ব্যক্তি একগুয়েমির কারণে দল বারবার বিভক্ত হচ্ছে: কাজী মামুন
Published: 8th, July 2025 GMT
নেতায় নেতায় দ্বন্দ্বের কারণে বর্তমানে খণ্ডিত জাতীয় পার্টি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না মন্তব্য করে দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (রওশন) মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, “খণ্ড খণ্ড হয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না। বারবার বিভক্তির মাধ্যমে সংগঠনের অস্তিত্ব সংকট তৈরি হয়েছে। স্বৈরাচারী মনোভাব, ব্যক্তি স্বার্থ ও একগুয়েমির কারণে দল বারবার বিভক্ত হচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
দেশ সংস্কার না করে কোনো নির্বাচন নয়: নাহিদ
বাংলাদেশপন্থি মত ধারণ করেই জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে: নাহিদ
তিনি বলেন, “আজ দলের নেতৃত্ব সংকট তৈরি হয়েছে। এর থেকে পরিত্রানের উপায় বের করতে হবে আমাদের। সব পক্ষকে এক টেবিলে বসে জাতীয় পার্টিকে নতুন করে সংগঠিত করতে হবে। আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ইতিহাস ভুলে গিয়েছি। আমরা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য আদর্শ থেকে বিচ্যুত হচ্ছি। কিন্তু দলকে ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত করার জন্য যে ব্যাক্তির অগ্রণী ভূমিকা পালন করা উচিত তিনি তা করছেন না, বরং তার কার্যকলাপ দেখে মনে হয় নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় ব্যস্ত তিনি। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নতুবা দল ধ্বংসের জন্য দায়ীদের তৃণমূল নেতাকর্মীরা কখনো ক্ষমা করবে না।”
দ্বন্দ্ব ও স্বার্থের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ফলে সারা দেশের নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়ছে জানিয়ে কাজী মামুন বলেন, “খণ্ডিত জাপা কখনো জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না, তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টির কোনো বিকল্প নেই।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভাবিকে হত্যার সাজা খেটে বাড়ি ফিরেছিলেন, এবার ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ছয় বছরের এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে তার চাচাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ইদুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম নাহিল আক্তার। সে ওই গ্রামের বাসিন্দা দুলাল খানের মেয়ে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হাবিব খান (২৭)। তিনি দুলালের ছোট ভাই ও নাহিলের চাচা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে দোকানে বিস্কুট আনতে যাচ্ছিল নাহিল। এ সময় শিশুটিকে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন তার চাচা হাবিব খান। এতে শিশুটির মাথা ও হাত গুরুতর জখম হয়। এ অবস্থায় স্বজনেরা তাকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বরিশালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় নাহিলের মৃত্যু হয়। পুলিশ রাতেই মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ওই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা হাবিবকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এর আগে ২০১৫ সালে বড় ভাই দুলাল খানের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগমকে হত্যার অভিযোগ ওঠে হাবিবের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় শিশু আইনে তাঁর কারাদণ্ড হয়। গত বছরের প্রথম দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান হাবিব। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দুলালের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের মেয়ে নাহিলকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ সম্পর্কে দুলাল খান বলেন, ‘হাবিব আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে। ২০১৫ সালে আমার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করে। তখন ওর বয়স ছিল ১৭ বছর। হাজত খেটে সে বাড়ি ফিরে এসেছে। এর দেড় বছরের মাথায় আমার মেয়েকেও পিটিয়ে হত্যা করল। আমি হাবিবের ফাঁসি চাই।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, শিশুটিকে হত্যার ঘটনায় হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা দুলাল খান বাদী হয়ে হাবিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।