রাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করা নিন্দনীয় অপরাধ: ঢাবি সাদা
Published: 22nd, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন, প্রক্টর মাহবুবুর রহমানসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় ঢাবির ৩৫ শিক্ষক-গবেষক
কুয়েটে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
এক বিবৃতিতে সাদা দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রদের নামে একটি বিশেষ ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে, তা আমাদের ব্যথিত করেছে। কোনো সভ্য সমাজে এ ধরনের ঘটনা অগ্রহণযোগ্য।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রক্টর মাহবুবুর রহমানের ঘড়ি ও প্রায় ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে শিবিরের গুপ্ত কর্মীরা উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে রাখে, যা প্রশাসনিক কর্তব্য পালনে ব্যাহত হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ও শিক্ষাগত পরিবেশের জন্য এক গভীর হুমকি। শিক্ষক, প্রশাসক ও শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আইনের সীমার মধ্যে থেকেই যে কেউই তার মতামত প্রকাশ বা আন্দোলন করতে পারবে- তা অবশ্যই স্বীকৃত পদ্ধতিতে। কখনোই হিংসা, অবরুদ্ধকরণ বা সম্পত্তি ধ্বংসের দিকে যেতে পারে না।
ঢাবি সাদা দলের নেতারা বলেন, ঘটনার অবিলম্বে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং সক্রিয় তদন্ত করতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবেন যে, ভবিষ্যতে এমন কোনো ঘটনা হবে না। শান্তি ও আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য সকল পক্ষ সচেতন হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অধিকার স্বীকৃত, তবে তা শান্তিপূর্ণ ও আইনি পথে হওয়া উচিত; প্রশাসন ও শিক্ষকরা পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করবেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যে রানিকে ‘জীবন্ত দেবী’ হিসেবে গণ্য করা হতো
প্রাচীন মিশরের ১৮তম রাজবংশের একজন শক্তিশালী রানী এবং ফারাও আখেনাতেনের প্রধান রাজমহিষী ছিলেন রানি নেফারতিতি ছিলেন। এই নারী তার সৌন্দর্যের কারণে অধিক পরিচিত। এ ছাড়া ইতিহাসে তার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, তিনি মিশরে একেশ্বরবাদী ধর্মীয় বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।
নেফারতিতি নামের অর্থ ‘‘একজন সুন্দরী নারী এসেছেন’’। নেফারতিতির জন্ম আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৩৭০ অব্দে।
আরো পড়ুন:
সঞ্চয় করার কিছু কার্যকর উপায়
আজ পুরুষদের রান্না করার দিন
জানা যায়, নেফারতিতির বাবা ছিলেন ফারাও আখেনাতেনের উপদেষ্টা এবং তিনিই কিশোর রাজকুমার আখেনাতেনের দেখাশোনা করতেন। বাবার সুবাদে শৈশবেই রাজকুমারের সঙ্গে পরিচয় হয় নেফারতিতির এবং অল্প বয়সেই তিনি আখেনাতেনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে গড়ে তোলেন। ১৫ বছর বয়সে রাজকুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ক্রমে ফারাও আখেনাতেনের জীবনে অত্যন্ত গভীর প্রভাব বিস্তার করেন এই রানি।
আখেনাতেন মিশরের ঐতিহ্যবাহী বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্ম পরিবর্তন করে ‘আতেন’ বা সূর্য দেবতার একেশ্বরবাদী পূজার প্রচলন করেছিলেন। এই ধর্মীয় পরিবর্তনে নেফারতিতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তাকে জীবন্ত দেবী হিসেবে গণ্য করা হতো।
আখেনাতেনের রাজত্বকালে নেফারতিতি একজন ফারাওয়ের মতোই ক্ষমতা এবং মর্যাদা ভোগ করতেন। অনেক ভাস্কর্য ও চিত্রে তাকে ফারাওদের মতো ক্ষমতা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। বার্লিনের একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত নেফারতিতির একটি মার্জিত এবং রঙিন আবক্ষ মূর্তি প্রাচীন মিশরীয় শিল্পের অন্যতম পরিচিত নিদর্শন।
আখেনাতেনের রাজত্বের প্রায় ১২ বছর পর হঠাৎ করেই নেফারতিতি ইতিহাস থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। তার মৃত্যু সম্পর্কে খুব কম তথ্য জানা যায় এবং তার সমাধি আজও আবিষ্কৃত হয়নি, যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে একটি অনেক বড় রহস্য।
সূত্র: ব্রিটানিকা কিডস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি