৩৬ বছরে প্রথমবার ব্রাজিলকে হারাল জাপান
Published: 14th, October 2025 GMT
এশিয়া সফরে প্রথম আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল। এরপর তারা যায় জাপানে। সেখানে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে মুখোমুখি হয় জাপানের। প্রথমার্ধে জাপানের জালে ২ গোল দিয়েও দ্বিতীয়ার্ধে ৩ গোল হজম করে ৩-২ ব্যবধানে হার মানে সেলেসওরা। যা ৩৬ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার জাপানের কাছে হার ব্রাজিলের। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও জাপান। তার মধ্যে ব্রাজিল জিতেছিল ১১ বার। দুটি ম্যাচে ড্র করেছিল জাপান। ২০২৫ সালের অক্টোবরে নতুন একটি ইতিহাস গড়লো সামুরাই ব্লুরা। প্রথমবার হারিয়ে দিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
বিস্তারিত আসছে…
আরো পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ার জালে ব্রাজিলের ৫ গোল
দুঃস্বপ্ন যেন শেষই হচ্ছে না নেইমারের, আবারও ইনজুরিতে
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু
দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকার আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। মাসব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে একটি ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন:
শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি গুজব
দুই দিন পিছিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর ১৭ অক্টোবর
জন্মসনদ না থাকলেও শিশুরা এই টিকা পাবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে টিকাটি, যা সরকার পেয়েছে আন্তর্জাতিক টিকাবিষয়ক সংস্থা গ্যাভির সহায়তায়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এবং নিরাপদ। নেপাল, পাকিস্তানসহ আরো আটটি দেশে এই টিকা ব্যবহৃত হয়েছে এবং কোথাও বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পেইনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী বাকি শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া হবে। শহরের পথশিশুদের টিকাদানে সহায়তা করবে বিভিন্ন এনজিও।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু নিবন্ধন করেছে। নিবন্ধন চলমান রয়েছে। যেসব শিশুর জন্মসনদ নেই, তাদেরও টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। এর জন্য নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অভিভাবকরা https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে গিয়ে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে এবং নিবন্ধনের পর জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।
ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, “১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের প্রথম ১০ দিন দেশের স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে ক্যাম্প করে এবং পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে এই টিকা দেওয়া হবে।”
ঢাকা/এএএম/ইভা