বাংলা চার সংখ্যার আদলে ভিন্ন আকৃতির একটি ছায়াপথের (গ্যালাক্সি) সন্ধান পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার ভ্যান ডোক্কামের নেতৃত্বে এক দল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীরা এই ছায়াপথকে অসীম বা ইনফিনিটি নামে অভিহিত করেন। তাঁদের ধারণা, দুটি ছায়াপথের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ফলে অদ্ভুত ৪ সংখ্যার মতো দেখতে ছায়াপথটি তৈরি হয়েছে। এর কেন্দ্রে আরও অসাধারণ কিছু লুকিয়ে থাকতে পারে।

পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান ভ্যান ডোক্কাম বলেন, এটি দেখতে কেবল অদ্ভুতই নয়, এর সঙ্গে রয়েছে একটি অতিবৃহৎ কৃষ্ণগহ্বর। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে পদার্থ তৈরি হচ্ছে। সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, কৃষ্ণগহ্বরটি ছায়াপথের দুটি নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থিত নয়, মাঝখানে অবস্থান করছে। দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারসে অদ্ভুত রকমের এই ছায়াপথের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

এমন কৃষ্ণগহ্বর কীভাবে জন্মগ্রহণ করে এবং কীভাবে তারা এত দ্রুত বিশাল আকার ধারণ করে, তা জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা। কৃষ্ণগহ্বর সাধারণত ছায়াপথের কেন্দ্রের গভীরে দেখা যায়। নতুন কাঠামোতে দুটি একত্র ছায়াপথের কেন্দ্রের মধ্যে তৈরি হয়েছে কৃষ্ণগহ্বর। এমন কাঠামো বেশ অপ্রত্যাশিত।

নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে এই ছায়াপথের খোঁজ মিলেছে। এ ছাড়া হাওয়াইয়ের কেক অবজারভেটরি, চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির আর্কাইভাল ডেটা ও ভেরি লার্জ অ্যারের আর্কাইভাল ডেটা ব্যবহার করে ঘন গ্যাসে বেষ্টিত একটি শক্তিশালী কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলেছে সেখানে। নতুন এই আবিষ্কার জ্যোতির্বিদ্যার বিভ্রান্তিকর একটি রহস্য সমাধানে সহায়তা করবে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্ত দিয়ে ১৬ বাংলাদেশীকে হস্তান্তর

সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নারী ও পুরুষসহ ১৬ বাংলাদেশীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বিজিবি একটি সাধারণ ডায়েরি করে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করেন। 

বুধবার (৭ জুলাই) রাতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

হস্তান্তরকৃত বাংলাদেশী নাগরিকেদের মধ্যে ৭ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, যশোর ও নড়াইল জেলায়।

সাতক্ষীরা সদর থানায় বিজিবি কর্তৃক দায়ের করা সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে গত ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিনা পাসপোর্টে অবৈধভাবে দেশে ফিরছিল এসব নাগরিক। পথে চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় বিএসএফ তাদের আটক করে। 

পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় বিএসএফ’র আমুদিয়া কোম্পানী কমান্ডার ইন্সপেক্টর বিকাশ কুমার এবং বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন তলুইগাছা বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার আবুল কাসেমের মধ্যস্থতায় সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। 

পরে বিজিবির ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সপেক্ষে ওই রাতেই তলুইগাছা বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার আবুল কাসেম, ল্যান্স নায়েক মো. হালিম, সিপাহী আজহারুল ইসলাম ও নুর নবী ইসলাম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিজিবি কর্তৃক হস্তান্তরকৃত ১৬ বংলাদেশী নাগরিকের মধ্যে দুজনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের যাছাই বাছাই শেষে পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ