এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ফিরতি লেগে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) হংকংয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথমার্ধটা বাংলাদেশের জন্য শেষ হয়েছে হতাশায়। উত্তপ্ত কাই তাক স্পোর্টস পার্কে ৫০ হাজার দর্শকের সামনে লড়াই করেও পেনাল্টি থেকে হজম করা একমাত্র গোলেই বিরতির আগে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে জাভিয়ের কাবরেরার বাংলাদেশ।

ম্যাচের শুরুটা ছিল আশাব্যঞ্জক। রক্ষণে দৃঢ়তা, মাঝমাঠে ছন্দ, আর মাঝে মাঝে আক্রমণে হালকা হুমকিও তৈরি করেছিল লাল-সবুজরা। তবে সেই ছন্দ ভাঙে ৩২ মিনিটে, যখন হংকংয়ের ফরোয়ার্ড ফার্নান্দোকে পেছন থেকে ফাউল করেন তারিক কাজী। জাপানি রেফারির বাঁশির সঙ্গে সঙ্গেই আসে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত, সঙ্গে হলুদ কার্ডও। পেনাল্টি থেকে নির্ভুল শটে ম্যাথিউ বল পাঠান জালের ঠিক ভেতরে।

আরো পড়ুন:

৭ গোলের ম্যাচে হারল বাংলাদেশ

হামজার গোলে প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ১, হংকং ১

নিজের ভুল বুঝে দুই হাত জোড়ে ক্ষমা চান তারিক, কিন্তু তখন আর কিছু করার ছিল না। সেই এক মুহূর্তের ভুলেই বদলে যায় ম্যাচের রূপ।

এরপরও দমে যাননি হামজা চৌধুরী। পুরো মাঠ জুড়ে তার দৌড়ঝাঁপ ছিল চোখে পড়ার মতো। কখনও প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকাতে ছুটে যাচ্ছেন নিচে, কখনও আবার উপরে উঠে আক্রমণ সাজাচ্ছেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে হামজার দারুণ এক থ্রু পাস থেকে সুযোগ এসেছিল সমতায় ফেরার। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়।

নতুন একাদশ নিয়ে শুরু করেন কোচ কাবরেরা। শুরুর একাদশে ছিলেন জায়ান আহমেদ, শমিত সোম ও তপু বর্মণ। তবে বিশ্রাম দেওয়া হয় ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, তাজ উদ্দিন ও মোহাম্মদ সোহেল রানাকে। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও ছিলেন না প্রথম একাদশে।

৫-৪-১ ছকে রক্ষণ সামলে খেললেও মাঝে মাঝে রাকিব হোসেন ও মোরসালিন এগিয়ে এসে আক্রমণ সাজানোর চেষ্টা করেছেন। তবে সুযোগ তৈরি করেও লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ২২ মিনিটে শমিত সোমকে ফাউল করে বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি কিকের সুযোগ পেয়েছিল দল। কিন্তু হামজার শট প্রতিপক্ষের রক্ষণে আটকে যায়।

হংকং নিজেদের শক্তি বুঝে-শুনে খেলেছে-ধীরে, শৃঙ্খলাপূর্ণ, সুযোগ পেলে প্রাণঘাতী। শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল তারা। তবে মিতুল মারমার দৃঢ়তায় আর গোল পায়নি স্বাগতিকরা।

প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার সময় স্কোরবোর্ডে ভাসছিল হংকং ১, বাংলাদেশ ০।

তবু আশার আলো পুরোপুরি নিভে যায়নি। বিরতির পর নতুন কৌশল ও দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে মাঠে ফিরেছে বাংলাদেশ। হাভিয়ের কাবরেরা হয়তো তখন ড্রেসিং রুমে বলছিলেন, “একটি ভুলে নয়, লড়াইয়ে জিততে হয়।”

বাংলাদেশ একাদশ:
মিতুল মারমা (গোলকিপার), জায়ান আহমেদ, তপু বর্মণ (অধিনায়ক), শাকিল আহাদ তপু, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, সোহেল রানা সিনিয়র, শেখ মোরসালিন ও রাকিব হোসেন। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল প রথম র ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার 

ঢাকার কলাবাগান এলাকায় একটি বাসার ডিপ ফ্রিজ থেকে তাসলিমা আক্তার (৪২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন তার স্বামী নজরুল ইসলাম। 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মো. ফজলে আশিক রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের স্বামী নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে প্রকৃত কারণ জানা যেতে পারে।”

এ ঘটনায় তাসলিমা আক্তারের এক স্বজন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে সোমবার রাতে কলাবাগান ফার্স্ট লেনের একটি ভবন থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে তালা ভেঙে ডিপ ফ্রিজে মুখ বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে। 

পুলিশ আরো জানায়, মাথায় ভারী বা ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা করা হয়েছে। ফলে মাথার হাড় ভেঙে খুলি বের হয়ে গেছে। 

তাসলিমা আক্তারের মেয়ে বলেন, “বাবা আম্মুকে সন্দেহ করতেন। ভাবতেন তার অন্য কারো সাথে সম্পর্ক ছিল এবং খারাপ কাজ করে টাকা উপার্জন করতো। কিন্তু আমার মা তেমন বাইরেই যেতেন না। আমার বাবা নেশা করতো। অধিকাংশ সময় বাইরে থেকে নেশা করে ঘরে ফিরত, কখনও কখনও বাসায় এসেও নেশা করতো। বাবাই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাকে হত্যা করেছে।”

মাকে হারিয়ে তার হত্যার বিচার চেয়ে তাসলিমার মেয়ে বলেন, “আমরা চাই, বাবার ফাঁসি হোক।”

নিহতের চাচাতো ভাই বলেন, “মাঝে মাঝেই আমার বোন দুলাইভায়ের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। বোনকে মারধর করত। প্রায় বাবার বাড়ি চলে যেত।”

ঢাকা/এমআর/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকায় ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার