বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের তারকা ঋতুপর্ণা চাকমাকে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শনিবার বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিসিবির সভা শেষে বেরিয়ে এ খবর জানান, পরিচালক ইফতেখার রহমান। এর মধ্যেই প্রকৌশলীর মাধ্যমে বাড়িটির নকশা ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কিছু চূড়ান্ত হয়েছে এবং তা বিসিবির কাছে পাঠিয়েছে ঋতুপর্ণার পরিবার।
রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মঘাছড়ি গ্রামে বাঁশের বেড়ার একটি বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকেন ঋতুপর্ণা। ছোটবেলায় বাবাকে হারানো এই ফুটবলার তার একমাত্র ছোট ভাইকেও হারান বছর তিনেক আগে। বড় তিন বোনের বিয়ে হয়েছে। ২০২৪ সাফ জয়ের পর স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে বাড়ি করার জন্য জমি পেয়েছিলেন এই ফুটবলার। সেই জমিতেই এবার বিসিবি ঋতুপর্ণাকে বাড়ি বানিয়ে দেবে।
আরো পড়ুন:
গামিনি মোহ কাটিয়ে হেমিংয়ে বুঁদ
অখণ্ড অবসরে লম্বা সময় ‘যুদ্ধের’ প্রস্তুতি
গত মাসে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। যার অন্যতম রূপকার ছিলেন ঋতুপর্ণা। এর আগে তার গোলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ জিতেছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আসরের সেরা ফুটবালের পুরস্কার জিতেছিলেন এই ফরোয়ার্ডই।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
মেধাক্রম ৩২ হাজার: পোষ্য কোটায় ভর্তি হলেন ববি উপাচার্যের মেয়ে
পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলমমের মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪০ এবং ফলাফলে মেধাক্রম ছিল ৩২ হাজার। তবে ওই অনুষদে কোটা ব্যাতিত মেধাতালিকার সর্বশেষ ৫০৩৫ মেধাক্রম পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
আরো পড়ুন:
বিভিন্ন দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের ফের মহাসড়ক অবরোধ
নির্মাণাধীন নভোথিয়েটার ও বিটেক ভবন ববি শিক্ষার্থীদের দখলে
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তি হওয়া তিনজন শিক্ষার্থীর পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়ে যার প্রাপ্ত নম্বর ৪০, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ছেলে (৩৯.৫০ নম্বর) ও ইলেকট্রিশিয়ান আরিফ হোসেন সুমনের ছেলে (৫৩.৫০ নম্বর)। চলতি বছর পোষ্য কোটাসহ বিভিন্ন কোটায় ভর্তি হয়েছেন মোট ২১ জন শিক্ষার্থী।
চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য কোটায় ভর্তি হন ১৮ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে প্রতিবন্ধী কোটায় তিনজন, হরিজন ও দলিত কোটায় একজন। ‘বি’ ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা (সন্তান) চারজন, প্রতিবন্ধী দুইজন, হরিজন ও দলিত একজন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী একজন। ‘সি’ ইউনিটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দুইজন, বিকেএসপি একজন, মুক্তিযোদ্ধা একজন, হরিজন ও দলিত একজন, প্রতিবন্ধী একজন।
গত বছর কোটা নিরসনে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রুপ নেয়। পরে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। কিন্তু তারপরেও কোটা পদ্ধতি বহাল রেখে উপাচার্য নিজ মেয়েকে কোটায় ভর্তি করানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, পোষ্য কোটা হলো সবচেয়ে বড় অযোক্তিক কোটা। একজন উপাচার্যের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হতে না পেরে কোটার সুযোগ নিয়ে ভর্তি হয়, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই এই অযোক্তিক কোটা বাতিল করা হোক এবং যোগ্যদের সুযোগ দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে ভর্তি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, “গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী ৩০ নম্বর পাস মার্ক অতিক্রম করলেই কোটা ব্যবহার করা যায়। উপাচার্যের মেয়ে শর্ত পূরণ করেই কোটার সুবিধা পেয়েছেন। এখানে নিয়মের বাহিরে কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি।”
ঢাকা/আরিফ/মেহেদী