ক্রিকেটকে বাণিজ্যিকীকরণ করে ফেলার পর ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগগুলো বছরের অনেকটা সময় কেড়ে নিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে এর ব্যাপ্তি এতটাই বেড়ে গেছে যে, ক্রিকেট–সংশ্লিষ্ট প্রায় সবাই এই লিগগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ছে।  

কিন্তু কোন লিগ সবচেয়ে বেশি জমজমাট আর বিনোদনে ভরপুর? ক্রিকেটের তথ্য–উপাত্ত, পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্রিকভিজের সহায়তা নিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সবচেয়ে বিনোদনমূলক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ কোনটি?

ক্রিকেট মাঠে এখন শুধু ছক্কা-চার আর উত্তেজনা। আইপিএল, পিএসএল, এসএ২০, বিগ ব্যাশ, সিপিএল, আইএলটি২০, বিপিএল—একেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ যেন ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এক মহাবিনোদনের প্যাকেজ। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও ছোট পরিসরের (১০০ বলের) টুর্নামেন্ট দ্য হানড্রেড। সেরা লিগ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রিকভিজ ও বিবিসি কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড ব্যবহার করেছে।

র‍্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে আইপিএল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ র য ঞ চ ইজ

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে কুমার নদে বইঠার ছন্দে জমজমাট নৌকাবাইচ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হোগলাকান্দিতে কুমার নদে দুই দিনব্যাপী নৌকাবাইচ সমাপ্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ দেখতে নদের দুই পাড়ে ভিড় করেন কয়েক হাজার দর্শক।

হোগলাকান্দি গ্রামের যুবসমাজের আয়োজনে প্রতিযোগিতাটি হয়। এতে মোট ছয়টি নৌকা অংশ নেয়। এর মধ্যে ‘যুব এক্সপ্রেস’ নামের নৌকাটি প্রথম স্থান অধিকার করে।

গতকাল দুপুর থেকে নৌকাবাইচ দেখতে আসা দর্শনার্থীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নানা বয়সী মানুষ, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা মুঠোফোনে নৌকাবাইচের দৃশ্য ধারণ করছিলেন। নৌকাগুলো যখন জল কেটে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন নদীর দুই পাড় থেকে দর্শকেরা করতালি ও স্লোগান দিয়ে মাঝি-মাল্লাদের উৎসাহ দিচ্ছিলেন।

প্রতিবছর পরিবার-পরিজন নিয়ে নৌকাবাইচ দেখতে আসেন জানিয়ে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বাসিন্দা ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘নৌকাবাইচের পাশাপাশি হোগলাকান্দিতে গ্রামীণ মেলা বসে। এ দিনটির জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি। এই মেলায় একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়, সব মিলিয়ে আনন্দে দিনটি কাটে।’

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নৌকাবাইচ দেখতে এসেছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা আক্তার। সে জানায়, ‘এখানে এসে নৌকাবাইচ দেখে খুব ভালো লাগছে। মেলা থেকে মাটির তৈজসপত্রসহ কিছু জিনিস কিনেছি। নাগরদোলায় উঠলাম, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি খেলাম—সব মিলিয়ে খুব ভালো কেটেছে।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতাটির প্রথম দিনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আয়োজক কমিটির প্রধান গিয়াস উদ্দিন বলেন, গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে, নতুন প্রজন্মকে শিকড়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং সাধারণ মানুষকে বিনোদন দিতেই এই আয়োজন।

হোগলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও সমাজ সেবক আব্দুর রাজ্জাক মোল্যার সভাপতিত্বে এই আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক মঈনুল ইসলাম, সহসাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা মোল্যা, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব আরিফুল ইসলাম, ছাত্রদলের সভাপতি আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপালগঞ্জে কুমার নদে বইঠার ছন্দে জমজমাট নৌকাবাইচ