পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিচ্ছে বাংলাদেশের ডেঙ্গু। মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমশই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছেন।’

মহাপরিচালক জানান, সর্বাধিক মৃত্যু ঘটছে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী রোগীদের মধ্যে। তাঁদের অনেকেই জ্বর শুরু হওয়ার ছয় থেকে সাত দিন পর চিকিৎসা নিতে আসেন, যা অনেক সময় জটিলতা এড়ানোর জন্য দেরি হয়ে যায়। শিশুদের মধ্যেও মৃত্যুঝুঁকি বেড়েছে বলে জানান তিনি।

যদিও এ বছর সংক্রমণের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি, তবে সামগ্রিক মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে বলে জানান আবু জাফর। তবু ক্রমবর্ধমানসংখ্যক রোগী গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে যাচ্ছে, যা মৃত্যুহার বাড়িয়ে দিচ্ছে।

অধ্যাপক ডা.

মো. আবু জাফর বলেন, ‘কারও জ্বর হলে অবিলম্বে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো উচিত। দেরিতে শনাক্ত হলে জটিলতা দেখা দেয় এবং মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি মোকাবিলায় সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।’

শুধু সরকারি উদ্যোগে এই প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, জনসচেতনতা এবং সতর্কতাও অপরিহার্য।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মইনুল হাসান জানান, প্রত্যেক ডেঙ্গু রোগীকে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখতে একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হচ্ছে।

ডা. মইনুল হাসান আরও জানান, সারা দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুতি জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঘরে ঢুকে যুবকের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইউনুছ (৩৫)। তিনি উপজেলার হাজিগাঁও কর্ণফুলী কটন মিল এলাকার এয়াকুব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর। গত বুধবার রাতে মাথার আঘাত নিয়ে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

স্থানীয় বাসিন্দারা ও পুলিশ জানায়,  এলাকায় অটোরিকশার ব্যাটারি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাত আটটার দিকে ইউনুছের সঙ্গে মো. নিলয় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জেরে রাতে মো. নিলয় ও তাঁর এক সহযোগী ঘরে ঢুকে মো. ইউনুছের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় ইউনুছকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

এদিকে ইউনুছের ওপর হামলার পর তাঁর প্রতিবেশীরা মো. নিলয়কে ধরে পিটুনি দেন। আহত অবস্থায় তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে আটক করে।

মো. ইউনুছের মৃত্যুর বিষয়টি আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন,  ‘আমরা রাতেই হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত নিলয়কে আটক করেছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ