আবাসিক হলে অস্ত্র রাখার অভিযোগে আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মামুন মিয়ার শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবন-১ এর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আরো পড়ুন:

শাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের নেতৃত্বে হাফিজুল-হীরা

শাবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বহিষ্কার

মানববন্ধনে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুস সবুর বলেন, “মামুন ভাইকে বহিষ্কার করা অন্যায়। অপরাধীরা শাস্তি পাক—এটা আমরা চাই। কিন্তু যিনি নির্দোষ, তাকে এভাবে বহিষ্কার করা ঠিক নয়। আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নির্দোষ শিক্ষার্থীর ন্যায্যতার দাবিতে এখানে দাঁড়িয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই, মামুন ভাইয়ের বহিষ্কারাদেশ দ্রুত সিন্ডিকেটে উত্থাপন করে বাতিল করা হোক।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক ড.

সাজেদুল করিম বলেন, “যারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করছে, তারা আপিল করতে পারে। আপিলের ভিত্তিতে বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করা হবে। যদি তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, “যারা আপিল করবে, তারা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে—তাদের শিক্ষাজীবনে কোনো বাধা থাকবে না।”

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে, তাঁদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড আছে: জামায়েত নেতা তাহের

অন্তর্বর্তী সরকারের কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাঁদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড আছে বলে দাবি করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, এসব উপদেষ্টা সভায় কী বক্তব্য দেন, এর খবরও তাঁর কাছে আছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এসব কথা বলেন। কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তাহের অভিযোগ করে বলেন, একটি দলের লোকদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনে বসিয়ে নীলনকশার নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র চলছে। এতে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছেন না তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জামায়াতের নেতা তাহের বলেন, ‘আমি সরকারকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আজকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই না। আজকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রশাসনের যে অবস্থা এবং যে ষড়যন্ত্র চলছে, এটাকে বন্ধ করুন। নিরপেক্ষ সৎ লোকদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করুন। আর যদি না হয়, কোন কোন উপদেষ্টার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে নাম আছে। তাঁদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে। মিটিংয়ে তাঁরা কী বক্তব্য দেন, এর খবর আছে। আমরা জনগণের কাছে আপনাদের এখন প্রকাশ করছি না। সুযোগ করে দিতে চাই। আপনাদের সংশোধনের জন্য সময় দিতে চাই। যদি সময়মতো সাবধান না হন, তাহলে জনসমক্ষে নাম প্রকাশ করা হবে।’

পিআর পদ্ধতিতে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকায় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী পর্যন্ত সড়ক পথে এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। এরই অংশ হিসেবে মৎস্য ভবন মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু হওয়ার জন্য সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হয়। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হতে হয়। সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে হয়। কিন্তু আমরা দেখছি, সেই নিরপেক্ষ প্রশাসন, সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে আবার দলীয়করণ করার জন্য এক মহাষড়যন্ত্র হচ্ছে।’

আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘গত পরশু জনপ্রশাসনে একজন সচিবকে নিয়োগ করা হয়েছে। আমরা আগে সরকারকে বলেছিলাম, এই জায়গাটি নির্বাচন আগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে সিএসপিদের নিয়োগ হয়ে থাকে। বিভাগীয় কমিশনারদের নিয়োগ হয়ে থাকে এবং এখানে একজন নিরপেক্ষ যোগ্য ব্যক্তিকে, সৎ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া দরকার।’

জামায়াত নেতা তাহের বলেন, ‘সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে আমরা এখানে কোনো দলীয় লোক দেব না। আমরা এখানে কোনো অসৎ লোক দেব না। আপনারা নিশ্চিত থাকেন যে আমরা নির্দলীয় সৎ ও যোগ্য লোককে সেখানে বসাব। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছি, আমাদের সঙ্গে কথা বলার এক দিন পরেই এমন এক ব্যক্তিকে সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে, যার অতীতের দুর্নীতির ইতিহাস অনেক লম্বা। সে একটি দলের প্রতি পরিপূর্ণভাবে অনুগত এবং বিভিন্ন সময়ে একটি বিশেষ দলের ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিভিন্ন পোর্টফোলিওতে দায়িত্ব পালন করেছে।’

তাহের অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা আজও দেখছি, সরকারের চার থেকে পাঁচজন উপদেষ্টা একটি বিশেষ দলের পক্ষে সব নিয়োগকে নিয়ন্ত্রণ করে একটি দলের দলীয় সরকারে পরিণত করার চেষ্টা করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুলিশের কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। সেখানে একই রকমের কথা যে প্রচণ্ড চাপ কোনো একটি দলের লোকদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য।’

নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, গণভোট এখন সবার ঐক্যবদ্ধ একটি সিদ্ধান্ত। কিন্তু এখানে একটু প্যাঁচ খেলার চেষ্টা করছে। সেটা হচ্ছে, বলছে যে গণভোট ও জাতীয় ভোট একসঙ্গে হতে হবে।

মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা মহানগরের উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম সভা সঞ্চালনা করেন। এই মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, এহসানুল মাহবুব জোবাবয়ের, আবদুল হালিম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বজনদের ফেরত দিন, না পারলে জড়িতদের বিচার করুন
  • কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে, তাঁদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড আছে: জামায়েত নেতা তাহের
  • জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের আগেই গণভোটের দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের
  • পাঁচ দফা দাবিতে যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী পর্যন্ত মানববন্ধন করল জামায়াত
  • লালনের আখড়ায় মাদক সেবন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
  • সিলেটে মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে গণ-অবস্থান ও মানববন্ধন
  • নির্বাচনের আগেই গণভোট দাবি: তৃতীয় ধা‌পে নতুন কর্মসূ‌চি ইসলামী আন্দোলনের
  • জাবিতে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের বিচার দাবি
  • সোনারগাঁয়ে ভূমিদস্যুর  মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন