যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসভিয়ার’ বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকদের তালিকায় এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন শিক্ষক ও গবেষক স্থান পেয়েছেন, যা দেশে সর্বোচ্চ।

গত বছর এই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থান পেয়েছিলেন ১০ জন। চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র, সাইটেশন, এইচ-ইনডেক্স, কনসিস্টেন্সি এবং সহ-লেখকদের প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

কুয়েটে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

অনলাইন জুয়ার এজেন্ট যবিপ্রবির ছাত্র গ্রেপ্তার

এই স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণাক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থান এবং বৈশ্বিক জ্ঞানচর্চায় ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতিফলন।

স্বীকৃত গবেষক ও তাদের বৈশ্বিক অবস্থান হলো- এম.

এ. খালেক (১৬,২৯৪), মো. মঞ্জুর হাসান (২১,০৫৭), মুহাম্মদ ইব্রাহিম শাহ (৩৮,১২৯), মো. আব্দুল মুকতাদির (৩৮,৪৩৯), মো. রাকিবুল হক (৩৯,৮৭০), মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী (৬২,৭৪২), নেপাল চন্দ্র রায় (৭৭,২৪২), অমিত আবদুল্লাহ খন্দকার (৮০,৩০১), তসলিম উর রশিদ (৯০,৯৫৩), আব্দুস সালাম (৯৪,৫৯৫), মো. নাজমুল হাসান (৯৬,৩৬৯), কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ (৯৯,৫৭৮), মো. শাদ সালমান (১,০৫,৭৬৩), এম. রেজাউল ইসলাম (১,০৬,৪১৬), মো. কাওসার আহমেদ (১,১১,৯৯৪), খাদিজা কুবরা (১,১৩,৭১৬), এম. এস. রহমান (১,১৭,১৭১), তাওসিফুর রহমান (১,১৯,১৬৭), আনিছুর রহমান (১,৩১,৩৫৩), সৈকত মিত্র (১,৩৫,৫২০), এম. মঈনুল ইসলাম (১,৫২,৫৫৭), মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (১,৫৫,০৯৯), মো. আবু বিন হাসান সুসান (১,৭০,৪৮৩), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (১,৭১,৮১৬), এম. ফেরদৌস (১,৭৭,৯৮৮), মো. আব্দুল কুদ্দুস (১,৮২,৪৩৭), মো. মাহমুদুল ইসলাম (২,৩৮,৩৫৫), মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা (২,৪৮,৮২০), মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন (৩,০৮,৮২০), মো. রবিউল হাসান (৩,৫৬,৬৪৮), আল সাকিব খান পাঠান (৩৫৭,১৮০), মো. আব্দুর রাজ্জাক (৩৭১,৬৫৬), অনিমেষ পাল (৩৮১,৫৯৩), শেখ এম. এম. ইসলাম (৩৯৫,৭৮৫) এবং মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ (৪৩৮,২৭১)।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়ায় শিক্ষক ও গবেষকদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “এই স্বীকৃতি শুধু শিক্ষক ও গবেষকদের অসাধারণ অর্জনকে তুলে ধরে না, বরং এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চার বিকাশ এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন ঘটায়। এই অর্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

তিনি বলেন, “নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন শিক্ষক ও গবেষকদের জন্য একটি টেকসই অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ বছর ধরে গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার মতো নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ প রক শ ইসল ম রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডাকসু নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ 

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) চীনের রাষ্ট্রদূতে আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অবস্থিত চীনা দূতাবাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ডাকসু নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন:

রাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনে ইবির জিয়া পরিষদের সংহতি

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবির ১৮ গবেষক

এতে ডাকসু সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ এবং ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এইচএম মোশারফ হোসেনসহ সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদকবৃন্দ।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসন সুবিধা বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নিজেদের মতামত প্রদান করেন সম্পাদকবৃন্দ। 

প্রস্তাবিত ৫০০০ ছাত্রীদের আবাসন সুবিধা সম্বলিত চায়না-বাংলাদেশ মৈত্রী হলের নির্মাণ কাজ এ বছরের মধ্যেই শুরু হবে বলে আলোচনা হয়। ডাকসুর নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো দুটো হল নির্মাণের প্রস্তাব দেন এবং রাষ্ট্রদূত তা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় ধাপে যৌথভাবে কাজ করার আশ্বাস দেন। এছাড়াও তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া, স্বাস্থ্য, স্কলারশিপ, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

ডাকসুর নব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে স্মারক প্রদান করা হয় এবং ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরও শুভেচ্ছা স্মারক উপহার প্রদান করেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ