মায়া মায়া চেহারার শান্ত এক মেয়ে বসে আছে কোর্ট রুমে। আজ তার বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু একটা ফোনকল নাড়িয়ে দেয় সবকিছু। ভেঙে যায় ভানি বাত্রার বিয়ে।
ছয় মাস পর ভানি উঠে দাঁড়ায়। কাজ নেয় এক পত্রিকা অফিসে। কিন্তু প্রথম দিনই মুখোমুখি হয় এক রাগী, বদমেজাজি উঠতি গায়কের। ধ্বংসাত্মক তাঁর আচরণ। রেগে গেলে কিছুরই পরোয়া করে না। সেদিনই ভানি জানতে পারে তার নাম কৃষ কাপুর। কৃষ স্বপ্ন দেখে একদিন বড় গায়ক হবে। কিন্তু স্বজনপ্রীতির চক্করে নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পায় না। এ কারণেই তার এত ক্ষোভ। নিজের গানের দলের সদস্যদের সঙ্গেও মারামারি করতে দ্বিধা করে না সে।
সিনেমা: ‘সাইয়ারা’
জনরা: রোমান্টিক ড্রামা
পরিচালক: মোহিত সুরি
অভিনয়: আহান পান্ডে, অনীত পড্ডা, গীতা আগরওয়াল, রাজেশ কুমার, শাদ রন্ধাওয়া
রানটাইম: ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
ভাগ্যের ফেরে ভানি আর কৃষ আবার এক হয়। তবে প্রয়োজনটা নেহাতই স্বার্থের। তবে দ্রুত ঘটনা মোড় নিতে থাকে অন্যদিকে। কৃষ আর ভানি যখন ধীরে ধীরে কাছে আসতে শুরু করে, তখনই এক কঠোর সত্য এসে তছনছ করে দিতে চায় সব। কৃষ হারাতে থাকে ভানিকে। কী হয় শেষ পর্যন্ত, তা জানতে হলে দেখতে হবে ‘সাইয়ারা’ সিনেমাটি।
বলিউড সিনেমার একের পর এক টেনেটুনে হিট সিনেমার মধ্যে ‘সাইয়ারা’ যেন এক ব্যতিক্রম। গত ১৮ জুলাই মুক্তির পর থেকেই চলছে ‘সাইয়ারা’-ঝড়।
৪৫ কোটি বাজেটের এ সিনেমা মুক্তির প্রথম দিনই তুলে নেয় ২০ কোটি রুপি। দুই নতুন মুখকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে নির্মাতা মোহিত সুরি মাত করে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সিনেমাটি ৩০০ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ সিনেমার আয় ৩৫০ কোটি পর্যন্ত যেতে পারে।
‘সাইয়ারা’ খুব একটা ব্যতিক্রমী প্লটের গল্প নয়। বরং এ সিনেমার গল্পের মিল আছে ‘আশিকি ২’, ‘সনম তেরি কসম’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমার সঙ্গে। তবে নির্মাতা মোহিত সুরি তাঁর জাদু দেখিয়েছেন নতুন দুই মুখের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে।
‘সাইয়ারা’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সের ব্যাটিং ঝলক আর বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়
ডাবলিনের মালাহাইড ভিলেজে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের নায়ক জর্ডান কক্স করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। সঙ্গে লিয়াম ডসন, জেমি ওভারটন ও আদিল রশিদের বোলিং জাদুতেই ধরা খেল স্বাগতিকরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের মূল ভরসা ছিলেন গ্যারেথ ডেলানি। শেষদিকে তার ঝড়ো ২৯ বলে অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় দল। ইনিংসে ছিল ৪টি চার আর ৩টি বিশাল ছক্কা। ওপেনার রস অ্যাডায়ার ২৩ বলে ৩৩ এবং তিন নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর ২৭ বলে ২৮ রান যোগ করেন। তবে অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে দ্রুত ফেরান ডসন। পরে টেক্টরকেও আউট করে ২ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেটের বোলিং ফিগার দাঁড় করান তিনি।
আরো পড়ুন:
ভারতকে ১৭২ রানের টার্গেট ছুড়ল পাকিস্তান
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ভারত
জেমি ওভারটন তার চার ওভারে লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফারকে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডের মিডল অর্ডারে আঘাত হানেন। সবচেয়ে কার্যকরী ছিলেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ইনিংসের শেষভাগে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২৯ রানে ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই সিনিয়র ব্যাটার জস বাটলারকে শূন্য রানে ফেরান ব্যারি ম্যাককার্থি। অধিনায়ক জেকব বেথেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, করেন মাত্র ১৫ রান।
তবে একপ্রান্ত আগলে ব্যাট চালান ফিল সল্ট। ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসে দুই চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে গড়েন কক্সের সঙ্গে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সেখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। কক্স খেলেন ৩৭ বলে ৫৫ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস। যেখানে ছিল নিয়ন্ত্রিত শটের ছড়াছড়ি। শেষ পর্যন্ত বেন হোয়াইট তাকে বোল্ড করলেও তখন জয় প্রায় নিশ্চিত।
বাকি কাজটা সেরে দেন টম ব্যান্টন ও রেহান আহমেদ। ব্যান্টনের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রানে ভর করে ১৭.১ ওভারেই ৪ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড।
ঢাকা/আমিনুল