আপনার সামনে কেউ ধীরে হাঁটলেই রাগ হয়?
Published: 24th, June 2025 GMT
রাস্তায় চলার সময়ে আপনার আগে-পরে আরও অকে মানুষ হাঁটেন। কিন্তু আপনার রাগ গিয়ে পড়ে সামনের মানুষটির ওপর। এমন যদি হয়, তাহলে সতর্ক হোন। এতে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
ধরুন আপনি দ্রুত হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনার সামনের মানুষটি ধীরে হাঁটছেন দেখেই আপনার রাগ হয়ে গেলো। বিষয়টা যদি এমন হয়, তাহলে একবার ভাবুন যে, আপনার যে তাড়া আছে সামনেই মানুষটির হয়তো সেই তাড়া নেই। অথবা তার শরীরটা ভালো না। হতে পারে তিনি একটু নিজের মতো করে হাঁটতে বের হয়েছেন।
শুধুমাত্র হাঁটার সময় এই সমস্যা তৈরি হয়, তা নয়। অনেক সময় বাইক বা গাড়ি চালানোর সময়ও মানুষ এই ধরনের রাগ বা ‘সাইডওয়াক রেজ’ এর শিকার হতে পারেন। কিন্তু এতে যদি রেগে যান তাহলে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেগে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আরো পড়ুন:
কথায় কথায় উদ্বেগ প্রকাশ করলে শরীরে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়
জয়েন্টের ব্যথা হতে পারে কঠিন রোগের লক্ষণ
রক্তচাপ বৃদ্ধির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে নিজের মনোভাব পাল্টানোর চেষ্টা করতে পারেন। রাস্তায় হাঁটার সময় সাধারণত কেউ কারও পথ আগলে চলতে চায় না। কেউই সময় নষ্ট করতে চান না।রাস্তায় চলার সময় সামনের মানুষটি অসহ্য মনে করছেন মানে আপনার মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত মেডিটেশন করতে পারেন।
নিজের মনকে শান্ত রাখার জন্য ক্ষমা করতে শিখুন। মন নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্ষমা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। আপনি যদি রাগ বা অন্যান্য নেতিবাচক অনুভূতিগুলো নিজের মধ্যে লালন করতে থাকেন, তাহলে নিজের ভেতরের তিক্ততা আপনাকে আরও গ্রাস করবে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন র সময় আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
খাতা জমা দিতে দেরি করায় ১৬ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত, হাসপাতালে ২
শেরপুর শহরের গোপালবাড়ির ইউনাইটেড স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ১৬ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক বেত্রাঘাতের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরীক্ষার নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও খাতা জমা দিতে দেরি করায় শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয় বলে জানান অভিভাবকরা।
অভিযুক্ত শিক্ষক পঙ্কজ দেবনাথ শিক্ষার্থীদের দুইটি করে বেত্রাঘাতের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ওই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে কথা শোনে না। তারা পড়ালেখাও করে না। তাদের শাসন করার জন্যই এটা হয়েছে। এটা কোনো নির্যাতন নয়। ঘটনা যতটা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি কথা ছড়িয়ে পড়েছে। আমার জানা মতে, দুইটি পরিবার অভিযোগ করেছেন।”
আরো পড়ুন:
শাবিপ্রবি ছাত্রী ধর্ষণ: অভিযুক্ত ২ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার
উত্তর মেরু অভিযানে যাচ্ছেন বাংলাদেশি কিশোর আবদুল্লাহ
হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীরা হলেন- জেলা শহরের গোপালবাড়ি মহল্লার মাইনুল ইসলামের মেয়ে মারিয়া আক্তার জুঁই (১১) ও জজ মিয়ার মেয়ে ফাতেমা আক্তার ঝুমা (১১)।
অভিভাবক স্বপ্না বেগম ও রিনা আক্তারের অভিযোগ, ইউনাইটেড স্কুলে সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষ খাতা দিতে দেরি করায় স্কুলের শিক্ষক পঙ্কজ দেবনাথ ১৬ জন শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেন। এ ঘটনায় তিন শিক্ষার্থী জ্ঞান হারায়। মাথায় পানি দেওয়ার পর তাদের জ্ঞান ফেরে। স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন শিক্ষকরা। শরীরে ব্যথা ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ায় রাতেই জুঁই ও ঝুমাকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আফরোজা আক্তার জাহান বলেন, “দুই শিক্ষার্থীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ