙেই আলাদা নয়, আকারেও বৈচিত্র্যময়। ছোট, লম্বা, মোটা, গোল কিংবা পাতলা—একেকটা একেক ঢঙের। কারও গায়ে চকচকে পলিশ, কারও গায়ে রুক্ষতা। আমের স্বাদেও রয়েছে ভিন্নতা। এই দৃশ্য নড়াইল শহর থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের বনগ্রামের ‘মাহিন কানন-২’ নামের এক বাগানের।

থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই জাতের আম দেখাচ্ছেন শৌখিন ফলচাষি জাহাঙ্গীর কবির.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আবার বাড়ছে যমুনার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীতে আবার পানি বাড়ছে। এর ফলে সিরাজগঞ্জের অন্যান্য নদীতেও পানি বাড়ছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত চার দিনে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৪৩ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি।

এদিকে, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নদীবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৫ জুন পর্যন্ত যমুনা নদীতে পানি বাড়বে। বৃষ্টিপাত বাড়ায় নদীতে পানি বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেছেন, টানা বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। তবে, তা এখনো সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার ২৬৩ সেন্টিমিটার নিচে ও কাজীপুরে বিপৎসীমার ২৮১ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়লেও বন্যার আশঙ্কা নেই।

ঢাকা/অদিত্য/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ