১৭ বছর বয়সেই অধিনায়ক হয়ে ‘জ্যাক ভুকুসিচের’ ইতিহাস
Published: 8th, August 2025 GMT
ক্রিকেট ইতিহাসে এক অনন্য মুহূর্তের জন্ম দিল ক্রোয়েশিয়ার তরুণ তারকা জ্যাক ভুকুসিচ। বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) সাইপ্রাসের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার নেতৃত্ব দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখলেন তিনি। মাত্র ১৭ বছর ৩১১ দিন বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হওয়ার কীর্তি গড়লেন এই তরুণ।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ফ্রান্সের নোমান আমজাদের দখলে, যিনি ২০২২ সালের জুলাইয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ১৮ বছর ২৪ দিন বয়সে অধিনায়কত্ব করেছিলেন।
১৭ বছর বয়সী এই তরুণ ইতোমধ্যেই ক্রোয়েশিয়ার হয়ে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন এবং ২০৫ রান করেছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর ৫৩ রান। তিনি ২০২৪ সালের জুলাইয়ে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন।
আরো পড়ুন:
ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে সেঞ্চুরির বৃষ্টিতে ভাঙল ৭০ বছরের রেকর্ড
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিহাস গড়লেন রুট, ছুঁলেন অনন্য মাইলফলক
তবে সাইপ্রাসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি। ১৯ বলে ১৪ রান করেছেন, যার মধ্যে ছিল মাত্র একটি চার।
সাইপ্রাসের বিপক্ষে চলমান সিরিজে ভুকুসিচ তিন ইনিংসে করেছেন ৭৫ রান, গড় ২৫। তবে অধিনায়কত্বের অভিষেকটা তেমন সুখকর হয়নি তার জন্য। প্রথম তিন ম্যাচেই হেরেছে ক্রোয়েশিয়া। প্রথম ম্যাচে সাইপ্রাস জয় পায় ৫৮ রানে, এরপর পরের দুটি ম্যাচে তারা জেতে যথাক্রমে ৭ উইকেটে এবং ৩ উইকেটে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়কের তালিকা:
১.
জ্যাক ভুকুসিচ (ক্রোয়েশিয়া) – ১৭ বছর ৩১১ দিন – আগস্ট ২০২৫,
২. নোমান আমজাদ (ফ্রান্স) – ১৮ বছর ২৪ দিন – জুলাই ২০২২,
৩. কার্ল হার্টম্যান (আইল অব ম্যান) – ১৮ বছর ২৭৬ দিন – ফেব্রুয়ারি ২০২৩,
৪. লুউসানজুন্দুই এরডেনেবুলগান (মঙ্গোলিয়া) – ১৮ বছর ৩২৪ দিন – সেপ্টেম্বর ২০২৩,
৫. রশিদ খান (আফগানিস্তান) – ১৯ বছর ১৬৫ দিন – মার্চ ২০১৮।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড ১৭ বছর ১৮ বছর প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় পার্টির সম্মেলন কাল, ইসির প্রতিনিধি চেয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে
আগামীকাল শনিবার জাতীয় পার্টির যে সম্মেলন হবে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবহিত করে প্রতিনিধি পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জি এম কাদেরবিরোধী অংশের প্রধান নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আদালতের আদেশ ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই কাউন্সিল আয়োজন করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা অবহিত করেছি এবং কাউন্সিলে তাদের প্রতিনিধি আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’
কাউন্সিল উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে আজ শুক্রবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ কথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে আমরা জাতীয় পার্টিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। কাউন্সিল করে আমরা গঠনতন্ত্রের বিতর্কিত ধারা বাতিল করে দেব। কোনো একক নেতৃত্বে নয়, জাতীয় পার্টি চলবে যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে।’
গত ৩০ জুলাই জি এম কাদেরের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনীত করেছে জি এম কাদেরের বিরোধী অংশ। এরপর তিনি শনিবার দলের সম্মেলন আহ্বান করেন।
এর উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আগামীকাল শনিবার জাতীয় পার্টির সম্মেলন হবে ঐতিহাসিক। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে বিভেদ রয়েছে, সে বিভেদ শেষ করে দিয়ে বৃহত্তর ঐক্য করে পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের জাতীয় পার্টির নবযাত্রা শুরু হবে। এই কাউন্সিলে সারা দেশ থেকে জাতীয় পার্টির কয়েক হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেট অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশের মানুষ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা দেখেছিল, সেই প্রত্যাশাকে বাস্তবতায় রূপ দিতে জাতীয় পার্টি নতুন অভিযাত্রায় নেমেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক। তিনি বলেন, ৩০ জুলাই ২০২৫ তারিখে ঢাকার একটি নিম্ন আদালতের আদেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। আদালতের এই আদেশের ফলে পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম এক অনিশ্চয়তা ও স্থবিরতার মুখে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের সময়সীমার বিধিবিধান এবং জাতীয় পার্টির মতো একটি বৃহৎ ও জনগণনির্ভর রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বশূন্য বা স্থবির থাকা কোনোভাবেই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পক্ষে সহায়ক নয়। এই বিবেচনায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ২০(২)(খ) ধারা অনুযায়ী যথাযথ সাংগঠনিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
মুজিবুল হক বলেন, এই ধারার ক্ষমতাবলে ৫ আগস্ট জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে পার্টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সভা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে দলকে সাংগঠনিক স্থবিরতা থেকে মুক্ত করে গণতন্ত্র, গঠনতন্ত্র এবং নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষায় অতি দ্রুত জাতীয় কাউন্সিল আহ্বান করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় কাউন্সিল সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি।
মুজিবুল হক আরও বলেন, উপরন্তু দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর মধ্যে যে আশাবাদ, উদ্দীপনা এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা জন্ম নিয়েছে, সেটা বাস্তবায়নে এটি (কাউন্সিল) সময়োচিত ও আবশ্যক পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি আবারও প্রমাণ করেছে, এই দল কেবল ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি, একটি আদর্শভিত্তিক গণতান্ত্রিক আন্দোলন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন হতাশা, বিভ্রান্তি ও দিশাহারা ভাব বিরাজ করছে, তখন জাতীয় পার্টি ঐক্যের বার্তা নিয়ে দেশবাসীর সামনে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কো–চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান, শফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভুইয়া, আরিফুর রহমান খান, সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম, জিয়াউল হক মৃধা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান, খান মো. ইসরাফিল, ইয়াকুব হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন, শফিকুল ইসলাম, জামাল রানা প্রমুখ।