বিশ্বের নীরব সংকটগুলো আমরা কি ভুলে যাব
Published: 24th, June 2025 GMT
বিশ্ব তার উচ্চকিত সংকটগুলো মোকাবিলায় আজ সোচ্চার, যেমন ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি যুদ্ধ, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, ইউক্রেনের লড়াই ইত্যাদি। উচ্চকিত সংকটের উত্তপ্ত স্থানগুলোয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক তৎপরতা চলমান। মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের শরণার্থী প্রশ্নেও।
আজ বিশ্বের ১২ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে উদ্বাস্তু ও ছিন্নমূল। যুদ্ধ, সংঘাত, সহিংসতা, আইনশৃঙ্খলা কাঠামো ভেঙে পড়ার কারণে কয়েক কোটি মানুষ ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
২০ জুন ‘বিশ্ব শরণার্থী দিবস’ পালনের মধ্য দিয়ে আমরা দুনিয়ার সব শরণার্থীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছি এবং প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি যে ‘শুধু কথা নয়, কাজ প্রয়োজন’। কিন্তু অবস্থা বিবেচনায় মনে হচ্ছে, বুভুক্ষা এবং সম্ভবত দুর্ভিক্ষ যে একটি নিশ্চুপ দুর্যোগ হিসেবে বিশ্বের ১৩টি সংকটস্থলে আবির্ভূত হচ্ছে, সেই ব্যাপারে বিশ্বের কোনো খেয়াল নেই। কারণ, নীরব সংকটগুলো প্রায়ই মানুষের মনোযোগ বলয়ের বাইরে অবস্থান করে।
বর্তমান সময়ে বিশ্বের ১৩টি সংকটকেন্দ্রে প্রায় ১৬ কোটি লোক তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বাস করছে। ১৩টি দুর্যোগস্থল হচ্ছে বুরকিনা ফাসো, চাদ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, গাজা, হাইতি, মালি, মিয়ানমার, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন। এখানে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ।
এক.
একটি সমাজে নানা কারণে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়। খাদ্যসংকটের ১৩ জায়গার মধ্যে ১২টিতেই সশস্ত্র সহিংসতা তীব্র খাদ্য দুর্যোগের মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে। খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার তীব্র সংকটস্থলগুলো বিস্তৃত এবং ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র সহিংসতা খাদ্যনিরাপত্তার অবস্থাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্তরে নিয়ে গেছে। কোনো কোনো দেশে (যেমন সুদানে) চলমান সংঘাতের সঙ্গে খরা মৌসুম মিলে স্থায়ী দুর্ভিক্ষসদৃশ অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
গাজা এলাকায় দু–দুটি কারণে ব্যাপ্ত দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে—এক. ব্যাপক ও দীর্ঘস্থায়ী সামরিক সংঘর্ষের কারণে এবং ত্রাণ সংস্থাগুলোর কাজ সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে। অপর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী ও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অভিগমনের সুযোগের অভাব ত্রাণকাজের মূল অন্তরায় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দক্ষিণ সুদানে প্লাবন হচ্ছে এবং সামষ্টিক অর্থনীতিতেও অসুবিধা রয়েছে। এসব কারণের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে সহিংসতা ও রাজনৈতিক উত্তেজনা মিলে দেশটির খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেখানে সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা এবং দুর্বল মুদ্রামান প্রধান প্রধান খাদ্যসামগ্রীর মূল্য গত বছরের তুলনায় পাঁচ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে গৃহস্থালির ক্রয়ক্ষমতা বহুলাংশে কমে গেছে।
হাইতিতে গ্যাং-সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতার চরম বৃদ্ধি মানুষকে ব্যাপক হারে বাস্তুচ্যুতিতে বাধ্য করেছে, মানবিক ত্রাণকার্যে বিঘ্ন ঘটছে। এ কারণে রাজধানীর আশপাশে ছিন্নমূল মানুষের খাদ্যনিরাপত্তার চরম বিপর্যয় ঘটে। মালির চলমান সংঘাত এবং উত্তর ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অভিগমনে চরম অন্তরায়ের কারণে খাদ্যব্যবস্থা ক্রমাগতভাবে বিঘ্নিত হতে থাকে এবং সহায়তা প্রদান কষ্টকর হয়ে ওঠে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা, উচ্চ ঋণভার, ভূরাজনৈতিক নাজুকতা ও বাণিজ্য বিপর্যয়ের কারণে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা বিশ্বের সংকটকেন্দ্রগুলোয় আরও তীব্রতর হয়েছে। বিশ্বের নানা অঞ্চলে যুদ্ধবিগ্রহ বৈশ্বিক খাদ্য জোগানব্যবস্থার নাজুকতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সুদানে সংঘাতের কারণে ২০২৫ সালে দেশটির ভেঙে পড়া অর্থনীতিটিকে আরও ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ কারণে উচ্চ মূল্যস্ফীতি জনগণের খাদ্যলভ্যতা আরও দুষ্কর হয়ে উঠেছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও কর্মনিয়োজনের সুযোগের বিলুপ্তি ফিলিস্তিনে মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে আরও সংকুচিত করবে।
বর্তমানে খাদ্য, জরুরি কৃষি, পুষ্টিসহায়তার জন্য লভ্য অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম এবং নিকট ভবিষ্যতে এর উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কয়েক দিন আগে জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে যে বিশ্ব সংস্থাটি তার মানবিক সহায়তা পরিকল্পনাকে ভীষণভাবে কাটছাঁট করছে।
গত ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি মানবিক অনুদানের জন্য ৪৪ বিলিয়ন ডলারের অনুরোধ করেছিল। অবস্থার বিপাকে সংস্থাটি তার আদি অনুরোধকে ছাঁটাই করে ২৯ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে এনেছে। এ বছরের অর্ধেক সময়কাল চলেই গেছে। এ পর্যন্ত মানবিক সহায়তার জন্য জাতিসংঘ পেয়েছে মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার, আদি অনুরোধকৃত অঙ্কের মাত্র ১৩ শতাংশ। আদি পরিকল্পনার অভীষ্ট লক্ষ্য ছিল ৭০টি দেশের খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় আক্রান্ত ১৯ কোটি লোককে সাহায্য করা। যুক্তরাষ্ট্র তার বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ ভীষণ রকম কমিয়ে দেওয়ায় মানবিক অনুদান ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সংকোচনের সম্মুখীন হয়েছে। এ কারণে সারা বিশ্বের মানবিক সহায়তা এক বিশাল বিপর্যয়ের মধ্যে আছে।
অর্থলভ্যতার কমতি, অভিগমনের চরম অন্তরায় ও ঝুঁকি একাধিক খাদ্যসংকটের স্থানগুলোয় খাদ্য ও পুষ্টির জোগানকে ব্যাহত করেছে। আর লাখ লাখ বিপর্যস্ত মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা আরও সংকটাপন্ন হয়েছে। খাদ্যসহায়তা এখন শুধু সেসব জায়গায় দিতে হবে, যেখানে সর্বোচ্চ প্রান্তিক মানুষজন বাস করে এবং যাদের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। সুতরাং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, খাদ্যসহায়তা সেখানে লভ্য করে দিতে হবে, যেখানে এ সহায়তা সবচেয়ে বেশি কাজে আসবে। অভিগমনের অন্তরায়গুলো দূরীকরণ ও সংঘাত নিরসনের জন্য মানবিক ব্যবস্থা ও সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা এখনই গ্রহণ না করলে বিশ্বের বিভিন্ন নাজুক দেশগুলোয় বুভুক্ষা অব্যাহত থাকবে এবং বহু মানুষের মৃত্যু ঘটবে।
পাশাপাশি সম্ভাব্য বিপর্যয় রোধের জন্য বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য প্রয়োজন মেটানো যায় এবং সংকটের বিপর্যয়গুলো ন্যূনতম পর্যায়ে হ্রাস করা যায়। আগেভাগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বহু মৃত্যু রোধ করা যায়, খাদ্যঘাটতি কমিয়ে আনা যায়, সম্পদ ও জীবিকার ক্ষতি হ্রাস করা যায়। বিলম্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের চেয়ে সময়মতো কাজ করলে অনেক ক্ষতি এড়ানো যায়।
খাদ্যসংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে অর্থসম্পদের চরম ছাঁটাইয়ের কারণে আক্রান্ত দেশ ও সংস্থাগুলোকেও চরম সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। মানবিক সাহায্যের জন্য অর্থসংস্থান হ্রাস করা অনভিপ্রেত; বরং এ খাতে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আক্রান্ত জায়গাগুলোয় খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করা ভীষণভাবে দরকার। আজ মানব–অস্তিত্ব বহু খাদ্যসংকটের দেশগুলোয় বিপদাপন্ন। বিশ্বের উচ্চকিত সংকটে আমাদের মনোযোগ নিবদ্ধ থাকার কারণে আমরা যেন এই সত্য ভুলে না যাই এবং বিস্মৃত না হয় বিশ্বের নীরব সংকটগুলো।
● ড. সেলিম জাহান জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন কার্যালয়ের পরিচালক
* মতামত লেখকের নিজস্ব
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ র জন য অবস থ র চরম সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রিকেটারের সঙ্গে প্রেম, গোপনে পাইলটকে নায়িকার বিয়ে!
ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনম বাজওয়া। দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করে অধিক খ্যাতি কুড়ালেও হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে খুব একটা শক্ত জায়গা করতে পারেননি এই অভিনেত্রী। বলিউডে পরিচিতি না পেলেও ব্যক্তিগত কারণে নানা সময়ে চর্চায় থেকেছেন সোনম। হিন্দি চলচ্চিত্রজগতে হাতেগোনা কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে পঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি নামকরা অভিনেত্রী। বলিউডে পরিচিতি তৈরি করতে না পারলেও ব্যক্তিগত জীবনের কারণে সব সময় চর্চায় থেকেছেন অভিনেত্রী সোনম বাজওয়া। একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে যেমন নাম জড়িয়েছে, তেমনি বলিউড বাদশা শাহরুখের ‘প্রেমিকা’ হতে চেয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
১৯৮৯ সালের ১৬ আগস্ট ভারতের উত্তরাখণ্ডে জন্মগ্রহণ করেন সোনম। বাবা-মা, জমজ ভাইয়ের সঙ্গে সেখানেই থাকতেন তিনি। তার বাবা-মা দুজনেই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শৈশব থেকেই মডেলিংয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল সোনমের। সেরা সুন্দরী প্রতিযোগিতা জিততে চেয়েছিলেন। স্কুল-কলেজের পাঠ চুকিয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, সেখান স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে বিমানসেবিকা হিসেবে কিছু দিন কাজ করেন সোনম।
২০১২ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন সোনম। বিজয়ী হতে না পারলেও সেই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছান। সেখান থেকে সোনমের জীবনের মোড় অন্যদিকে ঘুরে যায়। ২০১৩ সালে পাঞ্জাবি ভাষার একটি সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পান। পাঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তারপর তামিল, তেলুগু ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেন সোনম। পাঞ্জাবি ভাষার একাধিক মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন।
বলিপাড়ায় কাজের সুযোগ পেতে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয় সোনমকে। আশাভঙ্গও হয়েছিল তার। এক সাক্ষাৎকারে সোনম জানিয়েছিলেন, বলিউডের বড় একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনটি হিন্দি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন। পরে পরিচালক বেঁকে বসেন। চুক্তির সঙ্গে জড়িত প্রথম সিনেমার শুটিং শুরুর আগেই বাধার মুখে পড়েন। শুটিং শুরুর ছয় দিন আগে পরিচালক জানান, তিনি সোনমের উপর ভরসা করতে পারছেন না। পরে সোনমের তিনটি সিনেমার চুক্তি বাতিল হয়।
২০১৪ সালে মুক্তি পায় ফারাহ খান নির্মিত ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, সিনেমাটির মোহিনী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অডিশন দিয়ে সুযোগ পাননি সোনম। শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পেতে পারেন বলে অডিশন দিয়েছিলেন সোনম। পরে সেই চরিত্রে অভিনয় করেন দীপিকা পাড়ুকোন। শাহরুখের ‘প্রেমিকা’ হতে চেয়েও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি সোনমের।
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের ভয় থেকে বলিউডের বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাব ফেরান সোনম। ফিল্ম কম্পানিয়নকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী বলেন, “ঘনিষ্ঠ দৃশে অভিনয় করতে হবে, এজন্য বলিউডের একাধিক সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়েছি। কারণ পাঞ্জাবি সিনেমার দর্শকরা আহত হতে পারেন। পরে বুঝতে পারি সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল।” ২০১৯ সালে আয়ুষ্মান খুরানা অভিনীত ‘বালা’ সিনেমার একটি গানের দৃশ্যে অভিনয় করেন সোনম। তাছাড়া ২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘স্ট্রিট ড্যান্সার থ্রিডি’ সিনেমার একটি গানের দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। গানের দৃশ্যটি সিনেমায় না থাকলেও তা আলাদাভাবে ইউটিউবে মুক্তি পায়।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে রক্ষিত অগ্নিহোত্রী নামে এক পাইলটকে গোপনে বিয়ে করেন সোনম। দিল্লির বাসিন্দা রক্ষিতের সঙ্গে তিন বছরের সম্পর্ক ছিল তার। পরে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করেননি সোনম। এর আগে সোনমের ব্যক্তিগত জীবন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। ক্রিকেটার কেএল রাহুলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সোনম। ২০১৮ সালে ইনস্টাগ্রামে সোনম ও কেএল রাহুল পরস্পরের পোস্টে কমেন্ট চালাচালি করেন। এ নিয়ে নেটিজেনরাও চর্চা কম করেননি। পরে বলিউড অভিনেত্রী আথিয়া শেঠির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান এবং বিয়ে করেন কেএল রাহুল।
সোনমের নাম জড়িয়েছিল ভারতের ক্রিকেট অধিনায়ক শুভমন গিলের সঙ্গে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে দুর্দান্ত দ্বিশতরান করেন শুভমন। বার বার বড় ইনিংস খেলে শিরোনামে এসে শুভমন যে সাফল্য অর্জন করেছিলেন, তার নেপথ্যে ছিলেন সোনম। পাঞ্জাবি ভাষার একটি চ্যাট শো সঞ্চালনা করতেন সোনম। সেই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় শুভমনকে। শুভমনের সঙ্গে হাত মেলান সোনম। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তা দেখেই গুঞ্জন চাউর হয়, সোনমের কারণেই শুভমনের পেশাগত জীবনে সাফল্য এসেছে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে সোনম লিখেছিলেন—“এসবই মিথ্যা।”
নতুন করে গুঞ্জন রয়েছে, নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়েছেন সোনম কাপুর। তবে তার প্রেমিক পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রজগতের তারকা নন। মুম্বাইয়ের বাসিন্দা তিনি। কিন্তু বলিপাড়ার সঙ্গেও তার কোনো যোগসূত্র নেই। যদিও এ নিয়ে টুঁ-শব্দ করেননি সোনম।
চলতি বছরে সোনম অভিনীত চারটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে তিনটি হিন্দি ভাষার সিনেমা। এগুলো হলো—‘হাউজফুল ৫’, ‘বাঘী ৪’, ‘এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত’। বর্তমানে ‘বর্ডার টু’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সোনম। হিন্দি ভাষার এ সিনেমা ২০২৬ সালে মুক্তির কথা রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত