দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’  অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (২৮-২৯ জুলাই ২০২৫ সময়ের জন্য ৩২তম) এলএনজি আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৬৫০ কোটি ২২ লাখ ৮৯ হাজার ৪২৭ টাকা।

সূত্র জানায়, দেশের বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে দেশীয় উৎপাদিত গ্যাসের পাশাপাশি কক্সবাজারের মহেশখালীতে স্থাপিত দু ’টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে জি টু জি ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার থেকে ২.

৫ এমটিপিএ (মিলিয়ন টন পার এনাম) এবং ওমান হতে ১০ এমটিপিএ এলএনজি অর্থাৎ মোট ৩.৫ এমটিপিএ (৫৬ কার্গো) এলএনজি ক্রয় করা হচ্ছে। এছাড়া, চাহিদার আলোকে অ্যানুয়াল ডেলিভারি প্রোগ্রাম (এডিপি) এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি ক্রয় করা হয়।

আগামী জানুয়ারি-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়ে স্পট মার্কেট থেকে ৫৯ কার্গো এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে গত ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর তারিখে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনুমোদন দেওয়া হয়। সে প্রেক্ষিতে পেট্রোবাংলা আগামী ২৮-২৯ জুলাই সময়ে এক কার্গো এলএনজি ক্রয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। 

উল্লেখ্য, স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়ের জন্য  ‘পিপিআর-২০০৮’ এর বিধি ৮৫ অনুসরণে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্টস (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী ২৩টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

‘পিপিআর-২০০৮’-এর বিধি-৮৫ অনুযায়ী গত ১৩ জুন  তারিখে কোটেশন আহ্বান করা হলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোটেশন না পাওয়ায় এলএনজি কার্গো ক্রয়ের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে গত ১৮ জুন তারিখে পুনরায় কোটেশন আহ্বান করে এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে এলপিএস সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কোটেশন দাখিলের জন্য ই-মেইলে জানানো হয়। বর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে দাখিলকৃত ৫ টি প্রতিষ্ঠানের কোটেশন দরপত্র ও প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি কারিগরি ও আর্থিকভাবে মূল্যায়ন করে সুপারিশ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নিকট দাখিল করে।

দাখিলকৃত ৫টি কোটেশনের মধ্যে ৫টি কোটেশনই রেস্পন্সিভ হয়, এরমধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লি. প্রতি ইউনিটের দাম ১৫.৪৫০০ মা.ডলার দর উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহতব্য এলএনজির পরিমাণ ৩২,০০,০০০ এমএমবিটিইউ। স্বাক্ষরিত এমএসপিএ অনুয়ায়ী সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কম-বেশি বিবেচনায় সরবরাহতব্য এলএনজি’র পরিমাণ সর্বোচ্চ ৩৩,৬০,০০০ এমএমবিটিইউ হতে পারে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৫.৪৫ মা.ডলার হিসেবে  ৩৩,৬০,০০০ এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ৫১,৯১২,০০০.০০ মা.ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩৭ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা (এআইটি ব্যতিত)।

এলএনজি আমদানিতে ২ শতাংশ এআইটি প্রযোজ্য বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ১২,৭৪,৯৫,৮৭২.০০ টাকা। অর্থাৎ ৩৩,৬০,০০০ এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ হবে সর্বমোট (৬৩৭,৪৭,৯৩,৬০০.০০+১২,৭৪,৯৫,৮৭২.০০)=৬৫০ কোটি ২২ লাখ ৮৯ হাজার ৪২৭ টাকা।

এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে।

ঢাকা/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পর ম ণ আমদ ন ত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ভোটার হচ্ছেন জুবাইদা, তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি

ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে জুবাইদার তথ্য সংগ্রহ করা হয় বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, এক-এগারো-পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। সে সময় তারেক ও জুবাইদা যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ছিলেন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন এই দম্পতি। এরপর তাঁরা দেশে আসেননি, ভোটারও হননি। গত ৬ মে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে আসেন। তাঁর সঙ্গে জুবাইদাও দেশে আসেন। ঢাকায় ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য গত ঈদুল আজহার আগে জুবাইদার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ইসির কর্মকর্তারা। ৫ জুন জুবাইদা লন্ডনে ফিরে যান।

জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে জুবাইদার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম হলেও চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয় পুরো হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর। আইন অনুযায়ী, হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে ভোটার তালিকা আইন সংশোধন করে এর আগেই তালিকা চূড়ান্ত করার চিন্তা আছে ইসির।

পেশায় চিকিৎসক জুবাইদার বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায়। তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় নন। অবশ্য তিনি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে গুঞ্জন আছে।

জুবাইদা সম্প্রতি দেশে আসার পর তাঁকে ঘিরে সিলেটে বিএনপির রাজনীতিতে নানামুখী আলোচনা চলে। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সিলেটে আনন্দমিছিলের পর নগরজুড়ে পোস্টারিং করা হয়। বেনামি পোস্টারে তাঁকে ‘মর্যাদাপূর্ণ’ সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাওয়া হয়েছে।

কোনো ব্যক্তিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে তাঁকে ভোটার হতে হয়। একজন ভোটার চাইলে দেশের যেকোনো আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভোটার হচ্ছেন ডা. জুবাইদা, তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি
  • ভোটার হচ্ছেন জুবাইদা, তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি
  • বন্দরের দায়িত্ব বিদেশিদের দিতে ড. ইউনূসের এত আগ্রহ কেন