চলতি মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গতকাল রোববার পর্যন্ত চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে সব মিলিয়ে ২০৩ কোটি ১০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। গত বছরের ওই সময়ে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ১৬৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় প্রবাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ডলারের উচ্চ দামও বৈধপথে প্রবাসী আয় পাঠাতে উৎসাহিত করছে। এসব কারণে গত কয়েক মাস ধরেই রেমিট্যান্স আয় বেড়েছে। এর ব্যতিক্রম হয়নি চলতি সেপ্টেম্বর মাসেও।

চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয় এসেছে ৬৯৩ কোটি ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল ৫৭৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে একই সময়ে আয় বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি।

বিদায়ী আগস্ট মাসে দেশে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। গত বছরের আগস্ট দেশে এসেছিল ২২২ কোটি ৪১ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়। ফলে গত বছরের আগস্টের তুলনায় গত আগস্টে প্রবাসী আয়ে প্রায় ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। তাতে গত মার্চে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়। ওই মাসে ৩২৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল, যা এখন পর্যন্ত এক কোনো এক মাসে দেশে আসা সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। এরপর প্রবাসী আয় এক মাসে আর ৩০০ কোটি ডলার ছাড়ায়নি। প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অর্থ পাচার কমে আসায় অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা কমে গেছে। এ ছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। এ জন্য বৈধ পথে আয় আসা বেড়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র প রব স

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ৬৫৭৭ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই–আগস্ট) শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। আন্দোলন থেমে যাওয়ার পরও রাজস্ব আদায়ে ভালো করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আজ রোববার গত জুলাই–আগস্টের শুল্ক–কর আদায়ের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে এনবিআর। সেখানে দেখা গেছে, গত জুলাই–আগস্টে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এ সময়ে আদায় হয়েছে ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।

গত মে ও জুনে এনবিআরের আন্দোলনের কারণে গত অর্থবছরের বড় আকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়। শেষ দুই মাসে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব হয়নি। আন্দোলনের নানা কর্মসূচিতে রাজস্ব আদায় বিঘ্ন হয়। কিন্তু জুলাই–আগস্টেও রাজস্ব আদায়ে গতি আসেনি।

এনবিআরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনের পর এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বরখাস্ত ও বদলি–আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজস্ব আদায়ে মনোযোগ কম।

এনবিআরের হিসাবে, এ বছরের জুলাই–আগস্টে ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই খাত থেকে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া কাস্টমস খাতে ১৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা এবং আয়করে ১৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা আদায় হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশের বাজারের চেয়ে কম দরে ভারতে কীভাবে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে
  • দুই মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ৬৫৭৭ কোটি টাকা