ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় করা মামলার মধ্যে ১৯টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলা ৮টি, অন্যান্য ধারায় মামলা ১১টি।

গতকাল বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, অভিযোগপত্র দাখিল করা আটটি হত্যা মামলার মধ্যে তিনটি শেরপুর, একটি ফেনী, একটি চাঁদপুর, একটি কুমিল্লা, একটি কুড়িগ্রাম জেলার ও একটি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের।

অন্যান্য ধারার ১১টি মামলার মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ১টি ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ১টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩টি, সিরাজগঞ্জের ২টি, পাবনার ১টি ও জামালপুর জেলার ১টি এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ২টি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকালে করা মামলার যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা মামলাগুলো তদারক করছেন।

দায়ের হওয়া অন্যান্য মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে ইউপি সদস্য হত্যার ঘটনায় মামলা

কক্সবাজারের টেকনাফর উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. ইউনুস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে নিহতের স্ত্রী কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জায়েদ নূর মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আট জনের নাম উল্লেখ এবং ৭-৮জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

গলা কেটে বিড়াল হত্যা, থানায় জিডি

স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ

কোহিনুর আক্তারের অভিযোগ, তার স্বামী স্বামী ইউনুস সাবেক ইউপি সদস্য এবং টেকনাফ উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের সভাপতি। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে মো. আলম নামে এক ব্যক্তির ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে আটকে রাখা হয় ইউনুসকে। এরপর ৭০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ফেরত দেওয়ার কথা বললেও, ইউনুসের মরদেহ ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার হয়।

কোহিনুর আক্তার বলেন, “আমার স্বামীকে দাওয়াতের কথা বলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে আলম শফুর গ্রুপ। তাদের সঙ্গে তার কোনো টাকার লেনদেন ছিল না। তারা সকালে আমার স্বামীকে জীবিত ফেরত দেবে বলেছিল, কিন্তু পেলাম শুধু লাশ। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।”

গত বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ইউনুসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ