ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জবাবে ইরানের পাল্টা আক্রমণে কোনো মার্কিন নাগরিক নিহত হননি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন হয়তো যুদ্ধবিরতির একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েল, ইরান আর যুক্তরাষ্ট্র—প্রতিটি দেশই নিজেদের বিজয়ের গল্প বলছে। মিসাইল ছোড়ার আগেই ইরান শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজছিল।

সোমবার সকালে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক করে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা হামলার বিষয়ে আলোচনা হয়। আগের সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানের সামরিক নেতা ও অবকাঠামোর ওপর ভয়াবহ হামলা চালায়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র তিনটি মূল পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা ফেলে। এতে ইরান বড় ধাক্কা খায়।

ইরান মর্যাদা রক্ষা করতে চেয়েছিল। এক বাংকার থেকে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি পাল্টা হামলার নির্দেশ দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন যুদ্ধ পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত চার ইরানি কর্মকর্তা। তবে খামেনি নির্দেশ দেন, হামলা সীমিত রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে হবে।

আরও পড়ুন২৫০০ বছরের পুরোনো দুশমনি: ইসরায়েল কি ‘মরদখাই’? ইরান কি ‘হামান’?১৭ জুন ২০২৫

ইরান চেয়েছিল, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের কোনো মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে। তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আরও হামলা করতে উসকে দিতে চায়নি। ফলে বিপ্লবী গার্ড বাহিনী কাতারের আল উদেইদ বিমানঘাঁটি বেছে নেয়।

দুই গার্ড সদস্যের মতে, এটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি। তাঁরা মনে করেন, এখান থেকেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার সমন্বয় করা হয়েছিল। কাতার ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়ায় ইরান আশা করেছিল, হামলায় ক্ষয়ক্ষতি কম হবে।

হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইরান মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে সতর্কবার্তা পাঠায়। কাতার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রও আগাম সতর্কবার্তা পায়। জনসাধারণের উদ্দেশে ইরান বলে, এই হামলা ইরানের ওপর আঘাতের পাল্টা শোধ।

টিভিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে বিপ্লবী গার্ড বাহিনী হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শত্রুদের সতর্ক করছি। পালিয়ে গিয়ে বেঁচে যাওয়ার যুগ শেষ।’ আক্রমণের সময় ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি দেশাত্মবোধক গান বাজায়। কাতারের আকাশে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ঝলক দেখানো হয়। উপস্থাপকেরা ইরানের গৌরব ও বিজয়ের কথা বলেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি তুরস্ক, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান সফর করেছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধ ইরানকে ভেঙে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। আরাকচি বলেন, ‘আমি বলছি না যে ক্ষতি হয়নি। অবশ্যই ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের ক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট করতে পারেনি।’

এক ইরানি কর্মকর্তা জানান, কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার সময়ই পরিকল্পনা ছিল, কোনো মার্কিন নাগরিক যেন নিহত না হন। কারণ, কোনো মৃত্যু হলে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা আঘাত হানতে পারত। পরিকল্পনা কার্যকর হলো। ট্রাম্প জানান, ১৪টি ইরানি মিসাইলের মধ্যে ১৩টি ভূপাতিত হয়েছে। কেউ নিহত বা আহত হননি। ক্ষয়ক্ষতিও কম।

কিন্তু পর্দার আড়ালে ইরানের শীর্ষ নেতারা আশা করেছিলেন, তাঁদের সীমিত আক্রমণ আর আগাম সতর্কতা ট্রাম্পকে পিছু হটতে রাজি করাবে। ইরানও তখন পিছিয়ে আসবে। তারা চাইছিল, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে চাপ দিক। কারণ, ইসরায়েল আগেই আক্রমণ শুরু করেছিল এবং সোমবার রাতেও তা চলছিল।

অভূতপূর্বভাবে ট্রাম্প ইরানকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, ‘আমাদের আগাম সতর্ক করায় কোনো প্রাণহানি হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আশা করি আর কোনো ঘৃণার কাজ হবে না।’ ট্রাম্প জানান, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি শিগগিরই হবে। কিছুক্ষণ পর ইরানও যুদ্ধবিরতির কথা জানায়। ইসরায়েল তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি। তারা জানায়, ইরানি মিসাইল হামলায় তাদের আরও চারজন নিহত হয়েছে।

আরও পড়ুনইরানে হামলা ইসরায়েলের জন্য কৌশলগত বিপর্যয় ডেকে আনবে ১৭ জুন ২০২৫

আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের ইরানবিষয়ক পরিচালক আলী ভায়েজ বলেন, এখন সবাই নিজেদের বিজয়ের গল্প বলছে। বড় যুদ্ধ এড়াতে পেরেছে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পিছিয়ে দিতে পেরেছে। ইসরায়েল বলছে, তারা আঞ্চলিক শত্রু ইরানকে দুর্বল করেছে। আর ইরান বলছে, তারা টিকে আছে এবং শক্তিশালী শত্রুদের পাল্টা জবাব দিয়েছে।’

এক সপ্তাহের কম সময়ে যুদ্ধের তীব্রতা সীমা অতিক্রম করেছে। কিন্তু ইরান আর দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ চায় না। বেশির ভাগ ইরানি এখন দেশের পক্ষে একজোট হয়েছেন। এই যুদ্ধকে তাঁরা মাতৃভূমির ওপর হামলা বলেই বিবেচনা করেছেন। তবে লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। দোকানপাট, ব্যবসা ও সরকারি অফিস বন্ধ বা সীমিত সময় চালু ছিল। সেখানে অর্থনৈতিক চাপ স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। ট্যাক্সিচালক, শ্রমিক, সেবা খাতের কর্মীরা বলছেন, এভাবে আর বেশি দিন বাঁচা সম্ভব নয়।

তেহরানের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট পার্টির প্রধান সাদেক নুরুজি ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বলেন, ‘আমাদের আর যুদ্ধ চালানোর ক্ষমতা নেই। অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। জনসমর্থন ধরে রাখা যাচ্ছে না। আমাদের সামরিক ও প্রযুক্তিগত শক্তি ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের সমান নয়।’

এমনকি গার্ড বাহিনীর ঘনিষ্ঠরাও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে। বিশ্লেষক কারিম জাফারি বলেন, ইরান যেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর যুদ্ধে না জড়ায়। তিনি লেখেন, ‘ইরান এখন বহুমুখী যুদ্ধ চায় না। এর ফল কী হবে, তা ভেবে দেখা দরকার।’

এরপর ইরান কী করবে, তা স্পষ্ট নয়। সীমিত হামলা বড় যুদ্ধ এড়াতে সফল হয়েছে বটে। তবে এর মানে এই নয় যে শত্রুতার অবসান ঘটেছে।

পশ্চিমা কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলা সত্ত্বেও ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুত বর্তমানে কী অবস্থায় আছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ইরান কি আরও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাবে, নাকি গোপনে অন্য কোনো আক্রমণ করবে? নাকি কঠিন নিষেধাজ্ঞা শিথিলের জন্য আলোচনায় বসবে?

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি তুরস্ক, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান সফর করেছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধ ইরানকে ভেঙে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। আরাকচি বলেন, ‘আমি বলছি না যে ক্ষতি হয়নি। অবশ্যই ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের ক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট করতে পারেনি।’

ফারনাজ ফসিহি দ্য টাইমস-এর জাতিসংঘ ব্যুরোপ্রধান

নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ইসর য় ল আম দ র সতর ক র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

চায়নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করার নির্দেশ দেন হাবিবুর

ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমন করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যদের চায়নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করার নির্দেশ দেন তৎকালীন কমিশনার হাবিবুর রহমান। পুলিশের নিজস্ব ওয়্যারলেসে (বেতারবার্তা) এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১–এ দেওয়া জবানবন্দিতে এ বিষয় উল্লেখ করেছেন ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের ওয়্যারলেস অপারেটর মো. কামরুল হাসান।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় ৫০তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন কামরুল।

গত বছরের ১৭ জুলাই ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে ওয়্যারলেস অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন কামরুল। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে তিনি জবানবন্দিতে বলেন, সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত তাঁর ডিউটি (দায়িত্ব) ছিল। বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ওয়্যারলেসে (কল সাইন ভিক্টর মাইক ওয়ান–১) সর্বোচ্চ বল প্রয়োগের নির্দেশ দেন হাবিবুর রহমান। তখন চায়নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। বার্তাবাহক হিসেবে তিনি (কামরুল) ও তাঁর দল ওয়্যারলেসের মাধ্যমে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটে ওই বার্তা পৌঁছে দেন।

হাবিবুর রহমানের সেই ওয়্যারলেস বার্তার অডিও রেকর্ড জবানবন্দি দেওয়ার শেষ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনালের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনালে সেই অডিওটি দুবার শোনানো হয়।

সাক্ষী কামরুল হাসান জবানবন্দি দেওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম। তাঁকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘অডিও বার্তা যেটা শুনলাম, সেখানে উনি (হাবিবুর রহমান) বলেছেন যে জানমাল রক্ষায়, সরকারি সম্পত্তি রক্ষায়, হাঁটু গেড়ে কোমরের নিচে গুলি করতে। বিষয়টিকে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) কীভাবে ব্যাখ্যা করছে?’

জবাবে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, এটি মামলার আর্গুমেন্টের (যুক্তিতর্ক) জায়গা। গত বছরের ১৭ জুলাই সরকারি ছুটি ছিল। সেদিন আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কেন জনগণের ওপর গুলি করার নির্দেশ দেবেন। সেদিন এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি, যাতে গুলি করতে হবে। কোমরের নিচে না ওপরে, সেটা অবান্তর।

আরেকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সাক্ষী বলেছেন ডিএমপি কমিশনার চায়নিজ রাইফেল ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অডিওতে এ রকম কিছু পাওয়া যায়নি।

এর জবাবে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, চায়নিজ রাইফেলের কথাটা উনি বলেছেন বা বলেননি, এ বিষয়টি ম্যাটার অব আর্গুমেন্ট (যুক্তিতর্কের বিষয়)। উনি বক্তব্য দিয়েছেন, তাঁরা যখন আর্গুমেন্ট করবেন, তখন বিষয়টা ফেস (মোকাবিলা) করবেন।

এ মামলায় গতকাল আরও দুজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। তাঁরা হলেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার এসআই (উপপরিদর্শক) কামরুল হোসাইন ও মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া সিআইডির ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের এসআই মো. শাহেদ জোবায়েরের পুনঃ জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এ নিয়ে এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫২ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিলেন।

শেখ হাসিনার পাশাপাশি এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে মামুন এ মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই মামলার বিচার চলছে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আজ সাক্ষ্য দেবেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা, হবে সরাসরি সম্প্রচার

ট্রাইব্যুনালে কর্মরত সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে গতকাল রাতে এক ভিডিও বার্তায় প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা এ মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা বুধবার (আজ) সাক্ষ্য দেবেন। ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলা তদন্তের সময় শেখ হাসিনার বেশ কয়েকটি ফোনালাপ জব্দ করেছেন, সেই ফোনালাপের রেকর্ড ট্রাইব্যুনালে শোনানো হবে।

উত্তরা ও সিলেটের মামলায় প্রতিবেদন

দাখিলের সময় বাড়ল

গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর উত্তরা এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়িয়ে আগামী ২২ অক্টোবর নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল–১। এই মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ১০ আসামিকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এ ছাড়া গণ–অভ্যুত্থানের সময় সিলেটে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়িয়ে আগামী ২৪ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানোর মামলায় গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২–এ দুজন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ