ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়ে আসা ফুটবলারদের জন্য নতুন তীর্থ স্থান হয়ে উঠেছে সৌদি প্রো লিগ ও মেজর লিগ সকার (এমএলএস)। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পথ ধরে সৌদি লিগ এবং লিওনেল মেসিকে অনুসরণ করে এমএলএসের ক্লাবগুলোকে বেছে নিচ্ছেন ফুটবলাররা।

চলতি দলবদলে ক্যারিয়ারের গোধূলিবেলায় প্রবেশ করা বেশ কজন ফুটবলার যেমন বেছে নিলেন এমএলএসকে। যাঁর সর্বশেষ নাম টমাস মুলার। বায়ার্ন মিউনিখের এই কিংবদন্তি জার্মান স্ট্রাইকার চলতি দলবদলে যোগ দিয়েছেন এমএলএসের ক্লাব ভ্যানকুভার হোয়াইটক্যাপসে। মুলারের যোগ দেওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে মার্কিন ক্লাবটি।

৩৫ বছর বয়সী মুলার শুধু বায়ার্নের হয়েই কাটিয়েছেন ২৫ বছর। এমনকি পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পর মূল দলের হয়েই খেলেছেন ১৭ বছর। এই সময়ে ১৩টি লিগ এবং ২টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাসহ জিতেছেন অসংখ্য ট্রফি। তবে সব ভালো কিছুই কখনো না কখনো নাকি শেষ হতে হয়। সে নিয়ম মেনেই গত মৌসুমে লিগ জেতার পর বায়ার্ন ছাড়ার ঘোষণা দেন মুলার। আর এবার তিনি যোগ দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ভ্যানকুভারে।

আরও পড়ুনমেসির লিগে যোগ দিয়েছেন হিউং-মিন সন০৬ আগস্ট ২০২৫

নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মুলার বলেছেন, ‘আমি এই দলকে চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে সাহায্য করার জন্য ভ্যানকুভারে আসার অপেক্ষায় আছি। শহরটি সম্পর্কে অনেক ভালো কথা শুনেছি, তবে সবার আগে ও প্রধানত আমি আসছি শিরোপা জিততে।’

এই মুহূর্তে এমএলএসের ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় ২ নম্বরে আছে ভ্যানকুভার। শীর্ষে থাকা সান ডিয়েগোর চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে মাত্র ১ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে তারা।

মুলার ছাড়াও এই মৌসুমে ইউরোপ থেকে বেশ কজন তারকা ফুটবলার এমএলএসে যোগ দিয়েছেন। এর আগে রদ্রিগো দি পল আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে এসেছেন ইন্টার মায়ামিতে। যেখানে জাতীয় দল সতীর্থ লিওনেল মেসির সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ৩১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।

আরও পড়ুনমেসি পাশে থাকায় ক্লাব ক্যারিয়ারে ট্রফিখরা নিয়ে ভাবনা নেই দি পলের০২ আগস্ট ২০২৫

টটেনহামের কিংবদন্তি ফুটবলার সন হিউং–মিনও এসেছেন এমএলএসে। স্পার্সদের সঙ্গে ১০ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড নাম লিখিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেস এফসিতে।

এই বড় নামগুলোর পাশাপাশি আরও বেশ কজন ফুটবলার ইউরোপ ছেড়ে এবারের দলবদলে এমএলএসে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে রব হোল্ডিং (ক্রিস্টাল প্যালেস থেকে কলোরাডো র‍্যাপিডস), হ্যারি তোফোলো (নটিংহাম থেকে শার্লট এফসি) এবং হুয়ান বেরোকাল (হেতাফে থেকে আটলান্টা) উল্লেখযোগ্য।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

মেসির জোড়া গোলে মায়ামির জয়

লিওনেল মেসি যেন আবারও প্রমাণ করলেন মঞ্চ যেটাই হোক, যত বড়ই হোক; আলো তার চারপাশেই ঘোরে। আর্জেন্টাইন মহাতারকার দুই গোল ও এক অ্যাসিস্টে ইন্টার মায়ামি বাংলাদেশ সময় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ডি.সি. ইউনাইটেডকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে। এই জয়ে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) শিরোপার দৌড়ে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করল।

ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মায়ামিকে এগিয়ে দেন তাদেও অ্যালেন্দে। মেসির নিখুঁত এক উঁচু পাস ডি.সি. রক্ষণভাগ ভেদ করে পৌঁছায় অ্যালেন্দের পায়ে। আর তিনি ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান।

আরো পড়ুন:

মায়ামিতেই থাকছেন মেসি, নতুন চুক্তি চূড়ান্ত

মেসির গোলে, অ্যাসিস্টে মায়ামির জয়

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বেলজিয়ামের সাবেক স্ট্রাইকার ক্রিশ্চিয়ান বেন্টেকে গোল করে সমতায় ফেরান ডি.সি. কে। কিন্তু এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজের হাতে তুলে নেন মেসি।

৬৬ মিনিটে জর্ডি আলবার পাস দারুণ দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জালের দূর কোণে বল পাঠান আর্জেন্টাইন জাদুকর। এরপর আসে আসল মাস্টারক্লাস। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে গোলবারের শীর্ষ কোণ খুঁজে নেন তিনি। মায়ামি পায় ৩-১ গোলে নিরাপদ লিড।

৭২ মিনিটে সুযোগ ছিল হ্যাটট্রিকেরও। পেনাল্টি জিতেও স্পট কিকে দাঁড়াননি মেসি। দায়িত্ব দিলেন তরুণ স্বদেশি মাতেও সিলভেত্তিকে। কিন্তু তিনি শট পাঠালেন ক্রসবারে। ইনজুরি টাইমে ডি.সি. ইউনাইটেডের জ্যাকব মুরেল একটি সান্ত্বনার গোল করলেও ম্যাচের ভাগ্য তখন অনেক আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে।

এই জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্স প্লে-অফের লড়াইয়ে আরও শক্ত অবস্থান নিল মায়ামি। পাশাপাশি সাপোর্টার্স শিল্ড রেসেও তারা পিছিয়ে আছে শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের চেয়ে মাত্র ৮ পয়েন্ট। হাতে আছে আরও তিনটি ম্যাচ। গত মৌসুমে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতা মায়ামির জন্য তাই আবারও ট্রফি ধরে রাখার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।

মেসির এই জোড়া গোলের সুবাদে তিনি উঠে গেছেন এমএলএসের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে, মোট ২২ গোল তার ঝুলিতে। শুধু তাই নয়, এবার ২২ ম্যাচে গোল করার পাশাপাশি অ্যাসিস্টও করেছেন ১২টি।

কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো ম্যাচশেষে প্রশংসায় ভাসান মেসিকে। তিনি বলেন, “লিওর জন্য এ যেন আরেকটা সাধারণ রাত। অথচ অন্য যে কোনো ফুটবলারের জন্য এটি একেবারেই অস্বাভাবিক। যখনই আমাদের দরকার হয়, তখনই সে পুরো দলকে কাঁধে তুলে নেয়। সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি, আমাদের দলে মেসি আছে।”

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসির জোড়া গোলে মায়ামির জয়