অষ্টম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, আছে প্রশ্নও
Published: 28th, July 2025 GMT
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর এবার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষাও আবার নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রায় সাত মাস পার হয়ে যাওয়ার পর এখন এ বছরই পরীক্ষাটি আয়োজনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ পরীক্ষায় বন্ধ হয়ে যাওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার মতো সব শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে না; বাছাই করা নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থী এতে অংশ নিতে পারবে।
অবশ্য এ উদ্যোগ ঘিরে বিভক্ত মত রয়েছে শিক্ষাবিদদের মধ্যে। কেউ কেউ বলছেন, বাছাই করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন শিক্ষায় বৈষম্য বাড়াতে পারে। কারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কেবল নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের প্রতি মনোযোগী হবে। তাতে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার আশঙ্কাও বাড়বে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার চাপ এবং কোচিং-প্রাইভেটনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়ে অভিভাবকদের ওপর অর্থনৈতিক চাপও বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুনএকাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন ৩০ জুলাই শুরু, ক্লাস ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে২৪ জুলাই ২০২৫শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাষ্য, দেশের শিক্ষার্থীরা এমনিতেই শিখনঘাটতি নিয়ে ওপরের শ্রেণিতে উঠছে, যার প্রভাব পড়ছে কর্মক্ষেত্রে। তাই বিদ্যালয় পর্যায়ে সব শিক্ষার্থী কীভাবে শিক্ষাক্রম নির্ধারিত শিখন অর্জন করতে পারে, সে ব্যবস্থার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বেশি সহযোগিতা করা দরকার। আর মেধাবীদের পুরস্কার আরও নানাভাবে দেওয়ার সুযোগ আছে, পরীক্ষাই একমাত্র উপায় নয়। তাই বিদ্যালয় পর্যায়ে সামগ্রিকভাবে শিক্ষার গুণগত মান কীভাবে উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখনই নাম প্রকাশ করে কথা বলতে চান না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
‘শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য বৃত্তি পরীক্ষা সহায়ক নয়।...এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষকেরা নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থীর ওপর মনোযোগী হবেন, অন্যদের প্রতি অবহেলা হতে পারে।’ মনজুর আহমদ, ইমেরিটাস অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
২০১০ সালের আগে পৃথকভাবে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হতো। তখন এর জায়গা নেয় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা, যেখানে সব শিক্ষার্থী বৃত্তির জন্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারত। কিন্তু ২০১০ সালে চালু জেএসসি পরীক্ষাকে ঘিরে কোচিং-প্রাইভেটের প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এ পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখার বিবেচনায় আর এ পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুননটর ডেম কলেজ: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ, ও লেভেল শিক্ষার্থীদের আবেদন নয়, আসন ৩২৯০টি২৬ জুলাই ২০২৫প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষাও করোনার সংক্রমণ শুরুর পর বন্ধ ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের শেষের দিকে হঠাৎই তা চালুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখনো বিশেষজ্ঞদের আপত্তি ছিল। পরে সেই পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ভুল-অসংগতি ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালে আবারও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমানে প্রাথমিক স্তরের বৃত্তি পরীক্ষা আবার চালু হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষাও ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় চলছে। এ লক্ষ্যে ২০ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় জানানো হয়, এ বছরই জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। তবে পরীক্ষাটি কারা নেবে, সে সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আগে এ পরীক্ষা পরিচালনা করত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অন্যদিকে জেএসসি পরীক্ষা নিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। এখন দুই পক্ষই পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে ঠেলাঠেলিতে রয়েছে।
জেএসসি পরীক্ষা চালুর আগে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে এ পরীক্ষা হতো। কিন্তু ২০১০ সালে জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে শিক্ষা বোর্ডের অধীন। যেহেতু বোর্ড সার্টিফিকেট পরীক্ষার নেওয়ার আইনি প্রতিষ্ঠান, সে জন্য তারা এ পরীক্ষা নিত। এ অবস্থায় শিক্ষা বোর্ড বলছে বৃত্তি পরীক্ষা মাউশির অধীন হোক। কিন্তু মাউশি বলছে, এ পরীক্ষা তাদের অধীনে নেওয়া কঠিন। তাই জেএসসির মতো শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ পরীক্ষা হোক।
আরও পড়ুন২০২৫ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা হবে ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর১৯ জুলাই ২০২৫অষ্টম শ্রেণির কত শতাংশ শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রাথমিক বৃত্তির মতো ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
জানতে চাইলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য বৃত্তি পরীক্ষা সহায়ক নয়। এতে কেবল কিছু ভালো শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে এবং তারা পুরস্কার পাবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষকেরা নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থীর ওপর মনোযোগী হবেন, অন্যদের প্রতি অবহেলা হতে পারে। এটি চালু করে শিক্ষার বিদ্যমান সমস্যার সমাধান না করে বরং সমস্যাকে ঢেকে রাখার জন্য কি না, সেই প্রশ্নও আসে। তাই গরিব ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সমস্যা বিবেচনা করে আরও কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সেটি বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব শিক্ষার্থীই যাতে ভালো করে শিখতে পারে, সে জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সব শ ক ষ র থ পর ক ষ র টম শ র ণ ই পর ক ষ এ পর ক ষ র জন য র ওপর ত হয়ন জ এসস
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ১২৩ ‘চাঁদাবাজের’ তালিকা নিয়ে তোলপাড়
রাজশাহী মহানগর বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের পরিচয়ধারী ১২৩ জন ‘চাঁদাবাজের’ নাম সংবলিত একটি তালিকা রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে গত কয়েক দিন থেকে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এতে বিএনপি, ছাত্রদল ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, ক্যাডার, সমর্থক থেকে শুরু করে ৪৪ জনের নাম পরিচয় আছে। একইভাবে পতিত আওয়ামী লীগের ২৫ জন ও জামায়াতের ৬ জনের নাম আছে। বাকিগুলোর নাম ঠিকানা দেওয়া আছে কিন্তু কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তাদের সুবিধাবাদী বলা হয়েছে।
এই তালিকার ১৮ জনের নাম সম্প্রতি একজন আবাসন ব্যবসায়ীর দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় আছে। সেই মামলায় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাদের প্রধান আসামি করা হয়েছে। এই মামলার প্রতিবাদে তাঁরা সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
এই তালিকা পুলিশের নাকি সরকারের অন্য কোনো সংস্থার তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে এক নেতা দাবি করেছেন, এই তালিকা পুলিশ করেছে। তিনি তালিকায় পুলিশের স্বাক্ষর দেখেছেন। তবে মানুষের হাতে হাতে যে তালিকা ঘুরছে তাতে পুলিশের কোনো স্বাক্ষর নেই।
তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. গাজিউর রহমান আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ছাড়াও সরকারের অন্যান্য সংস্থা তালিকা করে থাকে। তালিকাটি তিনি দেখেননি। না দেখে বলতে পারবেন না। সরকারি কোনো সংস্থার তালিকা এভাবে ছড়িয়ে পড়ার কথা নয়। তবে তিনি মনে করেন, তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা যদি সত্যিই চাঁদাবাজ হয়ে থাকে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আপনাদেরও উচিত পুলিশকে এদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্যই তো জনগণ রাস্তায় নেমেছিল। সেটা হওয়া দরকার। বিএনপির ওপর মহলও তো চাঁদাবাজদের সমর্থন করছে না।’
তালিকায় ছাত্রদলের এক নেতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের অনুসারীদের মামলার ভয়ভীতি ও বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে চাঁদাবাজি করেছেন তিনি। মহানগর বিএনপির একজন যুগ্ম আহ্বায়ক সম্পর্কে বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের পর থেকে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছেন। মহানগর বিএনপির এক সদস্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, নগরের বোয়ালিয়া থানাধীন ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি করেন তিনি। নগরের ভুবনমোহন পার্কে সাইকেলের গ্যারেজ আছে। জামায়াতের একজনকে ‘ক্যাডার’ উল্লেখ করে তাঁর সম্পর্কে বলা হয়েছে, ভূমি দখল ও কেনাবেচা, বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যক্তিদের হুমকি-ধমকি ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা দিয়ে চাঁদা আদায় করেন তিনি। জামায়াতের আরও যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সবার নামে প্রায় একই ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁদের একজনের বিরুদ্ধে মাদক কারবারির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আগে আওয়ামী লীগ বর্তমানে বিএনপি করেন এমন একজনকে দেশীয় অস্ত্রধারী ক্যাডার, গভীর রাতে রাস্তায় চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবন থেকে চাঁদাবাজি করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এই তালিকা দেখে হতবাক হয়েছেন। কোন সংস্থা বা কে করেছেন, জানা নেই, তবে সারা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে, এই তালিকা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হতে পারে দু-একজন জড়িত, কিন্তু ঢালাওভাবে নাম দেওয়া-এটা হতে পারে না। কিছু কিছু লোককে তাঁরা চাঁদাবাজ হিসেবে চেনেন, তালিকায় তাঁদের নাম নেই। তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজদের শনাক্ত করা তো খুবই সোজা। দেখতে হবে কারা ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নামে ঢালাও মামলা করেছে। হয়তো পাঁচজন বা দশজন লোক ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা নাম দিয়েছে ৪০০ জনের। যারা এই সব মামলার বাদী তারাই তো চাঁদাবাজ। তবে যারা অপরাধ করেছে তাদের নামে মামলা করা অপরাধ নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখন সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় প্রশাসনের লোকজন কাকে ফিডব্যাক দিচ্ছে এটা বোধগম্য হচ্ছে না। তারা চাচ্ছে দেশে আবার স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। এটা তাদের চক্রান্তের একটা অংশ হতে পারে। এরা তিন-চারটা করে পদোন্নতি নিয়েছে। আগে আওয়ামী লীগ সাজতে গিয়েছিল, এখন ভালো মানুষ সাজতে যাচ্ছে। মুখোশধারী এরা।’ তিনি বলেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে এই তালিকার বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। পুলিশ কমিশনার তাকে কোথাকার কী কল রেকর্ড-এই সব দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি পুলিশ কমিশনারকে বলেছেন, ‘আপনি তদন্ত করেন আবার।’
জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিন মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, যাদের নাম তালিকায় আছে, তাঁদের সংগঠন থেকে সম্পূর্ণ বয়কট করা হয়েছে। নেতাদেরও বলে দেওয়া হয়েছে কারও কাছে যেন তারা ঘেঁষতে না পারেন। এরপরেও সুযোগ পেলেই কারও পাশে দাঁড়িয়ে হয়তো ছবি তুলে প্রচার করে তাঁরা।