ভারত-পাকিস্তান: হাত মেলানো বন্ধ, হাই–হ্যালোও নেই, বন্ধুত্বও কি আছে
Published: 23rd, September 2025 GMT
টানা দুই রোববারে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ। দুটিতেই জয়ী দলের নাম ভারত। পার্থক্য বলতে ফলের ব্যবধান। প্রথমটিতে পাকিস্তানকে ১৩১ রানে আটকে দিয়ে ভারত জিতেছিল ৭ উইকেটে। দ্বিতীয়টিতে পাকিস্তান আরও ৪০ রান বেশি করেছে, ভারত জয়ের পথে আরও এক উইকেট বেশি হারিয়েছে।
ফল একই বলেই হয়তো দুই ম্যাচের পার্থক্য বোঝাতে ভারত অধিনায়ককে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, পাকিস্তানের খেলার মান আগের ম্যাচের তুলনায় বেড়েছে কি না। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে বসে সূর্যকুমার যাদব সরাসরি উত্তর দিলেন না। যা বললেন, তাতে মনে হলো ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আলোচনার ইতি টানার আহ্বানই জানালেন তিনি, ‘আমার মনে হয় আপনাদের এই রাইভালরি (দ্বৈরথ) নিয়ে প্রশ্ন বন্ধ করা উচিত।’
কেন বন্ধ করা—উচিত সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এরপর। বলেছেন, দুটি দল ১৫–২০ ম্যাচ খেলে ফেলার পর জয়–হারের স্কোরলাইন কাছাকাছি হলেই সেটা দ্বৈরথ বলা যায়। এক দল বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকলে সেটি দ্বৈরথ হয় না।
সূর্যকুমারের কথা মিথ্যা নয়। গতকাল এশিয়া কাপ সুপার ফোরের ম্যাচটিসহ দুই দলের সর্বশেষ ৬ ম্যাচেই জিতেছে ভারত। শুধু টি–টোয়েন্টিও যদি বিচার করা হয়, এযাবৎ দুই দলের খেলা ১৫ ম্যাচের ১১টিতেই জয়ী দলের নাম ভারত, পাকিস্তান জিতেছে মাত্র তিনটিতে (একটি টাই)। সুতরাং রাইভালরি বলতে যা বোঝানো হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, লড়াই—সেটা ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে এখন আর আসলেই নেই। কিন্তু ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যে কথা বলেননি, সেটা হচ্ছে দুই দলের খেলোয়াড়দের বন্ধুত্বও হয়তো আর নেই।
ভারত টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কান্নায় ব্যালন ডি’অর বরণ দেম্বেলের
দেম্বেলে মাকে পাশে রেখে বুঝে নিয়েছেন ব্যালন ডি’অর ট্রফি। মঞ্চে উঠে সবার আগে অতিথিদের মাঝে বসা মাকে বলেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে এটা করেছি।’ আবেগের দমকে দেম্বেলে এরপর টলে যান। কেঁদে ফেলেন। সঞ্চালক কেট স্কট মঞ্চে তাঁর মাকে ডেকে আনার পর ধাতস্থ হলেন একটু। নিজেকে গুছিয়ে দেম্বেলে বললেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা অর্জন। পিএসজিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই ২০২৩ সালে আমাকে সই করানোর জন্য। সতীর্থরা গত বছরের মতো এ বছরও অসাধারণ।’