জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হল থেকে পাইপগান সদৃশ একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে হলের দ্বিতীয় তলার টয়লেটের ছাদ থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হল প্রশাসন জরুরি বৈঠক ডেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

হল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে হলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী সুজন বাবু টয়লেট পরিষ্কার করতে যান। এ সময় টয়লেটের ছাদে রাখা ব্রাশ নিতে গিয়ে তিনি আগ্নেয়াস্ত্রটি দেখতে পান। এরপর হল প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে তারা আশুলিয়া থানার পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ সেটি জব্দ করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে শহীদ সালাম-বরকত হলের কর্মচারী সুজন বাবু বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে টয়লেট পরিষ্কার করতে গিয়েছিলাম। টয়লেটের ছাদে আমি ব্রাশ রেখে আসি। টয়লেট পরিষ্কারের জন্য ছাদের ওপর ব্রাশ নেওয়ার জন্য হাত দিলে ওই জিনিস পাই। পরে হলের স্যারদের বিষয়টি জানাই।’

হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি অস্ত্রটি দেখেছি, ছবি তুলে প্রক্টরকেও পাঠিয়েছি। এটি দেশীয় অস্ত্র, যেটা কাঠের বাঁট দিয়ে তৈরি। অস্ত্রটি দেখে মনে হচ্ছে, অনেক দিন ফেলে রাখা। এতে মরিচা পড়ে আছে।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহামুদুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে খবর পেয়ে তাঁরা ক্যাম্পাসে আসেন। অস্ত্রটি জব্দ করেছেন। এটি দেশীয় পাইপগান। অস্ত্রটি কাঠের বাঁট দিয়ে তৈরি, লোহায় মরিচা পড়ে গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: টয়ল ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।

আজ শনিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ নিয়ে উপাচার্যের আলোচনার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ফিরে যান।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন হলের সামনে গিয়ে মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য আহ্বান জানান একদল বিক্ষোভকারী। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যান। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে ছয় দফা দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ, ভবিষ্যতে হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী এবং গণরুম ও গেস্টরুমে ‘র‍্যাগিং’ সংস্কৃতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তির সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন, অতি দ্রুত হল সংসদ গঠন করে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা, রাজনৈতিক সংগঠনের যেকোনো উপহারসামগ্রী একমাত্র হল প্রশাসনের মাধ্যমে প্রদান এবং এতে ওই সংগঠনের নাম বা কোনো চিহ্ন ব্যবহার না করা, হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগতদের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ, হলের মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলে ছাত্রদলের কমিটি দেওয়া হয়েছে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হলভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আজ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের শিক্ষার্থী শরিফুল আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের হলগুলোতে কোনো রকমের ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছি না। ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকুক, ক্যাম্পাসে আমাদের সুন্দর একটি সহাবস্থান তৈরি হোক, সে ক্ষেত্রে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই। আমরা হলে হলে র‍্যাগিং কালচার, গেস্টরুম কালচার, রাতের পর রাত অত্যাচার দেখেছি। কেউ যেন পুনরায় এসব র‍্যাগিং কালচার, গেস্টরুম কালচার চালু করতে না পারে, সে জন্য আমরা বিক্ষোভে নেমেছি।’ তিনি বলেন, কোনো হলে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করা যাবে না, এটা নিশ্চিত করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, আগামীকাল রোববার তিনি প্রশাসনিক সভা করবেন। ওই সভায় তিনি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।

উপাচার্যের এই আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গাজীপুরে পানিতে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উইকেন্ড এমবিএ, আবেদন শেষ ১১ আগস্ট
  • জাহাঙ্গীরনগরে হলে হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের প্রতিবাদ
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম, আবেদন শেষ ২০ আগস্ট