ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। সুখে, শান্তিতে ঘর করছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই সংসারে অশান্তি শুরু হয়। কেননা, স্ত্রী আবার অন্য একজনের প্রেমে মজেছেন। শুধু তাই না, নতুন প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার জন্য ছেড়ে গেছেন সাজানো-গোছানো সংসার। রেগে স্বামী জীবিত স্ত্রীর পিণ্ডদান করলেন। শুধু পিণ্ডদান করেই থামেননি, শ্রাদ্ধও করেছেন।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জে।

স্থানীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, হিঙ্গলগঞ্জের উত্তর মামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রাক্তন সেনা সদস্য নরেন নায়ক। ধলতিলা এলাকার বাসিন্দা সুমিতা সরকারকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। 

আরো পড়ুন:

মার্কিন শুল্কারোপ: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আপস না করার ঘোষণা মোদির

ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

নরেন নায়কের অভিযোগ, ‘‘স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন। একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। এই নিয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়াও হয়। একদিন হঠাৎ সুমিতা নিখোঁজ হয়ে যান।’’
নরেন নায়ক বিভিন্ন জায়গায় স্ত্রীর খোঁজ করেছিলেন। তিনি জানতে পারেন, স্ত্রী অন্যত্র ঘর বেঁধেছেন। এরপরই জীবিত স্ত্রীর শ্রাদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। 

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,  স্ত্রীর শ্রাদ্ধের আয়োজন হয়। পুরোহিত ডেকে, স্ত্রীর ছবি সামনে রেখে মন্ত্র পড়ে চললো শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। যজ্ঞ করে জীবিত স্ত্রীর পিণ্ডও দান করেন নরেন। শ্রাদ্ধের কাজের জন্য মাথাও মুড়িয়েছেন তিনি।
প্রশ্ন হচ্ছে,  এমন কেন করলেন তিনি? নরেন নায়ক বলেন, “আমার কাছে আমার স্ত্রী মৃত। যিনি একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছেন এবং অন্য কারও সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক অবশিষ্ট নাই। তাই ধর্মমতে বিদায় জানালাম।” 

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকে, প্রশ্ন তুলছেন ‘‘এমনভাবে কি জীবিত মানুষের শ্রাদ্ধ করা সম্ভব? ’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রুডো ও সোফি: জীবন থেমে থাকে না, হৃদয় আবার ডাকে

জাস্টিন ট্রুডো যখন রাজনীতিতে আসেন, তখন থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অনেকের কাছে এক আদর্শ প্রেমের গল্প। কিন্তু ২০২৩ সালের আগস্টে তাঁদের বিচ্ছেদের ঘোষণায় অনেকেই বিস্মিত হন। কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের তুমুল প্রেমময় ছবি, সন্তানদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখে ভক্তরা ধারণা করেছিলেন, এমন জুটির ভাঙন কখনো সম্ভব নয়। হাতে হাত রেখে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটাবেন তাঁরা। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক।

‘এক বৈশাখে দেখা হল দুজনার/ জ্যৈষ্ঠিতে হল পরিচয়/ আসছে আষাঢ় মাস মন তাই ভাবছে/ কি হয় কি হয়!’

ট্রুডো ও সোফির প্রথম দেখা বৈশাখ মাসে হয়তো হয়নি। তাঁদের দেখা হয়েছিল শৈশবে। সোফি ছিলেন ট্রুডোর ছোট ভাই মিশেলের স্কুলের সহপাঠী ও বন্ধু। এই সূত্রে ট্রুডো পরিবারে যাতায়াত ছিল সোফির। সে সময় তাঁদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। তাঁদের প্রেমের সূত্রপাত হয় অনেক বছর পরে, ২০০৩ সালে, যখন তাঁরা একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ট্রুডোর বয়স তখন ৩১, আর সোফির ২৮।

সোফি তখন একজন টেলিভিশন ও রেডিও উপস্থাপক। ট্রুডো ছিলেন একজন শিক্ষক ও বক্তা। সেই অনুষ্ঠানে তাঁদের মধ্যে এক গভীর সংযোগ তৈরি হয়। সোফি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি যেন তাঁর ‘আত্মার আয়না’ দেখতে পাচ্ছিলেন। ট্রুডোও সোফির বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও সামাজিক সচেতনতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন। দ্রুতই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। ২০০৪ সালের অক্টোবরে সোফিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ট্রুডো। সোফি সানন্দে রাজি হন।

জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ট্রাম্প-মোদি ব্রোমান্স’ সত্ত্বেও ভারত–মার্কিন সম্পর্ক তলানিতে কেন, সামনে কী
  • সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও নারী কেন ন্যায্য হিস্যা পাবে না
  • টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
  • পঞ্চগড়ে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদলের কর্মী নিহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
  • এখানে অযোগ্যরা তেল দেওয়া ছাড়া জায়গা তৈরি করতে পারে না
  • ঢাবিতে বিক্ষোভে মেয়েদের ভিডিও করার সময় কলেজছাত্র আটক
  • মোদির অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়ালো
  • মাগুরায় ‘রেডি টু কুক ফিশ’ প্রযুক্তিতে সফল উদ্যোক্তা লিজা
  • ট্রুডো ও সোফি: জীবন থেমে থাকে না, হৃদয় আবার ডাকে