হাসিনার বিচার বিএনপি না করলে কারা করবে, প্রশ্ন গয়েশ্বর রায়ের
Published: 6th, August 2025 GMT
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শুধু শেখ হাসিনা নয়, ১৪ দলেরও বিচার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমরা হাসিনার বিচার না করলে কারা বিচার করবে? তাদের বিচার হবে, বিচারের রায়ের পর জনগণের মধ্যে সংশয় থাকবে না।’
আজ বুধবার বিকেলে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র–জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রংপুরে বিএনপির আয়োজনে বিজয় শোভাযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নির্বাচন হলে বিচার করা আরও সহজ হবে। তাঁরা দেশে আসুক বা না আসুক, অপরাধীর বিচার করতে অসুবিধা নাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু হাসিনার বিচার হবে কেন? হাসিনার সঙ্গে যে আরও ১৪টি দল রয়েছে, তাদেরও বিচার করা হবে। বিচার একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিচার বিচারের মতো চলবে প্রশাসন ও আদালতের মাধ্যমে।’
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করেন রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার বিকেলে নগরের স্টেশন সড়কে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির নির্বাচনী যাত্রা শুরু ৭ নভেম্বরের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে
এবারের ৭ নভেম্বর অন্যবারের চেয়ে ভিন্ন মেজাজে উদ্যাপন করবে বিএনপি। দলটির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দিনটি উপলক্ষে সারা দেশে দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আজ শুক্রবার নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, যার মধ্য দিয়ে কার্যত বিএনপির নির্বাচনী যাত্রা শুরু হবে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, এবার ৭ নভেম্বর উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচির মূল লক্ষ্যে থাকছে আগামী জাতীয় নির্বাচন। এদিন বিভাগীয়, জেলাসহ সারা দেশে আলোচনা অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রার পাশাপাশি জনসভার কর্মসূচি রাখা হয়েছে। এতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারসহ জনসম্পৃক্ত বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে গত সোমবার বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ২৩৭ জনের প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করে। ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’–এর কর্মসূচি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দলীয় নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষ’–এর পক্ষে প্রচার জোরদারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ উপলক্ষে রাজধানীতে আজ বেলা তিনটায় বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা হবে। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় সমাবেশসহ জনসংযোগের কর্মসূচি রেখেছেন।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবারের ৭ নভেম্বরকে ভিন্ন মেজাজে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তা হচ্ছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থীদের একযোগে মাঠে নামানো।১৯৭৫ সালের ঘটনাবহুল ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন করে আসছে বিএনপি। ৭ নভেম্বর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসার দিন।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবারের ৭ নভেম্বরকে ভিন্ন মেজাজে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তা হচ্ছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থীদের একযোগে মাঠে নামানো। সে কারণে অন্যবার আলোচনা অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রার মধ্যে ৭ নভেম্বরের কর্মসূচি সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার প্রায় সব আসনেই জনসভার কর্মসূচিও রাখা হয়েছে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আজ বেলা তিনটায় জনসভা করবে মহানগর বিএনপি। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবারের ৭ নভেম্বরকে ভিন্ন মেজাজে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন সামনে রেখে এবারের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা অন্যবারের চেয়ে বেশি। তাই এবারের ৭ নভেম্বর একটা ভিন্ন মেজাজে উদ্যাপিত হবে।
বরিশাল-১ (গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া) আসনে আজ ৭ নভেম্বর দলীয় কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন। বেলা তিনটায় গৌরনদী সরকারি স্কুল মাঠে তাঁর নির্বাচনী জনসভা হবে।
জহির উদ্দিন স্বপন প্রথম আলোকে বলেন, ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জনসভার মধ্য দিয়ে আমার নির্বাচনী যাত্রা শুরু হবে।’
একইভাবে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের মান্দারি বাজারে সমাবেশ করবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। তার আগে লক্ষ্মীপুর শহরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভা করবেন। শহীদ উদ্দীন চৌধুরীকে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। একইভাবে খুলনা নগরেও আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে বলে জানান খুলনা-২ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘৭ নভেম্বর আমাদের অনুপ্রেরণা। এদিনে আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে নতুন যাত্রা শুরু করেছি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই দিনের তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদের পতনের পর বাংলাদেশ যে নতুন যাত্রা শুরু করেছে, সেখানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক দিনে সেই নির্বাচনের পথে যাত্রা শুরু করছি।’