জাহাঙ্গীরনগরের হল থেকে পরিত্যক্ত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
Published: 25th, June 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হল থেকে পাইপগান সদৃশ একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে হলের দ্বিতীয় তলার টয়লেটের ছাদ থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হল প্রশাসন জরুরি বৈঠক ডেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে হলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী সুজন বাবু টয়লেট পরিষ্কার করতে যান। এ সময় টয়লেটের ছাদে রাখা ব্রাশ নিতে গিয়ে তিনি আগ্নেয়াস্ত্রটি দেখতে পান। এরপর হল প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে তারা আশুলিয়া থানার পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ সেটি জব্দ করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শহীদ সালাম-বরকত হলের কর্মচারী সুজন বাবু বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে টয়লেট পরিষ্কার করতে গিয়েছিলাম। টয়লেটের ছাদে আমি ব্রাশ রেখে আসি। টয়লেট পরিষ্কারের জন্য ছাদের ওপর ব্রাশ নেওয়ার জন্য হাত দিলে ওই জিনিস পাই। পরে হলের স্যারদের বিষয়টি জানাই।’
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি অস্ত্রটি দেখেছি, ছবি তুলে প্রক্টরকেও পাঠিয়েছি। এটি দেশীয় অস্ত্র, যেটা কাঠের বাঁট দিয়ে তৈরি। অস্ত্রটি দেখে মনে হচ্ছে, অনেক দিন ফেলে রাখা। এতে মরিচা পড়ে আছে।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহামুদুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে খবর পেয়ে তাঁরা ক্যাম্পাসে আসেন। অস্ত্রটি জব্দ করেছেন। এটি দেশীয় পাইপগান। অস্ত্রটি কাঠের বাঁট দিয়ে তৈরি, লোহায় মরিচা পড়ে গেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: টয়ল ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জাবি প্রশাসনের
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সম্পর্কে আমির হামজার বক্তব্য ‘আবাসিক হলগুলোতে সকালে মদ দিয়ে কুলি করা হত’ বর্ণনাটি অসত্য বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া এরূপ মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা
ভ্রাতৃত্ব ও অসাম্প্রদায়িকতায় জবিতে মহালয়া উৎসব
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ চালু হয় এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে এই বিভাগে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। সুতরাং আমির হামজা জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হওয়ার যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা সত্য নয়।
পাশাপাশি আবাসিক হলগুলোতে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করার প্রত্যক্ষ করার বর্ণনাটিও তার মনগড়া, যা অসত্য। প্রমাণসহ এমন নজির প্রশাসনের কাছে নেই। ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটানোর তার বক্তব্যটি সত্যের অপলাপ মাত্র বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষাথীর্দের আন্তঃসম্পর্কের বন্ধন সব সময়ই প্রশংসনীয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। জাবি প্রশাসন আমির হামজাকে এ ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদানে সতর্ক ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
এর আগে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জনাব আমির হামজার একটি বক্তব্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এবং আবাসিক হলে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করতে দেখেছেন।
তিনি জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটায়।
ঢাকা/আহসান
ঢাকা/আহসান/মেহেদী