রেগে জীবিত স্ত্রীর শ্রাদ্ধ করলেন স্বামী
Published: 7th, August 2025 GMT
ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। সুখে, শান্তিতে ঘর করছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই সংসারে অশান্তি শুরু হয়। কেননা, স্ত্রী আবার অন্য একজনের প্রেমে মজেছেন। শুধু তাই না, নতুন প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার জন্য ছেড়ে গেছেন সাজানো-গোছানো সংসার। রেগে স্বামী জীবিত স্ত্রীর পিণ্ডদান করলেন। শুধু পিণ্ডদান করেই থামেননি, শ্রাদ্ধও করেছেন।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জে।
স্থানীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, হিঙ্গলগঞ্জের উত্তর মামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রাক্তন সেনা সদস্য নরেন নায়ক। ধলতিলা এলাকার বাসিন্দা সুমিতা সরকারকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন।
আরো পড়ুন:
মার্কিন শুল্কারোপ: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আপস না করার ঘোষণা মোদির
ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান
নরেন নায়কের অভিযোগ, ‘‘স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন। একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। এই নিয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়াও হয়। একদিন হঠাৎ সুমিতা নিখোঁজ হয়ে যান।’’
নরেন নায়ক বিভিন্ন জায়গায় স্ত্রীর খোঁজ করেছিলেন। তিনি জানতে পারেন, স্ত্রী অন্যত্র ঘর বেঁধেছেন। এরপরই জীবিত স্ত্রীর শ্রাদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্ত্রীর শ্রাদ্ধের আয়োজন হয়। পুরোহিত ডেকে, স্ত্রীর ছবি সামনে রেখে মন্ত্র পড়ে চললো শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। যজ্ঞ করে জীবিত স্ত্রীর পিণ্ডও দান করেন নরেন। শ্রাদ্ধের কাজের জন্য মাথাও মুড়িয়েছেন তিনি।
প্রশ্ন হচ্ছে, এমন কেন করলেন তিনি? নরেন নায়ক বলেন, “আমার কাছে আমার স্ত্রী মৃত। যিনি একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছেন এবং অন্য কারও সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক অবশিষ্ট নাই। তাই ধর্মমতে বিদায় জানালাম।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকে, প্রশ্ন তুলছেন ‘‘এমনভাবে কি জীবিত মানুষের শ্রাদ্ধ করা সম্ভব? ’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এক কাপ কফি খাও, তারপর লিখতে বসো—মতি ভাই বললেন
‘অতর্কিতেই আকাশ আনল
বিদ্যুৎময় আলোকচিত্র
নতুন একটা কবিতা পড়তে
উঠে দাঁড়ালেন অরুণ মিত্র।’—কবির সুমন
যখন মোবাইল ফোনের চার্জ কমে আসে, আপনি কী করেন? চার্জ দেন। যখন আপনার মনের চার্জ কমে আসে, আপনি কী করেন? আমি কী করি, আপনাকে বলি। আমি সাইফুল সামিনকে দেখি। আমাদের সহকর্মী, বন্ধু, তরুণতর সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল সামিন। এখন সামিনের বয়স ৪০ ছুঁয়েছে। সাইফুল সামিন প্রথম আলোয় এবার অন্যতম সেরা কর্মীর পুরস্কার পেয়েছেন। সাইফুল সামিন আজ থেকে ১৭ বছর আগে ছিলেন একজন তরুণ শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। প্রথম আলোর ঢাকায় থাকি পাতায় প্রদায়ক হিসেবে লিখতেন। খবর সংগ্রহ করতেই গিয়েছিলেন তেজগাঁও রেলস্টেশনে। দুর্ভাগ্যক্রমে ট্রেনের নিচে তাঁর দুই পা চলে যায়, প্রায় কোমরের কাছাকাছি জায়গা থেকে তাঁর দুটো পা কাটা পড়ে। সেই সাইফুল সামিন বেঁচে যান। প্রথম আলো তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর দুটো কৃত্রিম পায়ের তহবিল জোগাড়ের জন্য ক্যাম্পেইন শুরু করে। প্রথম আলো তাতে হাত মেলায়। অনেকের সহযোগিতায় কৃত্রিম পা নিয়ে উঠে দাঁড়ান সাইফুল সামিন।
সাইফুল অন্য যেকোনো সাংবাদিকের মতো নিয়মিত আসেন প্রথম আলোয়। একজন সহকারী নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন তিনি, তাঁকে চলাচলে সাহায্য করার জন্য। তিনি ৫ মিনিট দেরিও করতে চান না। কারও চেয়ে কম কাজও করেন না। তিনি যে আমাদের সেরা কর্মীর পুরস্কার পাবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী!
সেরা কর্মীদের একজন সাইফুল সামিন