নতুন বিতর্ক তুললেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার সাব্বির আহমেদ। ওভালে পঞ্চম টেস্টে গত সোমবার শেষ দিনে ইংল্যান্ডকে নাটকীয়ভাবে হারিয়ে সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করে ভারত। তবে এই জয়ের পর সাব্বির দাবি করেন, ভারতের পেসাররা বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ওভাল টেস্টে ভেসলিন ব্যবহার করেছেন।

৩৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের শেষ দিনে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৫ রান, ভারতের ৪ উইকেট। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ভারতের পেসাররা শেষ দিনে সকালের সেশনে দুর্দান্ত বোলিং করেন। বলা যায়, ভারতের পেসারদের হয়ে কথা বলেছে বল।

নতুন বল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও ভারত তখন নেয়নি। মোহাম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণার দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৬ রানে জেতে শুবমান গিলের দল। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪ রানে ৫ উইকেট নেন পেসার সিরাজ ও ১২৬ রানে ৪ উইকেট নেন আরেক পেসার কৃঞ্চা।

সাব্বির দাবি করেন, ভারতের পেসাররা বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ভেসলিন ব্যবহার করেছেন, যে কারণে অতিরিক্ত সুবিধা পেয়েছেন তাঁরা। সাব্বিরের মতে, পেট্রোলিয়াম জেলি লাল বলে ব্যবহার করলে তা ‘৮০‍+ওভার’ পরও নতুনের মতো লাগে। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫.

১ ওভারে ৩৬৭ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। শেষ দিনে ৮.৫ ওভার টিকেছে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস।

আরও পড়ুনওভাল টেস্ট জিতিয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে সিরাজ–কৃষ্ণা৫৫ মিনিট আগে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের এক্স হ্যান্ডলে ৪৯ বছর বয়সী সাব্বির লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় ভারত ভেসলিন ব্যবহার করেছে। ৮০‍+ ওভার পরও বল নতুনের মতো চকচক করছিল। আম্পায়ারদের উচিত এই বল ল্যাবে পরীক্ষা করা।’

১৯৯৯ সালে টরেন্টোয় ওয়ানডে ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক সাব্বিরের। দেশের হয়ে ১০ টেস্টে নিয়েছেন ৫১ উইকেট, ৩২ ওয়ানডেতে ৩৩ উইকেট এবং একটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে কোনো উইকেট নিতে পারেননি।

কামরান আকমল ও ইউনিস খানের সঙ্গে সাব্বির আহমেদ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিকেলে

শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডাকা কম্পলিট শাটডাউনের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি ভোট পিছিয়ে দেওয়া হবে কি না সে সিদ্ধান্ত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নেবে নির্বাচন কমিশন। বিকেল ৫টায় নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে সভা ডেকেছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম দুপুর দেড়টায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

শাটডাউনের মধ্যে রাকসু নির্বাচন হতে পারে না

দুর্গাপূজার পরে রাকসু নির্বাচন চায় ছাত্রদল

তিনি বলেন, “বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সভা ডাকা হয়েছে। শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে যদি নির্বাচনের পরিবেশ না থাকে, তাহলে সে বিষয়ে কমিশনে আলোচনা হবে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরই ভোট গ্রহণ হবে কিনা সে সিদ্ধান্তই সভায় নেওয়া হবে।” 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্রিফ করার আগে সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, রাকসু ফর র‍্যাডিকাল চেঞ্জ, সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ ও ইউনাইটেড ফর রাইটস প্যানেলের প্রার্থীরা তাকে একটি স্মারকলিপি দেন। এতে তারা উল্লেখ করেন, পোষ্য কোটা ইস্যুতে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। তারা এ বিষয়টি বিবেচনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানান। 

এর আগে, আজ দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মাকেটে প্যানেল চারটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক তাসিন খান। 

তিনি বলেন, “আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে আমরা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারণা করছিলাম। পোষ্য কোটাকে সামনে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেখানে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাই পরষ্পরের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে, যা আমাদের কখনোই কাম্য নয়। রাকসু আমরা চাই, রাকসু দিতে হবেই। নির্বাচন কোনোভাবেই বন্ধ করা চলবে না। নির্বাচনের প্রাণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ না হলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবেই।”

তাসিন বলেন, “পোষ্য কোটা ইস্যুতে ক্যাম্পাস কমপ্লিট শাটডাউনের শিক্ষার্থীরা অলরেডি বাসায় যাওয়া শুরু করেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছুটির পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত এই কমপ্লিট শাটডাউন আমাদের সব প্যানেলের, সব সতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণায় বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে এবং দীর্ঘ ৩৫ বছর পর হতে যাওয়া রাকসু নির্বাচনকে সরাসরি প্রশ্নবিদ্ধ করবে।”

তিনি বলেন, “আমরা চাই শান্তিপূর্ণ, আনন্দমুখর পরিবেশে রাকসু নির্বাচন যা শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের নিয়েই সম্ভব যে পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় এখন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে কমপ্লিট শাটডাউনে রেখে কোনোভাবে রাকসু নির্বাচন হতে পারে না। এটা সুস্পষ্ট রাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র।”

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, রাকসু নির্বাচন হতে হবে এবং কোনোভাবে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। তবে ক্যাম্পাস শাটডাউন, ক্লাস অফ রেখে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস বিমুখ রেখে কোনোভাবে রাকসু নির্বাচন হতে পারে না। সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু রাকসু নির্বাচন হবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অতি দ্রুত পোষ্য কোটা ইস্যু মিমাংসা করে ক্যাম্পাসের স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।

তাসিন বলেন, “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রেখে রাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। আমরা কোনোভাবে আমাদের প্রাণের রাকসু নির্বাচনকে একতরফা নির্বাচন হতে দিতে চাই না। ক্যাম্পাসের অস্থিতিশীল পরিবেশ, কমপ্লিট শাটডাউন, পূজার ছুটি সব কিছু বিবেচনা করে রাকসু নির্বাচন কমিশনারকে পরবর্তী পদক্ষেপ অতি দ্রুত নিতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে এই প্যানেলগুলোর তাপসি রাবেয়া, সোহরাওয়ার্দী হল, জিয়া হল, বিজয় ২৪ হল ও সৈয়দ আমির আলি হলের প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। 

রাকসু নির্বাচনে মোট ১১টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে চারটি প্যানেল শাটডাউনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে স্মারকলিপি দিল। 

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ