ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কলা অনুষদের ৩ বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩) ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের, বন্ধু আহত

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে ৩ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারামারি, বহিষ্কার ৮

অনুষদের ১৭টি বিভাগের মোট ১৫৬ জন শিক্ষার্থী এবং দেশে/বিদেশে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ ও স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে ১০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। ডিনস অ্যাওয়ার্ড স্পিকার ছিলেন কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন।

বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী।

এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- বাংলা বিভাগের মাহফুজা মাহবুব, ইংরেজি বিভাগের জেরিন তাসনিম রাইসা, মানতাহা কিশোয়ার, মো. সারোয়ার কামাল ভূঁইয়া, তাওসিফ এহসান, আয়শা আক্তার সুমি, মোসা. ঈশিতা হক, লাবিব রশিদ ইনান এবং তাশরিফা ফাইরুজ, আরবী বিভাগের মাসুদুর রহমান, আবদুল্লাহ মজুমদার, আতহারুল ইসলাম শহিদ, তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মুনতাসির আহমদ মুয়াজ, মাহমুদুল হাসান, এজাজুল হক, মো. সাজ্জাদ হোসেন খান, সামিয়া জাহান, মিজানুর রহমান, নাজমুস সাকিব, হোসাইন আহম্মদ, ইয়াসির মাহমুদ, হাসমত আলী, মাহমুদুল আহসান, মুনতাসির আহমদ, আরফাতুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ইমরান হোসাইন, ওমর ফারুক, জেসমিন ইসলাম তাপসী এবং মোহাম্মদ আব্দুর রহমান মাহদি, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সায়মা আক্তার, মো. খায়রুজ্জামান, মোসা. ফাহিমা সুমাইয়া, মো. ইশরেকাত হাসান ইমন, মাহমুদা আক্তার এবং শান্তা আক্তার, উর্দু বিভাগের সৈয়দা জাসিয়া আলী, মোসা. আলপনা আক্তার, মো. আবু সাজিদ, নাকিবা আজিম এবং মো. হাবিবুল্লাহ মুসকান, সংস্কৃত বিভাগের অনিক চন্দ্র বিশ্বাস, মধু কুমার রায়, উম্মে তামান্না সুলতানা কুয়াশা, সুমি রাণী দাস এবং তমা রাণী সরকার, পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের পিয়া দাস, অধিবাসী রায়, তানজিলা আক্তার এবং প্রতিভা চাকমা, ইতিহাস বিভাগের মো. হাসাইবুর রহমান, সোনিয়া আক্তার, মো. হাসিবুর রহমান, মো. মেহেদী হাসান, আবু তৈয়ব, সৌরভ মিয়া, অনন্যা আক্তার, তাসনিম মোস্তফা, পূজা দাস, ফারজানা পারভিন, সুষ্মিতা বাড়ৈ, অর্জুনা আক্তার, সুরাইয়া ইয়াসমিন সূচনা এবং রূপম রোদ্দর, দর্শন বিভাগের সানজিদা ইমু, তামান্না খাতুন, শায়লা ইসলাম নিপা এবং মো. ইমরান হোসাইন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাঈদ নাকিব, মো. হাসান তারেক খান, মো. মাজহারুল ইসলাম, রাকিজাতুল জান্নাত, কাজী নাঈম সিদ্দিকী, মোহাম্মদ জায়েদ, মো. মাহমুদুর রহমান, মো. আমির ফয়সাল, মো. আহমদ্দুল্লাহ, উম্মে কুলসুম, তাসলিমা আক্তার অণু, জাকিয়া খাতুন, নাসরিন আক্তার, মো. সাখাওয়াত হোসাইন সাব্বির এবং মো. নুর আলম, খায়রুন নেসা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোসা. শাহিনা খাতুন, রুজেল মিয়া, মো. রুমন হোসাইন, জিনাত আরা মুনা, জাহানারা, আফসানা নূর ফাবি, রেশমা আক্তার, ইশিতা খাতুন, মো. তৌহিদুল ইসলাম, হোসনে আরা, মুবাশ্বিরুজ্জামান হাসান, আবু আহমদ মুহিবুল্লাহ এবং সাফা আহমদ, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের মণীষা সাহা, কাজী মোস্তফা জামান, আশিক রায়হান, সানজিদা ইসলাম বুশরা, ফারিহা তাসনিম শ্রুতি এবং মো. হাসনাইন, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের নিকিতা আজম , মোসা. নাসরিন সুলতানা, রিফাত করবী, তাহসিন নূর মৃত্তিতা, মুনিরা মাহজাবিন, মো. আশরাফুল ইসলাম, জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদ এবং মো. আল মামুন, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নওয়াজ শরিফ শুভ, প্রজ্ঞা সাহা, স্মৃতি আক্তার, মো. শাহাজালাল বাদশা, শুদ্ধ এম তৌসিফ এবং শাশ্বত সরকার, সংগীত বিভাগের কমল দত্ত, নূরে জান্নাত আফরিস, অর্পিতা দে এবং নুসরাত জাহান। বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের লুৎফন নাহার, অমৃতা পাল, জান্নাতুল ফেরদৌস, রাগিব আনজুম, দেবাশিস দাস, সুস্ময় দেব বর্মন এবং শিখা রাণী দাস, নৃত্যকলা বিভাগের মূর্ছনা দেবনাথ, লাবনী বন্যা, রিফাহ তাসনিয়া তিশান, সুরাইয়া কবির এবং তন্বি সরকার।

ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার, ড. মো. মুমিত আল রশিদ, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু সায়েম, ড. শাফী মো. মোস্তফা, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ড. শান্টু বড়ুয়া এবং ইংরেজি বিভাগের ড. কামরুল হাসান চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “মেধাকে মূল্যায়ন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। একই সঙ্গে অভিভাবকদেরও আমরা সঙ্গে রাখতে পেরেছি। আসলে আপনারাও আমাদেরই অংশ।”

তিনি বলেন, “মেধার অন্যতম ভিত্তি হলো পরিশ্রম। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের পেছনে অনেকের অবদান থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের যে পরম্পরা, তা তোমরা ধরে রেখেছো। এটাই আমাদের গর্ব।”

তিনি আরো বলেন, “অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা পড়াশোনাকে কিছুটা হলেও স্বীকৃতি দিতে পেরেছি। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকেও সময় দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার ও শিক্ষাজীবনের ভারসাম্যই ভবিষ্যৎকে আরো সমৃদ্ধ করবে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ র রহম ন ল ইসল ম হ স ইন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে ক্রিকইনফো ব্লকের আলোচনা তুললেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ, অথচ ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো ডটকমে দেখানো হচ্ছে জুয়ার বিজ্ঞাপন। তাই দেশে এই ওয়েবসাইট চলতে দেওয়া যায় কি না, সেই আলোচনা তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব সোমবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এ নিয়ে আলোচনা তোলেন।

তৈয়ব লিখেছেন, ‘এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন দেয় ইএসপিএন ক্রিকইনফো ডটকম। অনলাইন জুয়া, এর প্রচার-প্রচারণা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন ২০২৫–এ নিষিদ্ধ। জুয়ার কালো থাবায় বাংলাদেশের যুবকরা সর্বস্বান্ত, পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের সম্পদ। আমরা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ বেশকিছু ক্রিকেট প্লেইং দেশের ক্রিকইনফো অ্যাডভার্টাইজমেন্ট স্টাডি করে দেখেছি। সেখানে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন শতভাগ অনুপস্থিত।’

জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ক্রিকইনফোকে এ বিষয়ে ই–মেইল পাঠিয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাদের ডাকযোগে চিঠিও পাঠানো হবে বলে জানান ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব।

আরও পড়ুনসমালোচনাকারীরা কার পক্ষে বলছেন: ফয়েজ আহমদ১২ অক্টোবর ২০২৫

তৈয়ব বলেন, একদিকে অবৈধভাবে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে ক্রিকইনফো, অন্যদিকে জুয়ার বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের উপর আয়কর কিংবা ভ্যাট হিসেবে বাংলাদেশকে কোনো অর্থ দেয়নি আইন পাসের আগে-পরে। জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ না করলে বাংলাদেশে ক্রিকইনফো ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত হবে কি না, এ বিষয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জনমত সংগ্রহ করবে।

বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। জুয়া দমনে ব্রিটিশ আমলে ১৮৬৭ সালে প্রণীত একটি আইনও রয়েছে।

আরও পড়ুনব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় আইন হচ্ছে, জাতীয় কর্তৃপক্ষ গঠনের চিন্তা: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব২৮ জুন ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকার যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ করেছে, সেখানে সাইবার জগতে জুয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি সাইবার স্পেসে জুয়াখেলার জন্য কোনো পোর্টাল বা অ্যাপস বা ডিভাইস তৈরি করেন বা পরিচালনা করেন বা জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করেন বা খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান করেন বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করেন, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর শাস্তি দুই বছর কারাদণ্ড অথবা এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড।

আরও পড়ুনফোর–জির সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস নির্ধারণ: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব৩১ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জুলাই সনদ গণভোটে পাস করতে হবে: খেলাফত মজলিস
  • দেশে ক্রিকইনফো ব্লকের আলোচনা তুললেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু তোলায় ভাঙনের ঝুঁকিতে স্কুল-কলেজ, প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • সমালোচনাকারীরা কার পক্ষে বলছেন: ফয়েজ আহমদ