ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ছাত্রশিবিরের চিত্র প্রদর্শনী নিয়ে তৈরি হওয়া উত্তেজনার রেশ না কাটতেই আবারও জামায়াতের প্রয়াত নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছবি বসিয়েছে সংগঠনটি।

তবে এবার সরাসরি নয়, শহিদ আবু সাঈদ ও ছাত্রদল নেতা ওয়াসিমের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পুরনো স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সাঈদীর ছবি প্রদর্শন করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) টিএসসিতে ছাত্রশিবিরের আয়োজিত প্রদর্শনীতে ২০২৩ সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু উপলক্ষে দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলোর স্ক্রিনশট প্রদর্শন করা হয়। স্ট্যাটাসে প্রয়াত এই জামায়াত নেতাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ডাকসুর প্যানেল ঘোষণা করল ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

বিতর্কিত ছবির স্থানে খালেদা জিয়ার উক্তি টানাল শিবির

২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ওইদিন রংপুরের শহীদ আবু সাঈদ ফেসবুকে লেখেন, “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। আল্লাহ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুক। বিদায় হে রাহবার।”

পরদিন ১৫ আগস্ট শহীদ ওয়াসিম তার স্ট্যাটাসে লেখেন, “একজনের মৃত্যুতে দেশব্যাপী অঘোষিত শোক চলছে, আরেকজনের আনুষ্ঠানিক শোকেও মানুষের শোক হয় না। ধর্মীয় ব্যক্তি ও ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তির মধ্যে এটাই উজ্জ্বল উদাহরণ। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কোটি মানুষের মনি কোঠায়।”

এর আগে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) টিএসসিতে ছাত্রশিবিরের প্রদর্শনীতে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি প্রদর্শন করা হলে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো তীব্র আপত্তি জানায়। পরবর্তীতে বিক্ষোভের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছবিগুলো সরিয়ে নেয়।

পরদিন ৬ আগস্ট ছাত্রশিবির একই স্থানে আবারো প্রদর্শনী চালিয়ে যায় এবং সেখানে যুক্ত করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্য, বিচারকার্যে অনিয়ম ও ভুয়া সাক্ষীর জবানবন্দির চিত্র।

সর্বশেষ ৭ আগস্টের প্রদর্শনীতে সংযুক্ত করা হয় শহীদ আবু সাঈদ ও ওয়াসিমের পুরনো স্ট্যাটাস—যার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে আবারো দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিত্র প্রদর্শন করায় ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিয়েও অনেকে প্রশংসা করতে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট এসস ত স ঈদ র আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের ১ শতাংশ ধনকুবেরের সম্পত্তি ৬২ শতাংশ বেড়েছে

ভারতের সবচেয়ে ধনী মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির সম্পত্তি গত প্রায় আড়াই দশকে দেড় গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ‘জি২০’র সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমনটাই দেখা গিয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০০-২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশ ব্যক্তির সম্পত্তি ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর আনন্দবাজার অনলাইন।

স্বতন্ত্র অর্থনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি জি২০ গোষ্ঠীর ‘এক্সট্রাঅর্ডিনারি কমিটি অব ইনডিপেনডেন্ট এক্সপার্টস অন গ্লোবাল ইনইকুয়ালিটি’ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগ্লিট্‌জ়। এ ছাড়া কমিটিতে রয়েছেন জয়তী ঘোষ, উইনি ব্যানয়িমা, ইমরান ভালোদিয়াসহ অন্যেরা। তাদের প্রতিবেদনে বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত আড়াই দশকে (২০০০-২০২৪) বিশ্বে যত নতুন সম্পত্তি তৈরি হয়েছে, তার ৪১ শতাংশই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের কব্জায়।

কমিটির নেতৃত্বে থাকা স্টিগ্লিট্‌জ় এই বিশ্বব্যাপী বৈষম্য নিয়ে সতর্ক করে করে দিয়েছেন। তার মতে, এই বৈষম্য ‘জরুরি’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, যা গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জলবায়ুগত দিক থেকে উদ্বেগজনক।

জি২০ গোষ্ঠীর ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০০-২০২৩ সালের মধ্যে ভারতে সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের সম্পত্তি ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই একই সময়ে চীনেও সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের সম্পত্তি প্রায় ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সম্পত্তির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য কখনো কাম্য নয়। এটি ঠেকানো যায় এবং রাজনৈতিক ভাবে এটিকে বদলানো যেতে পারে।”

এতে জানানো হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র দূরীকরণ মন্থর হয়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় প্রায় থেমে গিয়েছে দারিদ্র দূরীকরণ। কোথাও কোথাও দারিদ্র বৃদ্ধি পেতেও শুরু করেছে। যে দেশগুলোতে আর্থিক বৈষম্য বেশি, সেখানে গণতন্ত্রের অবক্ষয়ের আশঙ্কাও তুলনামূলকভাবে বেশি।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির বিক্ষোভের মধ্যে ছড়ানো হচ্ছে বাসে–ট্রেনে আগুনের পুরোনো ভিডিও
  • আর্চারিতে একুশের স্মৃতি ফেরানোর আশা
  • ভারতের ১ শতাংশ ধনকুবেরের সম্পত্তি ৬২ শতাংশ বেড়েছে