ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে গ্রেপ্তারে সহায়ক তথ্য দিতে পারলে ৫ কোটি ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পুরস্কারের পরিমাণ আগে ঘোষিত পুরস্কারের তুলনায় দ্বিগুণ। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মাদুরো বিশ্বের অন্যতম বড় মাদক পাচারকারী।

জানুয়ারিতে বিতর্কিত এক নির্বাচনের মাধ্যমে মাদুরো আবার ক্ষমতায় ফেরেন। ওই নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ এই নির্বাচনের ফল মেনে নেয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেক দিন ধরেই মাদুরোর সমালোচনা করে আসছেন।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মাদুরোসহ ভেনেজুয়েলার আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছিল। এসব অভিযোগের মধ্যে আছে মাদক সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও মাদক পাচার।

গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেছেন, আগে ঘোষণা করা ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পুরস্কার এখন দ্বিগুণ করা হবে। তাঁর দাবি, মাদুরো সরাসরি মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত।

ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল নতুন এ পুরস্কার ঘোষণাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বলেন, এটি ‘রাজনৈতিক প্রচারণা’ ছাড়া আর কিছু নয়।

গিলের অভিযোগ, যৌন নিপীড়নকারী জেফ্রি এপস্টেইনের মামলা সামাল দেওয়া নিয়ে বন্ডি যে ধরনের সমালোচনার মধ্যে আছেন, তা থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য তিনি এমনটা করেছেন।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মাদুরোসহ ভেনেজুয়েলার আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছিল। এসব অভিযোগের মধ্যে আছে মাদক সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক পাচার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে পাম বন্ডি অভিযোগ করেন, মাদুরো ভেনেজুয়েলার অপরাধী চক্র ত্রেন দে আরাগুয়া এবং মেক্সিকোভিত্তিক শক্তিশালী অপরাধী চক্র সিনালোয়া কার্টেলের মতো গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করেছেন। ত্রেন দে আরাগুয়াকে ট্রাম্প প্রশাসন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ দাবি করেছিল, মাদুরো কলম্বিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফার্ক-এর সঙ্গে মিলে কাজ করেছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, কোকেনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা এবং বিপুল পরিমাণ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়ে দেওয়া।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে পাম বন্ডি অভিযোগ করেন, মাদুরো ভেনেজুয়েলার অপরাধী চক্র ত্রেন দে আরাগুয়া এবং মেক্সিকোভিত্তিক শক্তিশালী অপরাধী চক্র সিনালোয়া কার্টেলের মতো গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করেছেন। ত্রেন দে আরাগুয়াকে ট্রাম্প প্রশাসন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বন্ডি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ডিইএ মাদুরো ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকা ৩০ টন কোকেন জব্দ করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৭ টন কোকেনের সঙ্গে সরাসরি মাদুরোর সম্পৃক্ততা আছে।

এর আগে মাদুরো সরাসরি মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

চলতি বছরের শুরুর দিকে মাদুরো নতুন করে ক্ষমতায় ফেরার পর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র প রস ক র কর ছ ন আর গ য় অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে গ্রেপ্তারে সহায়ক তথ্য দিলে ৫ কোটি ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে গ্রেপ্তারে সহায়ক তথ্য দিতে পারলে ৫ কোটি ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পুরস্কারের পরিমাণ আগে ঘোষিত পুরস্কারের তুলনায় দ্বিগুণ। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মাদুরো বিশ্বের অন্যতম বড় মাদক পাচারকারী।

জানুয়ারিতে বিতর্কিত এক নির্বাচনের মাধ্যমে মাদুরো আবার ক্ষমতায় ফেরেন। ওই নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ এই নির্বাচনের ফল মেনে নেয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেক দিন ধরেই মাদুরোর সমালোচনা করে আসছেন।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মাদুরোসহ ভেনেজুয়েলার আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছিল। এসব অভিযোগের মধ্যে আছে মাদক সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও মাদক পাচার।

গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেছেন, আগে ঘোষণা করা ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পুরস্কার এখন দ্বিগুণ করা হবে। তাঁর দাবি, মাদুরো সরাসরি মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত।

ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল নতুন এ পুরস্কার ঘোষণাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বলেন, এটি ‘রাজনৈতিক প্রচারণা’ ছাড়া আর কিছু নয়।

গিলের অভিযোগ, যৌন নিপীড়নকারী জেফ্রি এপস্টেইনের মামলা সামাল দেওয়া নিয়ে বন্ডি যে ধরনের সমালোচনার মধ্যে আছেন, তা থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য তিনি এমনটা করেছেন।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মাদুরোসহ ভেনেজুয়েলার আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছিল। এসব অভিযোগের মধ্যে আছে মাদক সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক পাচার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে পাম বন্ডি অভিযোগ করেন, মাদুরো ভেনেজুয়েলার অপরাধী চক্র ত্রেন দে আরাগুয়া এবং মেক্সিকোভিত্তিক শক্তিশালী অপরাধী চক্র সিনালোয়া কার্টেলের মতো গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করেছেন। ত্রেন দে আরাগুয়াকে ট্রাম্প প্রশাসন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ দাবি করেছিল, মাদুরো কলম্বিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফার্ক-এর সঙ্গে মিলে কাজ করেছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, কোকেনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা এবং বিপুল পরিমাণ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়ে দেওয়া।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে পাম বন্ডি অভিযোগ করেন, মাদুরো ভেনেজুয়েলার অপরাধী চক্র ত্রেন দে আরাগুয়া এবং মেক্সিকোভিত্তিক শক্তিশালী অপরাধী চক্র সিনালোয়া কার্টেলের মতো গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করেছেন। ত্রেন দে আরাগুয়াকে ট্রাম্প প্রশাসন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বন্ডি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ডিইএ মাদুরো ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকা ৩০ টন কোকেন জব্দ করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৭ টন কোকেনের সঙ্গে সরাসরি মাদুরোর সম্পৃক্ততা আছে।

এর আগে মাদুরো সরাসরি মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

চলতি বছরের শুরুর দিকে মাদুরো নতুন করে ক্ষমতায় ফেরার পর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ