বদলে যাচ্ছে হিমালয় পর্বতমালার মেঘ
Published: 5th, August 2025 GMT
হিমালয় পবর্তমালাকে পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক স্থান বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ, হাজার বছর ধরে এ পবর্তমালা তার আদি রূপ ধরে রেখেছে। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে হিমালয় পর্বতমালা আর আগের মতো থাকবে না। সেখানকার মেঘে বিষাক্ত ধাতু পাওয়া গেছে। বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান বোস ইনস্টিটিউটের নতুন এক গবেষণায় মহাবালেশ্বর নামের এলাকার মেঘে দার্জিলিংয়ের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, হিমালয়ের মেঘ নীরবে বিষাক্ত ভারী ধাতু বহন করছে। এতে নতুন স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ক্যানসার সৃষ্টিকারী বিভিন্ন উপাদানের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। নতুন এক গবেষণায় পূর্ব হিমালয়ের মেঘে পশ্চিম এলাকার মেঘের তুলনায় দেড় গুণ বেশি দূষণ শনাক্ত করা হয়েছে।
বোস ইনস্টিটিউটের গবেষণায় হিমালয়ের মেঘে ক্যাডমিয়াম, তামা ও দস্তার মতো বিষাক্ত ধাতু চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব বিষাক্ত ধাতুর কারণে উচ্চ ঘনত্বযুক্ত পূর্ব হিমালয়ে দূষিত মেঘ দেখা যাচ্ছে। এতে বিভিন্ন রোগের শঙ্কা বাড়ছে। মেঘে উপস্থিত দ্রবীভূত ক্রোমিয়াম শ্বাসপ্রশ্বাসের কারণে কার্সিনোজেনিক রোগের কারণ হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বর্তমানে হিমালয়ের আশপাশের অঞ্চলের মেঘে ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, তামা ও জিংকের উচ্চ মাত্রার কারণ জানার চেষ্টা করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, পাহাড়ের পাদদেশ থেকে যানবাহন ও শিল্পকারখানা থেকে এসব নির্গমন হচ্ছে। মেঘ ভারী ধাতু পরিবহন করছে বলে বৃষ্টির পানির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ছে। এতে হিমালয় অঞ্চলের পানিপ্রবাহে পরিবর্তন আসতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাজেকের পথে পানি, আটকা পড়েছেন ৩ শতাধিক পর্যটক
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মাচালং এলাকায় ভারী বৃষ্টির ফলে সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উভয় পাশে আটকা পড়েছেন সাজেকগামী ও সাজেকফেরত ৩ শতাধিক পর্যটক।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের মাচালং বাজার সেতুর পাশের সড়কের কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সাজেকে শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। সাজেকগামী প্রায় ২০০ পর্যটক দীঘিনালা পাড়ে আটকা পড়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেক পর্যটন রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল (সোমবার) খুব বেশি পর্যটক সাজেকে যাননি। যাদের জরুরি প্রয়োজন ছিল, তারা মাচালং বাজারে নৌকা দিয়ে পার হয়ে খাগড়াছড়িতে ফিরেছেন। আজ (মঙ্গলবার) কেউ সাজেকে প্রবেশ করেননি। যেসব পর্যটক সাজেকে ফেরত এসেছেন, তাদেরকে সর্বনিম্ন মূল্যে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
সুপর্ন দেব বর্মন আশা প্রকাশ করেছেন, বৃষ্টি না হলে সড়কের পানি হয়ত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নেমে যাবে।
খাগড়াছড়ি জিপ মালিক সমিতির অফিসের লাইনম্যান সৈকত জানিয়েছেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাজেকের দুই পাড়ে বেশকিছু গাড়ি মাচালং থেকে ফেরত আসেন। ২৫০ থেকে ৩০০ পর্যটক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি।
ঢাকা/শংকর/রফিক