জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন শিক্ষার্থী সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় ঘটনার সাক্ষ্য প্রদান শেষ হয়েছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আজ সোমবার সাবরিনা আফরোজের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

শেখ হাসিনার পাশাপাশি এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম সাংবাদিকদের বলেন, এই সাক্ষীর (সাবরিনা আফরোজ) সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে এ মামলায় ঘটনার সাক্ষ্য প্রদান শেষ হলো। এরপর জব্দ তালিকার সাক্ষী এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য প্রদান হলে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবে। তারপর যুক্তিতর্ক এবং রায় দেওয়া হবে।

‘খুব কাছে থেকে ভাইকে গুলি করেছিল পুলিশ’

জবানবন্দিতে শিক্ষার্থী সাবরিনা আফরোজ বলেন, তাঁর ভাই মাহামুদুর রহমান (সৈকত) গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে পুলিশ খুব কাছ থেকে তাঁর ভাইকে গুলি করে হত্যা করে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনার কিছু ফোন রেকর্ড শুনতে পান উল্লেখ করে জবানবন্দিতে সাবরিনা আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসানুল হক ইনুর (জাসদের সভাপতি) সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ তিনি শুনতে পান। সেই ফোনালাপে শোনা যায়, শিক্ষার্থীদের ওপর বম্বিং (বোমা মারার) করার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ক ষ য গ রহণ স বর ন আফর জ

এছাড়াও পড়ুন:

অপহরণের মামলায় ক্রিকেট ক্লাবের সংগঠক বোরহান উদ্দিন গ্রেপ্তার

একটি অপহরণ মামলায় বোরহান উদ্দিন পাপ্পু নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সূত্র জানায়, তিনি একটি ক্রিকেট ক্লাবের সংগঠক।

পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গুলশান থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একটা অপহরণের মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গুলশান থানায় অপহরণের মামলাটি করেছেন রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসিন্দা মো. তানভীর আহমেদ (৪২)। তিনি বেশ কয়েকটি ক্রিকেট ক্লাবের মালিক। মামলায় বলা হয়েছে, কয়েকটি ক্লাবের মালিকানা দাবিসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে গুলশান–১ এর নাভানা টাওয়ারে সালিসে যোগ দিতে গিয়ে তিনি হামলা ও অপহরণের শিকার হন। এ ঘটনায় তিনি ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় বোরহান উদ্দিন পাপ্পু (৪৭) এবং অজ্ঞাতনামা ২৫–৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, বোরহানের নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী তাঁকে পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং মারধর করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে আটক করে রাখা হয়। পরিবারের সদস্যরা খবর দিলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা তাঁকে কৌশলে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে আসাদগেট এলাকায় ছেড়ে দেয়। এরপর গুলশান থানা-পুলিশ ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে। বাদীর দাবি, ঘটনার নেপথ্যে ক্লাব মালিকানা নিয়ে বিরোধ ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ