দলের অন্য কেউ নন, সরাসরি অধিনায়কের জায়গা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি শোয়েব আখতার। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে গতকাল ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন শোয়েব। অধিনায়কত্বের সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ড গড়া সাবেক এই পেসার বলেছেন, পাকিস্তানের দলে দুর্বলতম দিক হচ্ছেন সালমান আগা।

দুবাইয়ে গতকাল আগে ব্যাট করে ১৭১ রান তুলে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হারে পাকিস্তান। প্রথম পর্বেও ভারতের কাছে হেরেছে তারা। দুটি ম্যাচে সেভাবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি সালমান আগার দল। গত মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরের আগে সালমানকে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এশিয়া কাপে প্রথম পর্বে ভারতের কাছে হারের পর থেকেই সমালোচিত হচ্ছে সালমানের অধিনায়কত্ব। কালকের ম্যাচে যেমন হাসান নেওয়াজকে দলের বাইরে রাখায় ও সালমান নিজে ছয়ে ব্যাটিংয়ে নামায় সমালোচিত হচ্ছেন। পাশাপাশি ম্যাচে সালমানের বিভিন্ন সিদ্ধান্তও সমালোচিত হচ্ছে। পাকিস্তানের স্ট্রিমিং প্লার্টফর্ম ‘ট্যাপম্যাড’-এ সালমানের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে শোয়েব বলেছেন, নেওয়াজকে চারে খেলালে পাকিস্তান আরও বড় সংগ্রহ পেতে পারত। অধিনায়ক হিসেবে কী করা উচিত, সালমান সেটাই বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন শোয়েব।

পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডাকসু নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ 

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) চীনের রাষ্ট্রদূতে আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অবস্থিত চীনা দূতাবাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ডাকসু নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন:

রাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনে ইবির জিয়া পরিষদের সংহতি

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবির ১৮ গবেষক

এতে ডাকসু সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ এবং ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এইচএম মোশারফ হোসেনসহ সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদকবৃন্দ।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসন সুবিধা বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নিজেদের মতামত প্রদান করেন সম্পাদকবৃন্দ। 

প্রস্তাবিত ৫০০০ ছাত্রীদের আবাসন সুবিধা সম্বলিত চায়না-বাংলাদেশ মৈত্রী হলের নির্মাণ কাজ এ বছরের মধ্যেই শুরু হবে বলে আলোচনা হয়। ডাকসুর নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো দুটো হল নির্মাণের প্রস্তাব দেন এবং রাষ্ট্রদূত তা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় ধাপে যৌথভাবে কাজ করার আশ্বাস দেন। এছাড়াও তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া, স্বাস্থ্য, স্কলারশিপ, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

ডাকসুর নব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে স্মারক প্রদান করা হয় এবং ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরও শুভেচ্ছা স্মারক উপহার প্রদান করেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ