জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে ৩৩টি বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার স্থাপন করেছে শাখা ছাত্রশিবির। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া, কমনরুম ও বিভিন্ন বিভাগে এসব ফিল্টার স্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া ‘নিরাপদ পানি পান কর্মসূচি’র অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয় সংগঠনটি।

আরো পড়ুন:

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় জাবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বাকৃবির ১২ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলীম আরিফ বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সূচনালগ্ন থেকেই নিগৃহীত ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে পারেনি। এজন্যই আমরা নিরাপদ পানি কর্মসূচি হাতে নিয়েছি, যা আজ থেকে চালু থাকবে।”

শাখা সভাপতি মো.

রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো সমাধানের দায়িত্ব প্রশাসনের হলেও বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। তারা যে দু-একটি ফিল্টার দিয়েছে, তা দিয়ে এত শিক্ষার্থীর চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। তাই সংগঠন হিসেবে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।”

তিনি আরো বলেন, “পরবর্তী ধাপে ছাত্রী হলে একটি ঠান্ডা পানির ফিল্টার বসানো হবে। পাশাপাশি ছাত্রী হলে কাপড় শুকানোর অসুবিধা দূর করতে ওয়াশিং মেশিন এবং নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রশিবিরের দাওয়াহ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, এইচআরএম সম্পাদক সোহাগ আহমেদ, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সাহিত্য সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র পদ প ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে দুই পক্ষের মিছিল-উত্তেজনা, আটক ৩

সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাশকতার আশঙ্কায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুরের শুভংকর ঘোষ (৪০), কাশিবাটির আবদুল মান্নান সরদার (২৩) ও বাটরার আল মামুন (২৩)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কাজী আলাউদ্দীনের নেতৃত্বে ফুলতলায় মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। একই সময় মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী শহিদুল আলমের সমর্থকেরা কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হলে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়।

গতকাল রাতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, একদল নাশকতাকারী বিপুল পরিমাণ লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল, গুলতি, লোহার বল, ধারালো অস্ত্রসহ সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের বিশেষ টহল দল দ্রুত ফুলতলা এলাকায় অভিযান চালায়।

অভিযানের সময় সেনাসদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন অস্ত্র ও লোহার টুকরা পাশের নদীতে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে সেনাসদস্যরা চারজনকে আটক করেন ও চারটি গাড়ি (একটি মিনি ট্রাক ও তিনটি পিকআপ ভ্যান) জব্দ করে পুলিশে হস্তান্তর করেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় লাঠি, ইটপাটকেল, গুলতি, লোহার পাইপ ও ধারালো লোহার টুকরা। পরে পুলিশ এক তরুণকে তাঁর বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেয়।

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী আলাউদ্দীনের ছেলে কাজী সাজিদ রহমানের দাবি, ‘মনোনয়ন না পাওয়া শহিদুল আলমের কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের ওপর হামলা করার উদ্দেশ্যে এসব লাঠিসোঁটা নিয়ে এসেছিলেন।’

এ বিষয়ে শহিদুল আলম বলেন, ‘আমি শুনেছি কিছু মানুষ কাজী আলাউদ্দিনকে বয়কট করার জন্য কালো পতাকা নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। আমার কর্মী-সমর্থকেরা কেউ লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনী গতকাল রাত ১০টার দিকে চারজনকে থানায় সোপর্দ করে। আটক চারজনই পিকআপচালক। তাঁদের একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাঁকে তাঁর বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য তিনজনকে আজ শুক্রবার সকালে ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠানো হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট মামলা দেওয়া হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ